মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৮

অস্ত্রধারীকে সন্ত্রাসী হিসেবেই বিবেচিত করা হবে: হানিফ।


পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র তৎপরতা চালানো আঞ্চলিকদলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে দলীয় নেতাকর্মীরা হত্যাসহ হামলার শিকার হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, যে পাহাড়ে এক সময় অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিলো, প্রধানমন্ত্রী ৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে ৯৭ সালে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে এই পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস ফিরিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই পাহাড়ি এলাকায় আবারো নতুন করে অশান্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে। দাবি-দাওয়ার নামে অস্ত্র হাতে নিয়ে যারা এখনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন তাদের উদ্দেশ্যে খুব পরিস্কার ভাবে জানাচ্ছি অস্ত্র কোনোদিন শান্তির ভাষা হতে পারেনা। অস্ত্রের ভাষা কোনো দাবি আদায়ের ভাষা হতে পারেনা। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাঙামাটি জেলা শাখার বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল হানিফ এসব কথা বলেন।

রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি মিলনায়তনে আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রথম পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ আরো বলেন, পৃথিবীর কোথাও অস্ত্রদিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে কেউই তার রাজনৈতিক সুবিধা অর্জন করতে পারেনি, স্বাধীন বাংলাদেশেও পারবেনা বলে মন্তব্য করে হানিফ বলেন, আপনাদের যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতেই সমস্যার সমাধান হতে পারে।

এই লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার দরজা সব-সময় খোলা রয়েছে। কিন্তু সেটি নাকরে অস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করলে তিনি সন্ত্রাসী হিসেবেই বিবেচিত হবেন। আর সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কিভাবে পদক্ষেপ নিতে হয় সেটি বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদ দমনের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রমান রেখেছে। পাহাড়েও সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচিতদের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের করনীয় সবকিছুই করবে। এখনো যারা সন্ত্রাসের পথে রয়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে পাওযা যাবে, কিন্তু অস্ত্রের ভাষা দিয়ে সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবেনা।

এই সরকার দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্যে বদ্ধ পরিকর জানিয়ে হানিফ বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মূল উৎপাটন করতে যা যা করনীয় তার সবটুকুই করবে। এই ধরনের যেকোনা সমস্যার সমাধান করতে বর্তমান সরকার সক্ষম এটা ইতিপূর্বে প্রমানও করেছি। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হানিফ বলেন, আপনাদেরকে আমরা আশস্থ করতে চাই, নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে আপনারা সাংগঠনিক কর্মকান্ড করে যান।

তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের উপর যদি বিচ্ছিন্নভাবে আর একটিও হামলার ঘটনা ঘটানো হয়, তাহলে সেগুলো কিভাবে মোকাবেলা করতে হয় সেটা আমরা জানি এবং প্রশাসন সেভাবেই সেগুলো মোকাবেলা করবে। অন্যায় করে কেউ পারপাবে এটা হবেনা উল্লেখ করে হানিফ বলেন, পাহাড়ের মানুষের নিরাপত্তা ও শান্তির জন্যে অত্রাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইনের যতটুকু প্রয়োগ করা দরকার তার সবটুকু অবশ্যই প্রয়োগ করবে।

রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো: মুছা মাতব্বরের সন্ঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এম.পি, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক মাহফুজুল আলম, সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বক্তব্য রাখেন।

এরআগে সভাস্থলে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বর্ধিত সভার কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় সভাস্থলে স্থাপিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় ৪ নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

জাতীয় ইস্যুতে সবসময় সরব থাকা কেন্দ্রীয় নেতা হানিফ বলেন, বিএনপি জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে সরকারের ভেতরে সরকার সৃষ্টি করেছিলো। সেই ভেতরের সরকারটি পরিচালনা করতো হাওয়া ভবন থেকে। একারনেই সেসময় বাংলাদেশ পাঁচবার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। সেই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে দেশের আপামর জনসাধারণ জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বেঁচে নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডকে মূল্যায়ন করেই বাংলাদেশের জনগন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো তাঁকে রাস্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন করবেন এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হবে। বাংলাদেশ আজ আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিশ্বের অন্যতম সফল নেতৃত্বের তালিকায় ঠাই পেয়েছেন।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন গত ৯ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বাংলদেশে প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়নের যে কর্মকান্ড সম্পাদন হয়েছে সে সব উন্নয়নের কথা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে দেশের সাধারণ জনগনের মধ্যে পৌছাতে হবে। তিনি বলেন যারা এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেন তাদের বিচার আদালত করবে তাই আদালত খালেদা জিয়ার বিচারের যে রায় দিবেন সেটাই মেনে চলতে হবে।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]