রোহিঙ্গা জাতি নিধনের কারণে মিয়ানমারের কাছে সব রকম অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলের ধর্মীয় নেতারা। এর মধ্যে রয়েছেন ৫৪ জন রাবি ও ধর্মীয় নারীর নেত্রীরা। ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে জাতি নিধন চলছে বলে নিন্দা জানিয়ে তারা ইসরাইল সরকারের কাছে এ দাবি জানিয়েছেন। এতে স্বাক্ষর করেছেন জেরুজালেমের রামবান গীর্জার প্রধান রাবি বেনি লাউ, মিডরেশেট অমিট বিয়ার তামার বিটোন, বেইত হিলেল রাবি এসোসিশেয়নের চেয়ারম্যান রাবি মায়ার নেহোরাই, সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও রাবি মাইকেল মেলচিওর, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও রাবী শাই পিরোন প্রমুখ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জেরুজালেম পোস্ট। উল্লেখ্য, মিয়ানমারে বড় আকারে অস্ত্র বিক্রি করে ইসরাইল। এর আগে সম্পাদিত চুক্তির অধীনে মিয়ানমার ইসরাইল থেকে আরো অস্ত্র কিনছে।
সেই চালান সহসাই পাঠানোর কথা মিয়ানমারে। বিষয়টি নিয়ে গত কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছে। আলোচনায় উঠে এসেছে চীন, রাশিয়া, বৃটেন সহ আরো বেশ কিছু দেশের নাম। বলা হচ্ছে এসব দেশ মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে। ২৫ শে আগস্ট সহিংসতা শুরুর পর থেকে এ আলোচনা আরো জোরালো হয়। ওই সহিংসতা থেকে বাঁচতে চার লাখ ২২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে ঠাঁই নিয়েছেন। এ সময়ে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ, গণধর্ষণ, গণহত্যা ও অন্যান্য নৃশংসতা চালিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
শুধু যে রাখাইনে এমন নয়, কাচিন ও শান রাজ্যেও প্রায় একই অবস্থা। সেখানেও মিয়ানমার সরকার যুদ্ধাপরাধ করছে বলে অভিযোগ আছে। জেরুজালেম পোস্ট লিখেছে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রি ও সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীদের উদ্দেশে তাই একটি খোলা চিঠি লিখেছেন ওইসব রাবি ও ধর্মীয় নেতা। তাতে রাখাইনের এই সহিংসতায় সহায়তা করতে অসমর্থ হওয়ার জন্য গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করেন তারা। তবে শয়তানি উদ্দেশ্য থেকে সরে আসার জন্য তারা তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারেন। ওদিকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কাছে ইসরাইলের অস্ত্র বিক্রির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি আবেদন মুলতবি অবস্থায় আছে। সেখানকার সূত্র উদ্ধৃত করে রাবিরা তাদের চিঠিতে লিখেছেন, ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল এমন এক শাসকগোষ্ঠীকে সহায়তা করছে এটা অচিন্তনীয়। তারা চিঠিতে আরো লিখেছেন, রাবি, ধর্মীয় নারী নেত্রীরা, শিক্ষাবিদ ও সম্প্রদায়ের নেতারা শান্তির পথ অনুসরণ করেন। বিশ্বে যে দেশ তার নিজেকে ধ্বংস করে দিচ্ছে সেই দেশকে যখন ইসরাইল সাহায্য করে তখন আমরা নীরব থাকতে পারি না। তবে তারা দেশের অর্থনীতির জন্য অস্ত্র রপ্তানির গুরুত্বের কথা স্বীকার করেন। তবে সেক্ষেত্রে মানবিকতার ভারসাম্য রক্ষার আহ্বান জানানো হয়। তাই মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। বিশ্বের যেখানেই, যে দেশেই মানবতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হয় সেখানেই সরকার যেন অস্ত্র রপ্তানি না করে এমন একটি আইন করারও আহ্বান জানানো হয় এতে। উল্লেখ্য, এ বছরের শুরুর দিকে ইসরাইলের হাই কোর্ট অব জাস্টিসে একটি পিটিশন জমা দেন নিরপেক্ষ আইনজীবী ও গবেষক ইতাই ম্যাক। এতে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রির লাইসেন্স বাতিল করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। আবেদনে আরো বলা হয়, মিয়ানমারের সেনা শাসকগোষ্ঠী যদি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ অব্যাহত রাখে তাহলে তাদেরকে বিরত রাখতে নতুন কোনো লাইন্সে না দিতে আহ্বান জানানো হয়।
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]