পাহাড়ে বেশ কয়েকটি নারীবাদী সংগঠন রয়েছে। প্রায়ই উপজাতীয় নারী ধর্ষনের অভিযোগ এনে পার্বত্য বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন, সংগ্রাম করতে দেখা যায়। ধর্ষক যদি অজ্ঞাত হয় তবে তার দায় বাঙ্গালীর। আর কোনক্রমে বাঙ্গালী জড়িত, এমন কোন গন্ধ থাকলেতো কথাই নেই। এই সমস্ত সংগঠন, দেশের বড় সারীর পত্রিকা এবং রাষ্ট্রের সম্পদ বিশিষ্ট সুশিল সমাজের প্রতিবাদ বানীতে কম্পিত হয় পাহাড়, দেশ, বিদেশ। ধর্ষক বাঙ্গালী, তার বাস্তব প্রমান না থাকলেও পত্র, পত্রিকা এবং যুক্তি তর্কে বরাবরই প্রমানিত যে ধর্ষণ কার্য একমাত্র পার্বত্য বাঙ্গালীর (তাদের ভাষায় সেটেলার) দ্বারাই সম্ভব। পাহাড়ে উপজাতীয় নারী ধর্ষিত হচ্ছে এটা বাস্তব দ্রুব সত্য। কিন্তু, এর দায় একচেটিয়া ভাবে পার্বত্য বাঙ্গালীর সেটা কিন্তু ঠিক নয়। উপজাতীয় নারীর সাথে কোন বাঙ্গালী যুবকের বন্ধুত্ব্য থাকলে সেখানে ধর্ষণের গন্ধ আবিস্কারের চেষ্টা অব্যাহত থাকলেও বিশেষ একটি মহল প্রতিনিয়ত উপজাতীয় ধর্ষণ করে আসছে। কিন্তু, তা নিয়ে কখনো প্রতিবাদ হয় না। বাস্তবতা এই যে টিআইবির মহাপরিচালকের চাকমা বউ থাকাটা এদের দৃষ্টিতে পূন্যের হলেও আমার উপজাতীয় বান্ধবী থাকাটা অপরাধ। যদিও টিআইবির মহাপরিচালক পাহাড়ের বাসিন্দা নন। অর্থাৎ উপজাতীয় সম্প্রদায়ের বাইরে দেশের বিশেষ একটি মহলের জন্য উপজাতীয় নারী ভোগ- দখল, বিনোদন করায় ক্ষেত্রে বৈধতা রয়েছে। অবশ্য এটা ভোগ -দখল, বিনোদন নয়, এটা হতে উপজাতি পরিশুদ্ধির উপযুক্ত পন্থা।
এই পন্থায় প্রমানিত হয় যে উপজাতীয় নারী ধর্ষক বাঙ্গালী। কিন্তু আসলে কোন বাঙ্গালী সেটাই এখন প্রশ্ন? সম্প্রতি ফেইসবুকে এবং রাঙ্গামাটি শহরের আনাচে কানাচে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যেখানে একজন উপজাতীয় নারীকে সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে এক বাঙ্গালী। কিন্তু, এই ধর্ষণ নিয়ে কোন সুশিল কিংবা পাহাড়ের নারীবাদী সংগঠন কেউ কিছু বলেছেন না। হচ্ছে না কোন পত্রিকার নিউজ। বিষয়টা আশ্চর্যজনক নয় কি? তবে কি পাহাড়ে বাঙ্গালীরা উপজাতীয় নারী ধর্ষণ করার বৈধতা পেয়েছে? বিষয়টা ঠিক তা নয়। ঐ যে বলেছি বিশেষ একটি মহলের জন্য উপজাতীয় নারী ধর্ষণ বৈধ, এই ধর্ষণ তারাই করেছে।
ধর্ষকের বড় ভাই রাঙ্গামাটির বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং সেই সময়ের রাঙ্গামাটি গণজাগরণ মঞ্চের প্রধান, সুনিল কান্তি দে। এই সুশিল কান্তি দে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মদদপুষ্ট এবং খুনী, রাষ্ট্রদ্রোহী শন্তু লারমার একনিষ্ট আস্থাভাজন ব্যক্তি। তিনি রাঙ্গামাটি নদী রক্ষা কমিটির সদস্য। কিন্তু নিজেই কাপ্তাই হ্রদ দখল করে বিশালাকার প্রাসাদ বানিয়েছেন। তারই যৌন নিযাতনের শিকার হয়ে তারই ছোট ভাইয়ের বউ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বহুল বিতর্কিত আরাকান আর্মির নেতা রেনিন সু’র সাথে রয়েছে এই ব্যক্তির গভীর সখ্যতা। সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড লাগিয়ে এই সুনিল কান্তি তার ছেলে-মেয়ে এবং ছেলের বউকে বগুড়া থেকে রাঙামাটিতে এনে সরকারি চাকুরি দিয়েছেন। তার বউ, ছোট তিন ভাই, বোনকে সরকারি বিদ্যালয়ে এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাকুরি দিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি পাহাড়ে স্থায়ী নন, নন পূনর্বাসিত বাঙ্গালী। তিনি পাহাড়ের বাঙ্গালী না হয়েও পেয়েছেন সমস্ত সুবিধা। তার একমাত্র অবলম্বন তিনি পার্বত্য বাঙ্গালী বিরোধী এবং একটি বিশেষ চক্রের মদদপুষ্ট। তিনি রাঙ্গামাটির বিশেষ ব্যক্তিত্ব্য হলেও রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে কোনরুপ কথা না বলে জেএসএসপন্থী হিসেবে নীরব ছিলেন।
সুনীল কান্তি দে সম্পর্কে সামান্য এই কথাগুলো বললাম এই জন্য যে, চাকরির প্রলোভনে যে উপজাতীয় নারীটি ধর্ষিত হয়েছে এতে ধর্ষক চরিত্রে যিনি রয়েছেন তিনি রাঙ্গামাটির বিশিষ্ট ব্যক্তি এই সনীল কান্তির আপন ছোট ভাই শ্যামল কান্তি দে। শ্যামল কান্তি পেশায় সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক।
সুতরাং যেহতু ধর্ষক বাঙ্গালী হলেও বিশেষ ব্যক্তির অধিকারীদের একজন এবং ৭১এর চেতনা ব্যবসায়ীদের অন্যতম সদস্য সেহতু এটা কোন ধর্ষণ কাহিনী নয়, পূন্য অর্জনের কাজ। এর বিচার চাওয়া মানে উপজাতীয় নেতাদের প্রভু বিরোধী অবস্থান নেওয়ার শামিল। আপসোস, কোন ক্রমে এই ধর্ষক যদি আবু উবাইদা কিংবা কোন সৈনিক হতো তবে এতোদিন ভিডিও ফুটেজ জাতিসংঘে পৌছে যেতো। পত্রিকার পাতায়, শাহাবাগে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যেতো। কেননা, এটা সাধারন কোন ধর্ষণ নয়, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ।
এই জন্যেই মাঝে মধ্যে ইচ্ছে করে নামের শেষে উবাইদা চাকমা যুক্ত করি নতুবা লম্বা মোছ এবং মাথায় ক্যাপ পরিধান করে সভ্য জগতে প্রবেশ করি। কিন্তু, পারিনা। ঐ যে ধর্মীয় মূল্যবোধ আর দেশপ্রেমিক চেতনা আমাকে বারবার প্রতিহত করে।
লেখক: আবু উবাইদা
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]