ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল সম্প্রতি তার এক বক্তব্যে মাদরাসা ও মাদরাসা শিক্ষা নিয়ে কটাক্ষ করে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। তার মন্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বইছে। অ্যানালাইসিস বিডির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মাদরাসা শিক্ষা ও ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করা মেসবাহ কামালের পুরনো অভ্যাস। প্রায় সময়ই তাকে এসব নিয়ে কটুক্তিমূলক মন্তব্য করতে দেখা গেছে। নাস্তিক ও বামপন্থিদের সমন্বয়ে গড়ে উঠা শাহবাগের কথিত গণজাগরণ মঞ্চেও তার উপস্থিতি ছিলো উল্লেখ করার মত। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ষড়যন্ত্রেও তার বিচরণ রয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চরম চাটুকার হিসেবেও মেসবাহ কামাল সমধিক পরিচিত। টকশো ও আলোচনা সভাগুলোতে তাকে নির্লজ্জভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের সকল অন্যায় ও অপকর্মের পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। তার চাটুকারিতার কিছু চিত্র ফুটে উঠেছে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. তুহিন মালিকের কথায়।
একুশে টিভির পুরনো একটি টকশোতে দেখা গেছে, মেসবাহ কামালকে সীমান্তের ওপারের টাকা খাওয়া দালাল বলে অভিহীত করেছেন তুহিন মালিক। ২০১৪ সালের ঐ টকশোতে তুহিন মালিক মেসবাহ কামালের সামনেই বলেন, সীমান্তের বাইরে যাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে তাদের কোনো অধিকার নেই এই দেশ নিয়ে কথা বলার। তিনি বলেন, অন্যের পয়সা খেয়ে যারা দালালী করে তাদের এ দেশ নিয়ে কিংবা কারো দেশপ্রেম নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কথা তুলে ধরে তুহিন মালিক বলেন, দলগুলোর কোনো দোষ নেই, দোষ হচ্ছে এদের সাথে যেই চাটুকারগুলো আছে, যারা এদের চাটুকারিতার সুযোগ নিয়ে খেয়ে পরে বেঁচে আছে। এবং তাদের কারণেই কিন্তু দলগুলো নষ্ট হচ্ছে।
তুহিন মালিক মেসবাহ কামালকে টার্গেট করে আরো বলেন, ৫ জানুয়ারির পর সরকার কেনো টিকে গেলো? টিকে গেছে এরকম লোকদের কারনেই টিকে গেলো। তারা সরকারকে এটার জন্য প্রশ্রয় দিয়েছে যে এখন নির্বাচন দরকার নেই, গণতন্ত্র দরকার নেই, এখন জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো, আমরা আছি সাথে। আমরা এটার ভাগ বাটোয়ারা পাবো।
মেসবাহ কামাল তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন একটি উচ্চতর মাদরাসায় পরিণত হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় মাদরাসার ছাত্রদের সাথে কম্পিটিশন করে স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা জায়গা পাচ্ছে না। আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ ভাগেরও বেশি ভর্তি হয় মাদরাসার ছাত্রছাত্রীরা। এটা কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।’
মাদরাসা শিক্ষাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ‘মাদরাসায় ছাত্রদেরকে নাম্বার দেয়া শুরুই হয় বোধহয় ৯০ থেকে। পারলে ১০০ এর মধ্যে ১০০ এর চেয়ে বেশি দিয়ে দেয়। তাই মাদ্রাসার ছাত্ররা এমনি এমনি ৮০ পেয়ে যায়। আর স্কুলে আমাদের সন্তানরা যারা পড়ে তাদেরকে অনেক সংগ্রাম করে নাম্বার পেতে হয়!’
তিনি আরো বলেছেন, ‘মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজীর ভিত্তি এত খারাপ, মাদ্রাসায় যে ইংরেজী পড়ে আসে সেটা হচ্ছে ক্লাস ফোরের সমমান। ইংরেজীতে দক্ষতা বিহীন মাদরাসার ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হয়ে গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে টেনে টেনে নীচে নামিয়ে নিয়ে আসছে।’
যেখানে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে নানা রকম প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। এমন কয়েকটি বিষয়ে তাদের ভর্তি সম্পূর্ণরুপে রুদ্ধ করা হয়েছে। সেখানে মেসবাহ কামালের এমন ডাহা মিথ্যাচারমূলক বক্তব্য সবাইকে অবাক করেছে। তার এই বক্তব্যে নিজের সেক্যুলার আদর্শের বিপরীতে মাদরাসা শিক্ষার প্রতি চরম বিদ্বেষের চিত্রই ফুটে উঠেছে।
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]