প্রয়াত চাকমা সার্কেল চীফ ত্রিদিব রায়। তবে তার সবচেয়ে বড় পরিচয়- তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী একজন যুদ্ধাপরাধী। শুধু তাই নয়, আজীবন পাকিস্তানের মন্ত্রী ছিলেন ত্রিদিব রায়। তিনি ছিলেন ‘পাকিস্তানের উজিরে খামাকা’। গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন এক আদেশে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সব স্থাপনা থেকে তার নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর থেকে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তিনি। উঠে এসেছে একাত্তরে তার জঘন্য ভূমিকার নানা ইতিহাস। একাত্তরের ১৬ এপ্রিল। রাঙ্গামাটি মহকুমা সদরের এসডিও আবদুল আলী। পাকিস্তান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকার পরও ওইদিন তিনি দুটি স্পিডবোটে মহালছড়ি থেকে রাঙ্গামাটিতে নিয়ে এসেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দলকে। যার ফল তিনি পেয়েছিলেন নিজের জীবন দিয়ে। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আসার আগেই চট্টগ্রামের নতুনপাড়ায় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারে চাকমা রাজা গোপনে বৈঠক করে এসেছেন পাকিস্তানি সেনাকর্মকর্তাদের সঙ্গে। বৈঠকের পরপরই চাকমা রাজার সঙ্গে রাঙ্গামাটি আসে পাকিস্তানি কয়েকজন জুনিয়র অফিসার। প্রায় একই সঙ্গে কাপ্তাই থেকে পাকিস্তানি হানাদারদের একটি দল কয়েকটি লঞ্চ ও স্পিডবোট নিয়ে রাঙ্গামাটি এসে চুপিসারে অবস্থান নেয়। ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা মুক্তিযোদ্ধাদের দলটি রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের বাংলোর কাছাকাছি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে ধরা পড়ে। একপর্যায়ে কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই রাঙ্গামাটি দখল করে নেয় পাক হানাদাররা। সেই এসডিও আবদুল আলীর পরিণতি হয়েছিল মর্মান্তিক।
শরবিন্দু শেখর চাকমার ‘মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রাম’ বইয়ের বর্ণনা অনুযায়ী, ‘রাঙ্গামাটি পুলিশ লাইনের এক ব্যারাকে আটক করে রেখে আবদুল আলীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেøড দিয়ে আঁচড় দিয়ে সেসব জায়গায় লবণ দেয়া হয়েছিল। এরপর তাকে একটি জিপের পেছনে বেঁধে টেনে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়।’
এই ঘটনার নেপথ্যে কলকাঠি নেড়ে গেছেন একজন- তিনি চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়। নিজের আত্মজীবনী ‘ডিপার্টেড মেলোডি’তে নিজের স্বীকারোক্তি তুলে ধরেছেন এভাবে- ১৯৭১ সালের ১৬ এপ্রিল সকালে তিনি (রাজা ত্রিদিব রায়) তার ভগ্নিপতি কর্নেল হিউম, ম্যাজিস্ট্রেট মোনায়েম চৌধুরী, হজরত আলী এবং আরো কয়েকজন বাঙালি মুসলিম লীগ নেতাসহ চট্টগ্রামের নতুন পাড়ায় অবস্থিত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারের পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, ম্যাজিস্ট্রেট মোনায়েম চৌধুরী এবং রাজা ত্রিদিব রায়ের সঙ্গে আসা আরো কয়েকজন বাঙালি ঢাকা থেকে আসা জুনিয়র অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে কাপ্তাইয়ে যাবেন। ঠিক সেদিনই বিকেলে কাপ্তাই থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল কয়েকটি লঞ্চ এবং স্পিডবোট নিয়ে রাঙ্গামাটি আসে এবং বিনা প্রতিরোধে দখল করে নেয়।
কে এই ত্রিদিব রায়: পাকিস্তানের আমৃত্যু দপ্তরবিহীন মন্ত্রী রাজা ত্রিদিব রায় রাঙ্গামাটি সার্কেলের ৫০তম চাকমা রাজা ও সার্কেল চিফ ছিলেন। ১৯৩৩ সালের ১৪ মে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটিতে চাকমা রাজপ্রাসাদে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা রাজা নলিনাক্ষ রায় ও মা বিনিতা রায়। ১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর রাজা নলিনাক্ষ রায় মারা গেলে ১৯৫৩ সালের ২ মার্চ সিংহাসনে বসেন ত্রিদিব রায়। ১৯৭১ সাল থেকে তার ছেলে ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায় রাঙ্গামাটি সার্কেলের চিফ ও চাকমা রাজা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
একাত্তরে ত্রিদিব রায় ছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম জেলা ও পরবর্তীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গামাটি সার্কেলের চাকমা রাজা এবং আত্মস্বীকৃত কুখ্যাত রাজাকার। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শুধু প্রবল বিরোধিতাই নয়, দেশ স্বাধীন হওয়ায় তিনি রাগে, ক্ষোভে ও ভয়ে রাজ্য ও রাজত্ব ছেড়ে পালিয়ে তার প্রিয় পাকিস্তান চলে যান। পাকিস্তান রাষ্ট্রও তাকে অবমূল্যায়ন করেননি। আমৃত্য দপ্তরবিহীন মন্ত্রীর মর্যাদা দান করেছিল তাকে। ৪২ বছর ইসলামাবাদেই ছিলেন তিনি। ২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানেই মারা যান রাজা ত্রিদিব রায়।
ত্রিদিব রায়ের আমলনামা : পূর্ব পাকিস্তানের জাতিগত সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্বসহ অন্যান্য কারণে ত্রিদিব রায় পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন। ১৯৫৩ সালে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ত্রিদিব রায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে সম্মানসূচক কমিশন লাভ করেন। তিনি পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেলের অনারারি এইড-ডি-ক্যাম্প নিযুক্ত হন। ১৯৫৬ সালের মে মাসে গৌতম বুদ্ধের ২৫০০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দিল্লিতে পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব খাদ্য কংগ্রেসে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন তিনি। একই দায়িত্বের অংশ হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও থাইল্যান্ড সফর করেন। ১৯৬৪ সালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রায় তিন মাস প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।
পাকিস্তান প্রেমের কারণে ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফার বিরোধিতা করেন ত্রিদিব রায়। এমনকি ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান তার দলের পক্ষে নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য ত্রিদিব রায়কে আহ্বান জানান। কিন্তু ত্রিদিব রায় এই অনুরোধে সাড়া না দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন এবং নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে পাকিস্তান সরকারকে সমর্থন দেন। ১৯৭০ এর দশকে জুলফিকার আলী ভুট্টোর মন্ত্রিসভায় তিনি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি পাকিস্তান সরকারের সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ভুট্টো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাকে রাষ্ট্রপতি হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে ত্রিদিব রায় তা ফিরিয়ে দেন। কারণ, পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী একজন মুসলিম শুধু রাষ্ট্রপতি হতে পারেন। কিন্তু ত্রিদিব রায় ছিলেন একজন বৌদ্ধ এবং তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণে ইচ্ছুক ছিলেন না।
প্রিয়জিৎ দেব সরকারের লেখা ‘দ্য লাস্ট রাজা অব ওয়েস্ট পাকিস্তান’ অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে ত্রিদিব রায় পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করেন। তার আশঙ্কা ছিল, স্বাধীন বাংলাদেশে চাকমা রাজ্যের স্বায়ত্তশাসন থাকবে না এবং বাঙালিদের কারণে চাকমারা স্থানচ্যুত হবে। তাই তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত থেকে স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের শীর্ষ সেনাকর্মকর্তাদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। যুদ্ধ শুরুর পর মে মাসে তিনি রিজার্ভ বাজার এবং তবলছড়ি বাজারে জনসভায় ভাষণ দেন। এসব জনসভায় তিনি ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’শ্লোগানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। শুধু তাই নয়, যুদ্ধের দামামার মধ্যেও পাকিস্তান সরকারের বিশেষ দূত নিযুক্ত হয়ে পাকিস্তানের পক্ষে জনমত গঠনে পৃথিবীর বৌদ্ধপ্রধান রাষ্ট্রগুলো চষে বেড়ান তিনি। ১৯৭১ সালের ৯ নভেম্বর তিনি দক্ষিণ এশিয়া সফরে যান। প্রথমে তিনি থাইল্যান্ড যান। তবে ব্যাংককের পাকিস্তান দূতাবাস মারফত জরুরি তলবের বার্তা পাওয়ায় তিনি চট্টগ্রাম ফিরে আসেন এবং সেখান থেকে ঢাকা ও পরে ১১ নভেম্বর করাচি রওয়ানা হন। পশ্চিম পাকিস্তানে পৌঁছানোর পর রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান তাকে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেন। এরপর ২৫ নভেম্বর তিনি শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বো যান। ভারতের ওপর দিয়ে বিমান চালনা সম্ভব না হওয়ায় পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানে পৌঁছার জন্য শ্রীলঙ্কা এ সময় ট্রানজিট ছিল। এখানে বিমানের জ্বালানি সরবরাহের ব্যবস্থা চালু রাখা তার মূল লক্ষ্য ছিল। কলম্বোতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শ্রীমাভো বন্দরনায়েক, যোগাযোগমন্ত্রী সিরিল ডি সুজার সঙ্গে দেখা করেন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর ত্রিদিব রায় আর বাংলাদেশে আসেননি। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে প্রণীত দালাল আইনে তার নাম ছিল।
‘দ্য লাস্ট রাজা অব ওয়েস্ট পাকিস্তান’ অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের যোগদানের আবেদনের বিরোধিতা করার জন্য পাকিস্তান প্রেরিত প্রতিনিধি দলে ত্রিদিব রায় প্রধান ছিলেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব প্রতিনিধি দলের প্রধান ছিলেন ত্রিদিব রায়ের মা বিনিতা রায়। অধিবেশনের আগে নিউইয়র্কে মা-ছেলে দুজনের দেখা হয়। ১৯ ডিসেম্বর ত্রিদিব রায় ফিরে যান পাকিস্তানে।
এরপর ১৯৭৪ সালের মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পূর্ব জার্মানি থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নিউইয়র্ক, ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল, চিলি ও আর্জেন্টিনা সফর করেন তিনি। ১৯৭৭ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের ফলে জেনারেল মুহাম্মদ জিয়া-উল-হক কর্তৃক জুলফিকার আলি ভুট্টো ক্ষমতা থেকে উৎখাত হলে ত্রিদিব রায় তার একজন মিত্র হারান। ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ত্রিদিব রায় আর্জেন্টিনা, শ্রীলঙ্কা, চিলি, ইকুয়েডর, পেরু ও উরুগুয়েসহ বিভিন্ন দেশে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
এ লাশ নেয়নি বাংলার মাটি : ২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের আমলে রাজা ত্রিদিব রায়ের দেশে ফেরার আবেদন প্রথম বাংলাদেশকে জানানো হয়। ২০০৫ সালে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান ওই প্রস্তাব অনুমোদন করলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর বিরোধিতা করে। মন্ত্রণালয়ের তরফে এ অনুমতি দেয়া সম্ভব নয় বলে এক লাইনের ব্যাখ্যা পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে চাপা পড়া ২০১০ সালের শেষার্ধে ওই আবেদন আবারো আলোচনায় আসে। ২০১২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুর পর ওই লাশ ফেরত নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করে পাকিস্তান। যে পাকিস্তান প্রেমের জন্য বিসর্জন দিয়েছেন নিজের মাতৃভূমি, ত্যাগ করেছেন রাজত্ব, সেই পাকিস্তানেই হয়েছে তার শেষ ঠিকানা। লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশ গ্রহণ করেনি যুদ্ধাপরাধী ও আজীবন পাকিস্তানের মন্ত্রী ত্রিদিব রায়ের মরদেহ।
লেখক : ঝর্ণা মনি
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]