মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

পাহাড়ে আবারো আগুন জ্বলবে: সন্তু লারমা

পার্বত্য চট্টগ্রামে ইসলামিকরণ বন্ধ না হলে পাহাড়ে আবারও আগুন জ্বলবে বলে হুমকি দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা। তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলে ইসলামীকরণের যে বাস্তবতা বিরাজমান সেটা মেনে নিলে আমাদের সর্বস্বান্ত হতে হবে। আমরা সেটা মেনে নিতে পারি না, মানব না। পাহাড়ে আগুন জ্বলছে, জ্বলবে। সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে উঠবে।’ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটে ডেইলি স্টার ভবনে জনসংহতি সমিতি আয়োজিত এক আলোচনাসভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে শন্তু লারমার সমস্ত বক্তব্যের ভিরে সবচেয়ে হাস্যকর বক্তব্য হলো এটি। পত্রিকার শিরোনামে এই বাক্যটি দেখে একটি স্বাস্থ্য সম্মত হাসি না দিয়ে থাকতে পারিনি। অন্তত এই হাসিটার কারন হওয়ার জন্য ধন্যবাদ "শন্তু আজু"। পাহাড়ে যে পরিমান উপজাতি ধর্ম মাইগ্রেট করে বৌদ্ধ হতে খৃষ্টান হয়েছে তার হিসাব শন্তু বাবুকে প্রকাশ করতে অনুরোধ করছি। পাহাড়ে যেহতু বাঙ্গালী পূনর্বাসন হয়েছে এবং তারা অধিকাংশই বাঙ্গালী সুতরাং পাহাড়ে মুসলিম জনসংখ্যা থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু, তারপরেও যে হারে বাঙ্গালী পূনর্বাসন হয়েছে তার তুলনায় পাহাড়ে মুসলিম কম।

বৈদেশিক এনজিও তথা পশ্চিমা দাতা সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত খৃষ্টান মিশনারীর আদলে কি পরিমান মুসলিম এবং উপজাতীয় বৌদ্ধ খৃষ্টান হয়েছে তার সঠিক জরিপ করলে পাওয়া যাবে পাহাড়ে কি হচ্ছে। মূলতঃ পাহাড়কে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে খৃষ্টানীকরণ করা হচ্ছে ধিরে ধিরে, কোন সন্দেহ নেই যে এই কাজে শন্তু লারমা পশ্চিমাদের প্রধান দেশীয় এজেন্ট। তাই শতশত উপজাতি খৃষ্টান হলেও শন্তু লারমা সেটা নিয়ে কথা না বললেও পশ্চিমা প্রভুদের খুশি করতে ইসলাম ধর্ম নিয়ে টানাটানি করছে।তিনি বলেন, ‘শান্তিচুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পার্বত্যাঞ্চল আবারও অশান্ত হতে পারে।’ সভার সূচনা বক্তব্যে সন্তু লারমা বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তির পর ২০ বছরেও এর মেৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়িত হতে পারেনি। সামগ্রিক পরিস্থিতি নানা ক্ষেত্রে, নানা দিক থেকে অশান্ত হয়ে উঠতে পারে। আমরা এক অন্ধকার বাস্তবতার মুখে দাঁড়িয়ে আছি। কী হবে তা জানি না। ‘

সন্তু লারমা বলেন, চুক্তির দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও করফারেন্সে যা বলেছেন তার অনেক বিষয় বাস্তবতাবিবর্জিত। চুক্তি অনুসারে ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি, সেনা প্রত্যাহার, জুম্মদের শিক্ষা সংস্কৃতি রক্ষায় সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ কারণে পার্বত্যবাসীর জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই।আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য এবং সঞ্চালনায় ছিলেন জনসংহতি সমিতির সদস্য দীপায়ন খীসা। সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি, বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান, লেখক ও সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি নুরুর রহমান সেলিম, বাসদের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রুবায়েত ফেরদেৌস, সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মতুর্জা, অধ্যাপক সৌরভ শিকদার প্রমুখ। সভায় জনসংহতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরাও উপস্থিত ছিলেন।

উৎসঃ ourislam24


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]