রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৮

রানী ইয়েনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ক্ষুদ্ধ পার্বত্যবাসী: বাঙালী ছাত্র পরিষদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, ২৬ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাঙামাটি সদর হাসপাতালে যুদ্ধাপরাধীর পুত্র বধু কথিত রানী ইয়েন ইয়েন হাসপাতালের ডাক্তার ও প্রশাসনের সাথে অশোভন আচরণ করেন। তিনি প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের মারতে তেড়ে আসেন সাংবাদিকদের সামনেই, তার এই অশোভন ও উগ্র আচারণের ভিডিও ও স্থির ছবি রয়েছে। এসময় তার সাথে উষাতন তালুকদার এমপি কথিত রাজা দেবাশীষ রায় ও মানবধিকার কমিশনের রাঙামাটি জেলা শাখার সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা উপস্থিত ছিলেন। তখন তাদের সাথে ৪০০-৫০০ উপজাতীয় যুবক ছিলো, যারা অনেকেই সশস্ত্র অবস্থানে ছিলো, তারা জোর করে হাসপাতাল হতে বিলাইছড়িতে দুর্বৃত্ত কর্তৃক ধর্ষণ হওয়া দুই কিশোরীকে নিজের হেফাজতে নিয়ে নিরাপত্তাবাহিনী ধর্ষণ করেছে মর্মে স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করে। শেষমেষ কিশোরীর পরিবার হাসাপাতালের ডাক্তার আর প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে ব্যর্থ হয়ে সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে দেবাশীষ রায়সহ দলবল নিয়ে ফিরে আসে।

এখন পার্বত্যবাসীর প্রশ্ন হলো পার্বত্য চট্রগ্রামে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ইউপিডিএফ খুন গুম অপহরণ র্ধষণ করলে সেই ব্যাপারে কথিত রানী ইয়েন ইয়েনসহ মানবাধিকার কমিশনের রাঙামাটির সদস্য বাঞ্চিতা চাকমার তখন কোন তৎপরতা বা কোন প্রতিবাদ দেখা যায় না। কিন্তু কোন সন্ত্রাসী মারা গেলে তার পক্ষে প্রতিবাদ ও ব্যাপক তৎপরতা দেখা যায় ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের তৎপরতা দেখা যায়। যখন পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কর্তৃক বিশাখা চাকমা , ইতি চাকমা, মুকুল চাকমা, সাদিকুল ইসলাম, রবিউল, রতন, শান্ত, মোহনী ত্রিপুরা, বালাতি ত্রিপুরা, অরবিন্দু চাকমাসহ অসংখ্য নিরীহ পার্বত্যবাসীকে হত্যা করেছে তখন কথিত রানী ইয়েন ইয়েন ও মানবাধিকার কমিশনের বিতর্কিত সদস্য বাঞ্চিতা চাকমারা কোথায় ছিলো। তখন কেনো তারা সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোর সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানাননি ও প্রতিবাদ করেননি কেন?

তাহলে কি কথিত চাকমা রানী ইয়েন ইয়েন ও মানবাধিকার কমিশনের বিতর্কিত সদস্য বাঞ্চিতা চাকমা বিচ্ছন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলোর পক্ষে কাজ করছেন ও দেশ বিরোধী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন?

কথিত চাকমা রানী ইয়েন ইয়েনের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস দেখায় না। চাকমা জাতির অনেকেই অনেক গুণিজনও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য কথিত রানীর উপর ক্ষুব্ধ। পার্বত্য চট্রগ্রামের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে তার ব্যাপক আগ্রাসী ভূমিকা দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে। বাংলাদেশের জনগণের টাকা ও সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করে চাকমা রানী ব্যাপক হারে দেশবিরোধী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ বাঙালিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তার ফেসবুক স্ট্যাটাস ও সাম্প্রতীক সময়ে তার কর্মকাণ্ড সবই দেশের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের উচিৎ সাহসিকতার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা। অন্যথায় পরবর্তী লাগাম টেনে ধরা কষ্টকর হয়ে যাবে। চাকমা কথিত রানী বর্তমান প্রেক্ষাপটে ও পার্বত্য ইস্যু নিয়ে সন্তু লারমা প্রসিত বিকাশ সুধাসিন্ধু খিসার চেয়েও ভয়ানক, তার উগ্র সাম্প্রদায়িকতা মারাত্মক আকার ধারন করেছে।

প্রশাসন রাজাকার ত্রিদিব রায়ের নামে থাকা নাম ফলক অপসারণ করার হাইকোর্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন না করাতে রাজাকার পরিবারের সাহস ও দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ড দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তাই প্রশাসনের নিকট জোড় দাবি জানাচ্ছি হাইকোর্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে, বর্তমান সময়ের দেশ বিরোধী ও সবচেয়ে উগ্র সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি যুদ্ধাপরাধী ত্রিদিব রায়ের পুত্রবধু বার বার সম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর ঘৃণ্য অপচেষ্টা কারী ইয়েন ইয়েনকে আইনের আওতায় আনতে হবে ও মানবাধিকার কমিশনের বিতর্কিত সদস্য বাঞ্চিতা চাকমাকে অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

অন্যথায় আমরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে হরতাল অবরোধ সহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করে এক দফা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]