“জনতার মুক্তি সংগ্রামে এগিয়ে আসুন” স্লোগানে পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) আঞ্চলিক রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিরোধীতা করে আসা সংগঠনটির বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের জন্য ইউপিডিএফ আন্দোলন করে দাবি থাকলেও বিগত কয়েক বছর ধরে নিজ জাতিগোষ্ঠীদের মাঝে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে সংগঠনটি। পার্বত্য চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে পাহাড়ী বাঙালী দেখা হয় না বলে অভিযোগ সংগঠনটির বিরুদ্ধে। তবে একই অভিযোগ পাহাড়ের অন্যান্য আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে। ইউপিডিএফর বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে পাহাড়ী জাতিগোষ্ঠীরা দিনদিন স্বোচ্ছার হচ্ছেন। তাহলে কি গরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর মৌন সমর্থনপ্রাপ্ত সংগঠনটি জনসমর্থন হারাচ্ছে?
শনিবার (২০ জানুয়ারী) খাগড়াছড়ি সদরের ওচাই পাড়া এলাকায় সাধারণ পাহাড়ী গ্রামবাসীর ওপর হামলার প্রতিবাদে ইউপিডিএফর ৬ সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে ধাওয়া করে বিক্ষুদ্ধ জনতা। এদের মধ্যে চার সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে ধরে বেদম মারধর করে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করে গ্রামবাসী। আটককৃতরা হলো, মিশন ত্রিপুরা, রূপক বড়ুয়া, রবি জয় চাকমা ও অনুপম চাকমা। এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি দেশীয় তৈরী পিস্তল, ১৪ রাউন্ড তাজা গুলি, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। আহতাবস্থায় জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আটককৃতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান।
আলুটিলা পুনর্বাসন এলাকার বাসিন্দা বাবুল বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, শনিবার সকালে পুনর্বাসন এলাকার খোকন বিকাশ ত্রিপুরা ও আশিক ত্রিপুরা ওচাই কার্বারী পাড়ায় কাজ করতে যান। এসময় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা তাদের অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে। তারা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মারধর করে। এঘটনা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুদ্ধ জনতা বিকেলে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় হামলা চালায়। হামলার সময় আস্তানায় ছয়জন সন্ত্রাসী থাকলেও জনগণকে দেখে দুইজন পালিয়ে যায়। জনতা চারজনকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
এরআগে, ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর খাগড়াছড়ি সদরের পেরাছড়া এলাকার একটি পাহাড়ী বাড়ি থেকে ইউপিডিএফর শীর্ষ নেতা উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমাকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘরের বাসিন্দাদের বের করে দিয়ে সাংগঠনিক কার্যক্রমের জন্য গড়ে তোলা আস্তানা থেকে উজ্জ্বল জ্যোতি চাকমা অস্ত্রসহ আটক হয়। ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী ইউপিডিএফর আরেক শীর্ষ নেতা প্রদীপন খীসার বসত বাড়ি থেকে চাঁদার ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া ২০১৭ সালের শেষে ১৫ নভেম্বর ফাটল ধরে সংগঠনটিতে। প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন সংগঠনে গণতন্ত্রের চর্চা হচ্ছে না দাবি করে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটায় ইউপিডিএফর সামরিক শাখার শীর্ষ নেতা তপন বিকাশ চাকমা ওরফে বর্মা। তার নেতৃত্বাধীন সংগঠনটির বিরুদ্ধে সম্প্রতি সময়ে খুন হওয়া মিঠুন চাকমা হত্যাকাণ্ডসহ বেশ কিছু ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনীতি আবারও উত্তপ্ত।
ইউপিডিএফর মুখপাত্র নিরন চাকমা বলেন, গ্রামবাসীর হাতে ইউপিডিএফর কোন কর্মী আটকের খবর আমার জানা নেই। তবে গ্রামবাসী কেন ইউপিডিএফ কর্মীদের আটক করবে প্রশ্ন রেখে বলেন, হয়তো এর পেছনে অন্য কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে।
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]