সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭

মিয়ানমারের ঘোষণা পুড়িয়ে মারা হবে রোহিঙ্গাদের

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধরা প্রতিদিন মাইকিং করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। তারা বলছে- যদি এক সপ্তাহ পর আরাকানে কাউকে পাওয়া যায়, তাহলে তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হবে। নতুন আসা রোহিঙ্গারা এ কথা জানিয়েছেন। এছাড়া রোহিঙ্গাদের ফেলে আসা ভালো কাঠের বাড়িগুলো সেনা সদস্যরা দখল করছে বলে জানান আরাকানের কিয়াংমং ও নাফপুরা গ্রাম থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা যুবক জাফর আলম ও মোস্তাক আহমদ।সেনা ও মগদের হুমকির কারণে এখন শত শত রোহিঙ্গা প্রতি রাতে ছোট ছোট নৌকায় করে জীবনের ঝুকি নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন। বুধবার রাত ১০টায় শাহ পরীর দ্বীপের জেটির পূর্বপাশে একটি ছোট নৌকা এসে পৌঁছে। সেটিতে ২১ জন রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু। এসময় দূর থেকে ভেসে আসে কয়েকজন নারী ও শিশুর কান্না। তখন চারজন বিজিবি সদস্য ও স্থানীয় দু’জন সংবাদকর্মী সামনে গিয়ে দেখতে পান ভয়ে কাঁপছে কয়েকজন নারী ও শিশু। এরইমধ্যে আরো সাতটি নৌকা এসে হাজির হয়। নৌকাগুলোতে অন্তত: ৫০ জন রোহিঙ্গা। এভাবে রাত ১১টা পর্যন্ত ৪৭টি নৌকায় রোহিঙ্গারা আসেন।
পরে তাদের বেড়িবাঁধে জড়ো করা হয়।রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসা নৌকাগুলোর একটি মাঝি রহমত উল্লাহর সাথে কথা হয়। তিনিও রোহিঙ্গা। তিনি জানান, ‘প্রতিদিন রোহিঙ্গাদের নৌকায় করে নাফনদী পার করছি। মিয়ানমার পুলিশ (বিজিপি) আমাকে কিছু বলে না। কারণ প্রতি ট্রিপে তাদেরকে ৫০ হাজার কায়াট দেই। ওপার থেকে এপারে আসতে এক ঘণ্টা সময় লাগে। মংডু থেকে বুচিডংয়ের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। সেখানে ৩২০টির মতো গ্রাম আছে। এসব গ্রামে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গার বাস। আগস্টের শেষের দিক থেকে রোহিঙ্গাদের চলে আসা শুরু হলেও যারা সেখানে টিকে থাকার চেষ্টা করেছিলেন তাদেরও এখন চলে আসতে হচ্ছে। কেননা গত এক মাস ধরে সেখানকার লোকজনকে চলাফেরা করতে দিচ্ছে না সেনারা। ফলে সেখানে থাকা রোহিঙ্গাদের খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।

তারা কেন বাংলাদেশে চলে আসছেন প্রশ্ন করা হলে কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, তাদেরকে দেশত্যাগে বাধ্য করছে মিয়ানমার প্রশাসন। সেনা ও উগ্রপন্থি বৌদ্ধরা এখনো আরাকানে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে আতংক সৃষ্টি করেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাচিডং-এর নাইংচং রোহিঙ্গা গ্রামে অবশিষ্ট ঘরবাড়িগুলো সেনাবাহিনী ও উগ্র রাখাইনরা জ্বালিয়ে দিয়েছে।তারা আরো জানান, বুচিডং উপজেলার নারাইংশং, রোইঙ্গাদং, চিন্দং, ওলাফে, কুইন্দাং মগনা পাড়া রাজাবিড়া, দাব্রিঅং, চাংগ্রি পাড়াসহ বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা পল্লীতে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নারীদের শ্লীলতাহানী করেছে সেনারা। অক্ষত ঘরবাড়িগুলো প্রতিদিনই পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। বাঁচতে চাইলে তাদেরকে বাংলাদেশে চলে যাবার ঘোষণা দিয়ে মাইকিং করছে প্রশাসন।বৃহস্পতিবার পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারারা জানিয়েছেন, এখনো প্রতিটি গ্রাম মহল্লায় তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। যারা নিজের ভিটে বাড়ির টানে এখনো আরকানের জঙ্গলে লুকিয়েছিলেন, খাদ্য সংকটে পড়ে তারাও পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসছেন। পরিস্থিতি এমন হয়ে উঠেছে যে রোহিঙ্গারা দিনে ও রাতে ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌকায় করে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসছেন। এতে দুর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে।

সূত্র: নয়া দিগন্ত


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]