রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৭

বঙ্গ-ভাষার উপর মুসলমানের প্রভাব। পর্ব : ৩ (শেষ পর্ব)

এ পর্যন্ত আমরা দেখাইছি বাঙ্গলা সাহিত্যের উপর মুসলমানদের কতটা প্রভাব পড়িয়াছে। কিন্তু শুধু তাহাই নহে, বাঙ্গলা সাহিত্যে মুসলমান কবি রাজসিংহাসনের দাবী করিতেছেন, বাঙ্গলা সাহিত্যে এরূপ মুসলমান কবির আবির্ভাব হইয়াছে যাঁহারা কবিকুল চক্রবর্তী, যাহাদের যাশোভাদির নিকট আলওয়াল এমন কি ভারতচন্দ্রের খ্যাতিও পরিম্লান হইয়াছে। সম্প্রতি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তিন খণ্ড পল্লীগীতিকা প্রকাশিত করিয়াছে। তাহাতে মুসলমান কবিদের যে কবিত্বের নিদর্শন আছে, তাহা অতুলনীয়। দুঃখের বিষয় এই সকল পল্লীগীতি সম্বন্ধে এদেশের লোক ততটা অবহিত নহেন৷ এই পল্লীগীতিকার প্রথম খণ্ডে ‘দেওয়ানা মদীনা’ নামক একটি পালাগান প্রকাশিত হইয়াছে৷ তৎসম্বন্ধে ফরাসীদেশের বিখ্যাত লেখক মহাত্মা রোম্যা রােলাঁ লিখিয়াছেন, এরূপ অদ্ভুত কাব্য তিনি গ্রাম্য কৃষকের নিকট হইতে প্রত্যাশা করেন নাই। পল্লী কৃষককবি কিরূপে নিপুণ শিল্পীর ন্যায় এই আশ্চর্য কীর্তির মঠ রচনা করিয়াছেন, তাহা তাহার বিস্ময়ের সৃষ্টি করিয়াছে।

“দেওয়ানা মদিনা”র প্রসিদ্ধ গায়ক ছিলেন ‘জালাল গাএন’। তিনি যখন ভাটিয়াল সুরে এই গানটি গাহিতেন, তখন বেদনায় শ্রোতাদের হৃদয় ভরিয়া উঠিত ও তাঁহারা আর্তনাদ করিয়া কাঁদিয়া উঠিতেন ৷ উহা রয়াল আট পেজি ফর্মার ৩য় পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ। এত ক্ষুদ্র গণ্ডির মধ্যে এরূপ করুণ রসাত্মক কাব্য আমরা আর কোন সাহিত্যে পড়িয়াছি বলিয়া মনে হয় না।

রােম্যা রোলাঁ সমালোচনা রাজ্যের সম্রাট, তিনি নির্ভয়ে মুক্তকষ্ঠে কবিকে তাহার প্রাণ প্রশংসা দিয়াছেন। আমরা অধীন জাতি, আমরা নিজেদের কবি সম্বন্ধে একটা বড় রকমের প্রশংসা দিতে ভয় পাই৷ বিদেশী কবিগণের পশ্চাতে তাহাদের সমালোচকেরা দুন্দুভিনিনাদ ও তাহাদের ডঙ্কা-নিনাদে বসুধা কল্পিত হয় এবং লোকেরা গরুড় পক্ষীর ন্যায় জােড়হস্ত হইয়া থাকে-কিন্তু আমাদের পল্লীর ক্ষেতে যদি অত্যুজ্জ্বল হীরকখণ্ডও থাকে তাহা মাটির ডেলার মত উপেক্ষিত হয়। “কাঠুরে এক মানিক পেল, পাথর বলে ফেলে দিল, অভিমানে কাদছে মানিক মহাজনে টের পেল না”-আমাদের পরাধীন দেশের কাঞ্চন কাঁচ হইয়া যায়, জয়দৃপ্ত বিদেশীদের কাঁচও কাঞ্চন মূল্যে বিকাইয়া থাকে।

জামাত উল্লা বয়াতির রচিত ‘মাণিক তারা’ বা ‘ডাকাতের পালা’ দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হইয়াছে৷ এই পালা গানটির কাব্য-ঐশ্বর্য অতুলনীয়। কৃষক-কবি চাষাবাদের জীবনের যে নিখুঁত ছবি আঁকিয়াছেন, বঙ্গ-সাহিত্যে তাহার সমকক্ষ কবিতা কতটি আছে জানি না । এই গানটির কোন স্থানে নিপুণ শিল্পীর ন্যায় লিপিকুশলতা, কোথাও হাস্যরস্যেজ্জ্বল হৈমন্তিক রৌদ্রের ন্যায় সুখদ-পদবিন্যাস, কোথাও পূর্বরাগের রমণীয়তা- এ সমস্তই এমন দক্ষতার সহিত লিখিত হইয়াছে যে জামাত উল্লাকে সারস্বত কুঞ্জের প্রথম পংক্তিতে স্থান দিতে বোধ হয় কাহারও আপত্তি হইতে পারেনা।

গ্রাম্য কবির এই কাব্যখানি প্রত্যেক বঙ্গোলীর পাঠ করা উচিত। পাড়াগেঁয়ে ভাষা কোন স্থানে প্রাদেশিকতার বাহুল্যে দৃর্বোধ্য কিন্তু ধূলিমাটি মলিন হীরকের জ্যোতি কি সেই সকল বাহিরের মলিনতা ফুটিয়া বাহির হয় না? মাণিক তারার কবিত্বভাতির গ্রাম্য ভাষার মধ্য হইতে সেইরূপ ফুটিয়া বাহির হইয়াছে।

তৃতীয় খণ্ডেও অনেকগুলি পালাগান আছে, তন্মধ্যে “মঞ্জুর মার পালা”টি উৎকৃষ্ট । যদিও কবির নাম পাওয়া গেল না, তথাপি ইহা যে মুসলমান কবির লেখা-সে বিষয়ে কোন সন্দেহ থাকিতে পারে না।মনির নামক এক মুসলমান সাপুড়ের কথা লইয়া এই কাব্য রচিত।

তৃতীয় খণ্ডের পল্লীগীতিকায় আর কয়েকটি উৎকৃষ্ট পালা আছে, তাহার একটি মনসুর ডাকাত বা কাফন চোরার পালা। এই মনসুর ডাকাতের জীবনের গতি কিভাবে ফিরিয়া গিয়াছিল, অতি জঘন্য নীচ ও নৃশংস-দস্যুবৃত্তি ছাড়িয়া সে কিরূপে একজন শ্রেষ্ঠ পীর ও সাধু হইয়াছিল, সেই মনস্তত্বের আধ্যাত্মিক চিত্রপটখানি করি এই পালা গানটিতে উদঘাটিত করিয়া দেখাইয়াছেন। ইহার মাঝে মাঝে এমন সুন্দর কবিত্বপূর্ণ চরণ আছে যাহা পড়িলে কবিকে পল্লী-কালিদাস বলিয়া প্রশংসা করিতে ইচ্ছা হয়।

একটি নববিবাহিতা নারী পল্লীপথে প্রথম শ্বশুরবাড়ী যাত্রা করিয়াছেন৷ জ্যোৎস্না ধবধবে রাত্রি, আটজন পাল্কীবাহক তাহাকে লইয়া যাইতেছে-কবি সেই রাত্রি দুইটি ছত্রে বর্ণনা করিয়াছেন৷ কবি লিখিয়াছেন-জ্যোৎস্না রাত্রি, দোলা চলিয়া যাইতেছে-কেহ যেন মুষ্টি মুষ্টি বেলফুলের কলি দ্যুলোক হইতে ভূলােকে ছড়াইয়া ফেলিতেছে, এমনই সুন্দর জ্যোৎস্না৷

এই জ্যোৎস্না রাত্রে মনসুর ডাকাত কুর্ম্মাই খালের একটা বাঁকের কাছে, কেতকী ঝাড়ের আড়ালে লুকাইয়া পাল্কীখানির গতিবিধি লক্ষ্য করিতেছে। দােলার গতি, জ্যোৎস্নার বর্ণনা কবিতাগুলিকে এমন একটা ছন্দ দিয়াছে যে, মনে হয় যেন আমরা বাহকদের পদশব্দ শুনিতে পাইতেছি ও মনসুর ডাকাতের ব্যাঘ্রমূর্তি চাক্ষুষ করিতেছি। কিন্তু মনসুরের পরিবর্তনের কথাটি অতি অপূর্ব। সে প্রতিজ্ঞা করিয়াছিল, দিনে পাচবার নামাজ পড়িবে। এই দুর্দান্ত দস্যু যে রমণীকে প্রকৃতই ভালবাসিয়াছে, তাহার নিকট এই প্রতিজ্ঞা-সুতরাং তাহা দুর্লঙ্ঘ।

হাতীখেদার গানটি একশত বৎসর পূর্বের রচনা৷ এমন একটা বিষয় লইয়া যে কবিতা রচিত হইতে পারে, তাহা অনেকেরই ধারণার অগম্য। কিন্তু গ্রাম্য মুসলমান কবি ইহাতে অপর্যাপ্ত কাব্যরস ঢালিয়া দিয়াছেন। কবিতাগুলির বিদ্রুপছন্দ যেন শিকারীদের পদশব্দের সঙ্গে তাল রাখিয়া চলিয়াছে। কবিতাগুলি একবারে স্বভাবের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে সঙ্গতি রাখিয়া কোন স্থানে বন্দুকের আওয়াজ, অগ্নিদাহের চটপট শব্দ, কোথাও শিবিরে দর্শকদের কােলাহল ও মশালের আলোকমালার দীপালির শোভা যেন পাঠককে প্রত্যক্ষ করাইয়া সেই অদ্ভুত বন্য-অভিযানের একেবারে কেন্দ্রস্থলে লইয়া গিয়াছে। হাতিগুলির ভীষণতা, বুদ্ধিহীনতা, অকারণ আশঙ্কা, দলবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা- খেদার মধ্যে ঢুকিয়া তাহাদের

আর্তনাদ ও না খাইয়া অস্থি-চর্মসার হইয়া যাওয়া–এই সমস্তই হয়ত নিতাস্ত নিরস বিষয়-কিন্তু এগুলিকে যে কবি এরূপ রসাত্মক করিতে পারিয়াছেন-তাহার কবিতত্ব ধন্যবাদার্হ-ইহা স্বীকার করিতে হইবে। ভাষা চাটগেঁয়ে, অনেক স্থলে বুঝিয়া উঠা কঠিন, কিন্তু নারিকেলের খােলাটা ভাঙ্গিয়া ফেলিলে যেরূপ ভিতরের সকলেই সুস্বাদদু ও সরস, ভাষার বাধাটা অতিক্রম করিলে এই কবিতাও তেমনিই উপভোগ্য ও পরম উপাদেয় বোধ হইবে।

আমরা মুসলমান বিরচিত আরও অনেক পালাগানের উল্লেখ করিতে পারিলাম না-সেগুলিতে কবিত্বের অভাব নাই, কিন্তু আমাদের স্থান ও সময়াভাব।

মুসলমান সম্রাটগণ বর্তমান বঙ্গ-সাহিত্যের একরূপ জন্মদাতা বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। তাহারা বহু ব্যয় করিয়া শাস্ত্রগুলির অনুবাদ করাইয়াছিলেন এবং সেগুলি আগ্রহ সহকারে শুনিয়া আনন্দিত হইতেন। আরব-দেশবাসীরা অনেক সংস্কৃত গ্রন্থের অনুবাদ করাইয়াছিলেন ৷ ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা শুধু ধনরত্ন আহরণের চেষ্টায় ভিন্ন দেশ জয় করিতেন না, সেই সকল দেশে যদি জ্ঞানের ভাণ্ডার থাকিত, তাহাও তাঁহারা লুটিয়া লইতেনl

আবুল ফজলের ভ্রাতা ছদ্মবেশে কাশীতে যাইয়া সংস্কৃত শিক্ষা করিয়া আসিয়া শাস্ত্রগ্রন্থ অনুবাদ করিয়া সম্রাটকে সন্তুষ্ট করিয়াছিলেন, ইহাতে নূতন কথা কিছুই নাই।বঙ্গ-সাহিত্য মুসলমানদেরই সৃষ্ট, বঙ্গভাষা বাঙ্গালী মুসলমানের মাতৃভাষা।বহু পুস্তক বাঙ্গলা ভাষায় রচনা করিয়া মুসলমান কবিগণ কৃতিত্ব দেখাইয়াছেন,- পালাগানে তাহারা যে শক্তি ও কবিতত্ব দেখাইয়াছেন, তাহাতে সাহিত্যিক আসরে তাহাদের স্থান প্রথম পংক্তিতে।


কয়েকজন শিক্ষিত বাঙ্গালী হিন্দু এখন বঙ্গ-সাহিত্যের কাণ্ডারী হইয়াছেন সত্য, কিন্তু গোটা বঙ্গদেশের সাহিত্য এখনও মুসলমানের হাতে-এই কথার এক বর্ণও মিথ্যা নহে। ময়নামতীর গান হইতে আরম্ভ করিয়া গোরক্ষ-বিজয়, ভাসান গান ও পূর্বোক্ত শত শত পালা গান, মুরশিদা গান, বাউলের গান এ সমস্তই মুসলমানদের হাতে। তাহারাই অধিকাংশ স্থলে মূল গায়েন৷ তাহারাই তরজার শুরু।

এই বঙ্গদেশ যে সুধামধুর কবিত্বরসে অভিষিক্ত, তাহার প্লাবন আনিয়াছে মুসলমান কৃষকরা। একবার ধান কাটার পর বঙ্গদেশ-বিশেষ করিয়া পূর্ববঙ্গ ঘুরিয়া আসুন, দেখিবেন, মুসলমান কৃষকেরা দল বাঁধিয়া কত প্রকার গান গাহিয়া এদেশকে আনন্দ বিতরণ করিতেছে। কত বাউলের দেহতত্ত্ব বিষয়ক গান, কত মাঝির ভাটিয়ালী গান, কত রূপকথা ও মনােহর কেচ্ছা ও গাজির গান তাহারা বাংলাদেশকে শুনাইয়া জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারে সহায়তা করিতেছে৷ হিন্দুরা এ বিষয়ে কোনক্রমেই মুসলমানের সমকক্ষ নহে।

দু’চারিজন শিক্ষিত লোক লইয়া এদেশ নহে । দু’চারিজন উপন্যাস পডুয়ার হাতে বঙ্গদেশটি নহে৷ বঙ্গদেশ বলিতে যে সপ্তকােটি লোক বুঝায় তাহার শতকরা ৯০ জনেরও বেশী আধুনিক উচ্চশিক্ষার কোন ধার ধারে না। এই সুবৃহত জনসাধারণের শিক্ষা বড় সাধারণ নহে। যাহারা পদ্মাবতের ন্যায় এরূপ পাণ্ডিত্যপূর্ণ কাব্য বুঝিতে পারে, দেহতত্ত্ব বিষয়ক অতি সূক্ষ আধ্যাত্মিক তত্ত্ব আয়ত্ত করিতে পারে, তাহারা কি ‘মূর্খ’ অভিধা পাইবার যোগ্য? এই বিপুল জনসাধারণের ভাষা বাঙ্গলা, মুসলমানগণ এখনও এই ভাষার উপর পল্লীগ্রামে আধিপত্য বিস্তার করিয়া আছেন। 

যাঁহারা বাঙ্গলা ভাষার পরিবর্তে উর্দু ভাষা এদেশে প্রচলনের প্রয়াসী, তাঁহারা কখনই সে চেষ্টায় কৃতকার্য হইবেনা।লক্ষ লক্ষ মুসলমানের বাঙ্গলাই মাতৃভাষা, মায়ের মুখে তাহারা বাঙ্গলা ভাষা প্রথম শুনিয়াছে-সে ভাষা তাহাদিগকে ভুলাইয়া দেওয়ার চেষ্টা বাতুলতা মাত্র।ঘরের সামগ্রী তৈরী থাকিতে এরূপ চেষ্টা করিবার প্রয়োজন তো কিছুই দেখিতে পাই না।যদি বড় কিছু দিতে পার, তবে ছোট জিনিষটা ছাড়িয়া দাও।সূর্যের আলো আনিবার ব্যবস্থা করিয়া ঘরের প্রদীপটি নির্বাপণ কর, নতুবা যাহা আছে তাহা ছাড়িয়া দিয়া ঘর আধাঁর করিবে মাত্র।

লেখক শ্রী দীনেশচন্দ্র সেন (১৮৬৬-১৯৩৯) একজন শিক্ষাবিদ, গবেষক, লোক-সাহিত্যবিশারদ, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার।

[সংগৃহীতঃ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে মুসলিম অবদান, মোশাররফ হোসেন খান (সম্পাদিত), বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, ঢাকা, ১৯৯৮, পৃষ্ঠাঃ ২৭-৩০]


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]