রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১৮

ইউপিডিএফ‘র ৪ সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ আটক করেছে স্বজাতীয় জনতা।



চাঁদাবাজি করতে গিয়ে স্বজাতিদের হাতে ধোলাই খেলেন ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা। ব্যপারোয়া চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজির কারণে উপজাতীয় জনতা বিক্ষোদ্ধ হয়ে ওঠলো। পরিশেষে যা ঘটলো তার কারণে ইউপিডিএফ’র মানহানি হলো সর্বত্র। পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দুরে পর্যটন এলাকার আলুটিলার ১নং পূর্ণবাসন এলাকায় পার্বত্য শান্তিচুক্তি বিরোধী অাঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ চাঁদাবাজীকালে ৪ চাঁদাবাজকে অস্ত্রসহ আটক করেছে স্থানীয় উপজাতীয় জনতা। ২০ জানুয়ারি শনিবার বিকাল ৪-৩০ মিনিটের দিকে ৪ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র জানা যায়, আলুটিলা এলাকায় ইউপিডিএফ‘র ৪ চাঁদাবাজ জোড় পূর্বক চাঁদা আদায়ের চেষ্টা করলে স্থানীয় উপজাতীয় জনতা তাদের আটক করে মারধর শুরু করে। অবস্থা ভয়াবহ দেখে চাঁদাবাজরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরই মধ্য থেকে ২ সন্ত্রাসী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি সদর জোনের জোন উপ-অধিনায়ক মেজর শুভ ইসলাম পিএসসি, ক্যাপ্টেন সৌমিক আহমেদ এসপিপি ও ওয়ারেন্ট অফিসার্স নওয়াব হোসেনের নেতৃত্বে টহলরত আইনশৃঙ্গলা বাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটককৃতদের উপজাতীয় বিক্ষোদ্ধ জনতার হাত থেকে উদ্ধার করেন। তাদের ব্যাপারো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড জনতাকে বিক্ষোদ্ধ করলো।


জনতার হাতে আটককৃতরা হলো, ১। অনুপম চাকমা, ২। মিশন ত্রিপুরা, ৩। রবি জয় চাকমা ৪। রূপক বড়ুয়া। অারো জানা যায়, বাঙ্গালী বড়ুয়ারাও ইউপিডিএফ’র সাথে যোগ দিয়েছে। আটককৃত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ২টি এলজি, ৪টি কার্তুজ, ১০টি ২২ বোরেরএ্যামুনেশন, ১৩হাজার টাকা, চাঁদা আদায়ের রশিদ বই, ২টি ব্যাগ, ৩টি মোবাইল চার্জার, নোটবুক, সংগ্রহকৃত চাঁদার তালিকা, ও স্থানীয় জনগনের কাছ থেকে জোড়পূর্বক আদায়কৃত শীতের পোষাকসহ বিভিন্ন নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। ইউপিডিএফ যে সন্ত্রাসী তা উপজাতীয় জনতা দেরিতে হলেও বুঝতে পারলো।

স্থানীয় জনতার হাতে আটক ও আইনশৃঙ্গলা বাহিনী কতৃক উদ্ধারকৃত সন্ত্রাসীদের বিকাল ৫-৩০ মিনিটের দিকে খাগড়াছড়ি সদর থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে উল্লেখ করে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, আটককৃত খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বর্তমানে। এদের মধ্যে একজন গত ৭ জানুয়ারি ইউপিডিএফ’র অবরোধ চলাকালে খাগড়াছড়ি আলুটিলায় বিজিবির দক্ষিণ-পুর্ব রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত রিজিয়ন কমান্ডার কর্ণেল আনিসুর রহমানের গাড়ি বহরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার সাথে জড়িত। আটককুতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

প্রসঙ্গত, ইউপিডিএফ এর চাঁদাবাজির কারণে পার্বত্যবাসীর জীবন অতিষ্ট ও বিপর্যস্ত। অপর দিকে এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া নজরদারী রয়েছে বলেও জানাগেছে জানিয়েছে। উপজাতী চাঁদাবাজেরা সর্বত্র চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, গুম, চালিয়ে যাচ্ছে। উপজাতীয় জনতার হাতে অাটককৃত সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ইউপিডিএফ কোন বিবৃতি দেয়নি।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]