শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৭

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী নামে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের ব্যাপক চাঁদাবাজি

Khagrachari PIC 02
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর সহযোগী সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কথিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের নামে খাগড়াছড়িতে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ চাঁদাবাজি থেকে জেলায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকারাও বাদ যায়নি। সূত্র জানায়, গত ৫ এপ্রিল ছিল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র (ইউপিডিএফ) এর সহযোগী সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কথিত প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। দিবসটি সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স-মিল, অফিস-আদালত, পরিবহন সেক্টর, হাট-বাজার সমিতি ও এমন কি জেলার বাইরে কর্মরত পাহাড়ি চাকরিজীবীদেরও গণহারে চিঠি দিয়ে চাঁদা আদায় করা হয়। এমনি একটি চাঁদার চিঠি পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর হাতে এসে পৌঁছেছে। একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে দেওয়া চিঠিতে তিন হাজার টাকা চাঁদা ধরা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের যুব সমাজের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও বিপ্লবী অভিবাদন জানাচ্ছি।

আগামী ৫ এপ্রিল ২০১৭ গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও প্রতিনিধি সম্মেলন পালন করা হবে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও প্রতিনিধি সম্মেলন সুচাররূপে সফল করার জন্য আপনার এলাকা/প্রতিষ্ঠান/স-মিল/অফিস থেকে তিন হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা কামলা করছি। উক্ত আর্থিক সহযোগিতাগুলো আগামী ০৫/০৩/২০১৭ তারিখের মধ্যে নিম্ন লিখিত মোবাইল  নাম্বারে(০১৮৭৮৮৬৫৭৭১, ০১৫১৭১৮৫১৫০) যোগাযোগ করার জন্য আহবান জানাচ্ছি। সুইচিং চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, খাগড়াছড়ি জেলা শাখা। তবে এ সংবাদ লেখার সময় উল্লেখিত মোবাইল নাম্বারগুলো বন্ধ থাকায় বহুবার চেষ্টা করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
খাগড়াছড়ি জেলা সদরের একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, প্রাণ ভয়ে চাহিত চাঁদা যথা সময়ে পরিশোধ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, গত বছর চাঁদা পরিশোধ না করায় এক স্কুল শিক্ষককে হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল।
অপর এক স্কুল শিক্ষক নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, গতকাল বুধবারও (০৫/০৪/২০১৭) চাঁদার জন্য তার বিদ্যালয়ে এসে হুমকি দিয়ে গেছে।
প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি মাসে কোন না কোন অজুহাতে ইউপিডিএফ, জেএসএস ও জেএসএস (এমএন লারমা) গ্রুপ তাদের গ্রামে হানা দিয়ে চাঁদা আদায় করছে।এ চাঁদাবাজি থেকে দিন মজুর পাহাড়িরাও রেহাই পাচ্ছে না।
পার্বত্যাঞ্চলে কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, পাহাড়ি সংগঠনগুলো সর্বত্র চাঁদাবাজি করছে এমন অভিযোগ মুখে মুখে আছে। কিন্তু কেউ লিখিত অভিযোগ করে না।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন গ্রাম প্রধান বলেন, অভিযোগ করলে চাঁদাবাজদের নির্যাতনের শিকারের পাশাপাশি দ্বিগুণ চাঁদা দিতে হয়। ফলে অভিযোগ না করে নিরবে চাঁদা দিয়ে যাচ্ছি। তবে তারা এ অবস্থা থেকে মুক্তি চান।
সমতলে কর্মরত একজন চাকুরীজীবী পাহাড়ি নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, তাদেরও বেতন স্কেল অনুযায়ী সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]