পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিদের অপকৌশল বেড়ে গেছে, অপরাধ সংঘটিত হলেই চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে বাঙালিদের ওপর। পার্বত্য এলাকা থেকে বাঙালিদের উৎখাতের অপকৌশল সম্প্রতি সময়ে বেড়ে গেছে। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় হত্যা, ধর্ষণ বা অন্য কোনো অপরাধ সংঘটিত হলেই তার দায়ভার চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে শান্তিপ্রিয় বাঙালিদের ওপর। বাঙালিদের ওপর দায়ভার চাপিয়ে পাহাড়ি উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত কয়েকটি ঘটনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তের এ চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সব বাঙালি এবং উপজাতি এ দেশেরই গর্বিত নাগরিক। পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদের সকলের অবদান অপরিসীম। তাই উপজাতি-বাঙালি ভেদাভেদ আর অতীতের হানাহানি ও বিবাদ ভুলে সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অগ্রসর হতে হবে।
তবেই পার্বত্য এলাকায় শান্তির পরিবেশ আরো সুসংহত হবে এবং সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হবে। অপার সম্ভাবনাময় পার্বত্য অঞ্চলে মুষ্টিমেয় কিছু উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সৃষ্ট অশান্তি সমূলে উৎপাটন করে সবাই মিলে এক সঙ্গে বসবাস করতে পারলেই উন্নয়ন এবং উন্নত জীবনযাপন নিশ্চিত হতে বাধ্য।
তবেই পার্বত্য এলাকায় শান্তির পরিবেশ আরো সুসংহত হবে এবং সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সার্বিক উন্নয়ন সাধিত হবে। অপার সম্ভাবনাময় পার্বত্য অঞ্চলে মুষ্টিমেয় কিছু উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সৃষ্ট অশান্তি সমূলে উৎপাটন করে সবাই মিলে এক সঙ্গে বসবাস করতে পারলেই উন্নয়ন এবং উন্নত জীবনযাপন নিশ্চিত হতে বাধ্য।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, কোনো ঘটনা ঘটার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা অনেক সময় বাঙালি ও উপজাতিদের মধ্যে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে বাঙালি ও উপজাতিদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আস্থা রেখে সময় দেয়া উচিত, যাতে তদন্ত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রকৃত জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় উপজাতিরা নিজেরাই কোনো একটি অপরাধ সংঘটিত করে সেটাতে নানা রঙ চড়িয়ে বাঙালিদের সরাসরি দোষারোপ করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাশাপাশি তারা ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন স্থানে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ করে মিডিয়া এবং জনগণের নজর কাড়ার চেষ্টা করে আসছে। পাশাপাশি তারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বিশেষত ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রপ, পেইজ বা আইডি ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিদের উৎখাত করার লক্ষ্যে নানা মিথ্যাচার, গুজব এবং বিভ্রান্তিকর পোস্ট প্রদান করে আসছে। সম্প্রতি সংঘটিত কয়েকটি ঘটনা তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রাঙ্গামাটি জেলা সদরে আপন ভগ্নিপতির ভাড়া বাসায় বোন ও ভগ্নিপতির অনুপস্থিতিতে গলা কেটে হত্যা করা হয় খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ইতি চাকমাকে। কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এ হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে এ হত্যাকান্ডের জন্য সরাসরি বাঙালিদের দায়ী করে নানা রঙ ছড়ানোর অপচেষ্টা চালায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও এ নিয়ে নানা অপপ্রচার চালায়। এমনকি বাংলাদেশ ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের ফেসবুকের চাকমা পেইজগুলোতেও আলোচনায় স্থান পায় ইতি চাকমা। কিন্তু সব রহস্যের উন্মোচন করে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তুষার চাকমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আদালতে সে (তুষার চাকমা) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীও দিয়েছে যে, ৫ জন চাকমা যুবক এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। ইতি চাকমার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো তারা একই কৌশল অবলম্বন করে বাঙালিদের সরাসরি দোষারোপ করে। গত ১২ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে খুন হয় বালাতি ত্রিপুরা। এবারও আঁটঘাট বেঁধে মাঠে নামে বিভিন্ন উপজাতি সংগঠনগুলো। তারা পার্বত্য বাঙালিকে দোষারোপ না করে সুনির্দিষ্টভাবে করিম, নুরু আর মানিক নামে তিন বাঙালিকে দোষারোপ করে। ঘটনার মাত্র ৬ দিনের মাথায় বালাতি ত্রিপুরার খুনের মূল নায়ক কার্বারী সাধন ত্রিপুরা নামক এক উপজাতি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।
১৩ আগস্ট ২০১৪ রাঙামাটির টেঙ্গাইল শোরুমের বিক্রয়কর্মী বিশাখা চাকমা কর্মস্থল থেকে বাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় এবং ২০ আগস্ট রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরপরই নড়েচড়ে বসে উপজাতি সংগঠনগুলো। বাঙালিদের দোষারোপ করে শুরু হয় সমাবেশ-মানববন্ধন। কিন্তু পরে পুলিশের তদন্তে দেখা যায় যে, বিশাখার স্বামী ল²ীরাম চাকমার উপস্থিতিতে বখাটে সঞ্জয় চাকমা, তার সহযোগী তত্তারাম ও বিনোদ চাকমা মিলে বিশাখা চাকমাকে ধর্ষণ ও হত্যা করে। গত ৬ জুন ২০১৪ বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে ব্র্যাক এনজিওর আনন্দ স্কুলের শিক্ষিকা উ প্রু মারমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে স্থানীয় পাহাড়িরা বাঙালি কাঠুরিয়া মুসলিম উদ্দিনকে ধরে গণপিটুনি দিলে তার মৃত্যু হয়। পরে তদন্তে দেখা যায় যে, এ ঘটনায় জড়িত উপজাতি রশদ তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে বিজয় তঞ্চঙ্গ্যা।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সালে খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে সবিতা চাকমার লাশ তার নিজ বাড়ির পাশের ক্ষেতে পাওয়া যায়। তার মৃত্যুর পর বিভিন্ন পাহাড়ি সংগঠনগুলো সবিতা চাকমা বাঙালি ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপার কর্তৃক গণধর্ষিত হয়ে মারা গেছে বালে দাবি করে ব্যাপক প্রচারণা ও প্রতিবাদ মিছিল বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরবর্তীতে সবিতা চাকমার লাশের ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]