মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭

সন্তুলারমার অস্ত্র সমর্পন ছিল প্রহসনমূলক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রমূলক নাটক

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে সন্তুলারমা অস্ত্র সমর্পন ছিল প্রহসনমূলক একটি চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্রমূলক একটি নাটক। পার্বত্য চুক্তির মধ্যে দেশ-বিরোধী অনেকগুলো ধারা সন্নিবেশিত করার পেছনে কাদের হাত ছিল- জানা না গেলেও, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে যে সকল অসাংবিধানিক ও জাতীয় নিরাপত্তা বিরোধী ধারার বিষয়ে অবগত করানো হয়নি- তা নিশ্চিত করে বলা যায়। এ চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের কথা অনেকে বললেও এর বাস্তব অর্থ তারা খুলে বলেন না। চুক্তির শর্তানুযায়ী - ৫টি ছাড়া বাকী সব নিরাপত্তা ক্যাম্প সরিয়ে নেয়া হলে (এর ফলে পুরো পার্বত্য এলাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রনে চলে যাবে) এবং সেখান থেকে ৮ লক্ষ বাংগালীকে উচ্ছেদ করলেই উচ্চ আদালত ঘোষিত এ ‘দেশবিরোধী ও অসাংবিধানিক চুক্তি’র পুর্ণ বাস্তবা‍য়ন সম্পন্ন হবে। এর ফলে- চুক্তির প্রথম শর্তানুযায়ী বাংলাদেশের আয়তনের দশ ভাগের এক ভাগ এ পার্বত্য এলাকা পুরোপুরিভাবে ‘উপজাতীয় এলাকা’ অর্থাৎ- জুম্মল্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

জাতির জন্য অত্যন্ত দূর্ভাগ্য যে, অনেক দায়িত্বশীল বুদ্ধিজীবী ব্যক্তি নিজের ব্যক্তিস্বার্থে সরকারের শুভ দৃষ্টি লাভের আশায় অথবা এর মারাত্মক ফলশ্রুতি অনুমান করার অক্ষমতার কারনেই এ চুক্তিকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করে থাকেন; সম্ভবতঃ তারা চুক্তির দেশবিরোধী ধারাগুলো সামনে না রেখেই প্রশংসা করে যান অথবা চলমান সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদের ফলে বাংলাদেশ তার এক-দশমাংশ এলাকা হারিয়ে ফেললে তাদের কোন ক্ষতি হবেনা বলেই ধরে নিয়েছেন। এর মাধ্যমে তারা সরকারকে বাস্তব পরিস্থিতি সম্বন্ধে অন্ধকারে রেখে ভুল সিদ্ধান্ত নিতেই ভূমিকা রাখছেন। 

সকলের মনে রাখা প্রয়োজন যে- ৩০ লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের অখন্ডতা, জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি চরম হুমকিস্বরুপ এ চুক্তির পূর্ণাংঙ্গ বাস্তবায়ন হলে পার্বত্য এলাকা উপজাতীয় এলাকা বা জুম্মল্যান্ডে পরিণত হবে, আর তাহলে বাংলাদেশও তার অস্তিত্ব বেশি দিন ধরে রাখতে সক্ষম হবেনা। তাই, চলমান সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, হত্যা, অপহরন এবং বিচ্ছন্নতাবাদ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে রক্ষা করতে চুক্তির দেশবিরোধী ধারাগুলো বাতিল করা জাতীয় স্বার্থেই অত্যন্ত জরুরী।

ক্রমবর্ধিষনু ১৭ কোটি জনসংখ্যার ভারে ক্ষুদ্র এ বাংলাদেশের মোট আয়তনের দশ ভাগের এক ভাগ এলাকা ১৩টি ক্ষুদ্র উপজাতির মাত্র ৭ লক্ষ লোকের জন্য 'উপজাতীয় এলাকা' হিসেবে রিজার্ভ করে রাখা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অনুকুল হতে পারেনা।

সন্তু লারমা বলছে যে, সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন করছেনা; তাহলে নির্বাচনের মাধ্যমে আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়াও চুক্তির একটি ধারা; সেখানে গত প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি কোন নির্বাচন ছাড়াই আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ আগলে আছেন কেন? নিজে পদত্যাগ করে নির্বাচনের আয়োজন করে প্রমাণ করুন যে- তিনি চুক্তি বাস্তবায়নের পক্ষে। তার নতুন অস্ত্রধারী বাহিনীর আত্মসমর্পনের কথা বাদই দিলাম। আবার বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র সমর্পনের প্রহসনমূলক নাটক করার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের শাসন ক্ষমতা দখল করে পূণরায় হাজার হাজার অস্ত্রধারী বাহিনী গড়ে তুলে পাহাড়ে হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষনের মত সন্ত্রাস শুরু করে নিজেই চুক্তি ভংগ করছে, অন্যদিকে চুক্তির প্রায় ৯৫% বাস্তবায়নের পরও সরকারকে তা বাস্তবায়ন হচ্ছেনা বলে দোষারোপ করছে এবং নিজে নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতা ধরে রাখছে এটা কি সন্তু লারমার চুক্তির স্ববিরোধিতা নয় কি?

এম,এ অামিন

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]