মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৭

চাকমা নারীকে ধর্ষন সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত সংবাদের ব্যাপারে প্রতিবেদকের বক্তব্য: পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিহির কুমার চাকমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে গত বছর বোর্ডে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বোর্ডের একজন উপজাতীয় নারী কর্মচারী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিএইচটিডিবি বোর্ড একটি কমিটি গঠন করে। পরে এই কমিটি সিএইচটিডিবির বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে অভিযোগের দীর্ঘ প্রায় এক বছর পরও কোনো বিচার পাননি অভিযোগকারী! কান্না জড়িত কন্ঠে এই প্রতিবেদকের নিকট এমন অভিযোগ তুলে ধরেন অভিযোগকারী ওই চাকমা নারী কর্মচারী। এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, কর্মক্ষেত্রে গেলে তাকে প্রথমে কাজের বাহনায় কৌশলে কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং হাতে টাকা গুঁজে দিয়ে করা ভাষায় বলে দেয় কাউকে বললে সমস্যা হবে এবং সিএইচটিডিবি চেয়ারম্যানকে বলে চাকরিচ্যুত করা হবে। এর পর থেকে ভয়ের মধ্যে রেখেই প্রতিনিয়ন ধর্ষণ করা হয়। এক পর্যায়ে এসে সিএইচটিডিবি বোর্ডের অফিস তত্বাবধায়কের দায়িত্বে থাকা উস্যাংমা চৌধুরীকে জানান ওই চাকমা নারী কর্মচারী। বিষয়টিও তিনি দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। সেই অভিযোগের একটি কপি এই প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষিত আছে।

সংবাদ প্রস্তুতকালিন একে একে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে বক্তব্য নেয়া হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উস্যাংমা চৌধুরী এই প্রতিবেদককে জানান, ও আমার মেয়ের মত। সে আমাকে খালা বলেই সম্বোধন করে। বিষয়টি যখন আমাকে জানায়, আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছি, সকালে যখন অফিসে আসতেই হয়! আসার সময় তার ছোট ছেলে অথবা মেয়েকে সাথে নিয়ে আসার জন্য। অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যতক্ষণ না অফিসে আসে, ততক্ষণ যাতে ওরা তার সাথে থাকে। এতে কেউ তাকে খারাপ কিছু করার সাহস পাবে না। এই কথাটি আমি তদন্ত কমিটিকেও বলেছি, বলেন সিএইচটিডিবির অফিস তত্বাবধায়ক উস্যাংমা চৌধুরী।

অভিযোগের বিষয়ে প্রতিবাদ দাতার মক্কেল পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মিহির কুমার চাকমার বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে ফোনকল করা হয়েছে একাধিকবার। এরমধ্যে সর্বশেষ ২৪ সেপ্টেম্বর বিকালে মিহির কুমার চাকমার মুঠোফোনে কল করে পরিচয় দিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। বোর্ড থেকে জেনে নিন! এই কথা বলেই বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি। তবে সে সময় তিনি বিষয়টি অসত্য বা তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এই বিষয়ে কোনো সত্যতা মিলেনি এমন কোন তথ্য বা বক্তব্য প্রদান করেননি। এছাড়া প্রদত্ত প্রতিবাদ লিপিতেও এধনের ঘটনায় অভিযোগ ও পরে তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা তথ্য উল্লেখ রয়েছে।
এই বিষয়টি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট অনেকের কাছ থেকে বক্তব্য নেয়া হয়েছে। যার সব অডিও ও বিশেষ ক্ষেত্রে ভিডিও রেকর্ড এই প্রতিবেদকের নিকট সংরক্ষিত রয়েছে। সংবাদটি মাঠ পর্যালোচনা করেই তৈরি করা হয়েছে।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, প্রতিবেদক সরল বিশ্বাসে সমাজের একজন নারীর শ্লীলতা হানির বিষয়ে তার নিজের অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদটি পরিবেশন করে। সংবাদ পরিবেশনের একটিই উদ্দেশ্য ছিল-তা হলো ‘ একজন নিন্ম বেতনভূক নারী কর্মচারী হেনস্তার শিকার হয়েও বিচার না পাওয়ার বিষয়টি জন সমুখখে নিয়ে আসা। সেখানে অভিযুক্তের প্রতি ব্যক্তিগত কোনো রাগ বিরাগের গন্ধও ছিল না। বা এতে প্রতিবেদকেরও ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য বা কাউকে হেনস্তা করার মানসিকতা ছিল না।

প্রতিবেদন প্রস্তুতকালে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে পাওয়া বক্তব্যে অভিযোগটি তদন্তের পর নিষ্পত্তি হয়েছে এমন কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বা অভিযুক্ত ব্যক্তিও তার বক্তব্যে আত্মপক্ষ সমর্থন করে এমন কোনো তথ্য দেননি। উপরন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তিও তার বক্তব্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে মর্মে কোনো তথ্য প্রদান করেননি। তারপরও যদি তিনি এ কারণে সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন তার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]