রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

মুখ থুবড়ে পড়ছে উপজাতিদের মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম


শিক্ষার্থী আছে, বইও আছে। কিন্তু নেই পড়ানোর মত শিক্ষক। তাই পড়তে এসে হতাশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা। দক্ষ-অভিজ্ঞ শিক্ষকের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম। অন্যদিকে চলতি বছর প্রাক-প্রাথমিকের পর প্রথম শ্রেণিতে মাতৃভাষায় শিক্ষা সুযোগ পেয়েছে পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা। নিজ নিজ মাতৃভাষায় বাংলা, গণিত ও ইংরেজি বই পেয়ে খুশি ওরা। কিন্তু শিক্ষক সঙ্কটের কারণে অনিশ্চিত হয়ে পরেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় শিক্ষা কার্যক্রম। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে রাঙামাটিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নিজস্ব মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়। সে সময় প্রাক-প্রাথমিকে চার জাতিগোষ্ঠী অর্থাৎ চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও সাদ্রি ভাষার ওপর প্রণীত স্ব স্ব মাতৃভাষার পাঠ্যবই শিশুদের হাতে তুলে দেওয় হয়। এ বছরও প্রথম শ্রেণিতে নিজস্ব মাতৃভাষায় বই পায় শিক্ষার্থীরা। জাতীয়ভাবে প্রণীত বইয়ের আদলেই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় এসব বইয়ের তৈরি করা হয়েছে। বর্ণভিত্তিক পরিচয়গুলো দেওয়া হয় নিজস্ব সংস্কৃতির। নিজেদের ভাষায় নতুন বই পেয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা আনন্দীত হলেও বই পড়ানোর মত পায়নি শিক্ষক। তাই গত ২মাসেও চালু হয়নি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় প্রথম শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম।

 রাঙামাটি জেলার ১০টি উপজেলার প্রায় ছয় শতাধিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের। স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পৌছানো হলেও এখন উদ্বেগ পাঠদান নিয়ে। শুধুমাত্র প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাবে শুরু করা যায়নি প্রথম শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম। তাই পাহাড়ের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের নিজ মাতৃভাষায় পড়া-লেখা নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্টরা।এ ব্যাপারে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় বইয়ের রচয়িতা প্রশন্ন কুমার চাকমা বলেন, বই ছাপিয়ে শিশুদের হাতে তুলে দিলেই তারা পড়তে পারবেনা। তাদের পড়ানোর মত শিক্ষক প্রয়োজন। কিন্তু এখানে তো শিক্ষকই নেই। তাহলে পড়াবে কে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় পড়ানোর মত দক্ষ-প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকলে এসব বই কোন কাজে আসবে না। বইগুলো স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে অযথা পড়ে থাকবে।

অন্যদিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাতৃভাষায় বই পড়ানোর মত শিক্ষক সঙ্কটের কথা স্বীকার করলেন রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রওশন আলী। তিনি জানান, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক আমরা এখনো তৈরি করতে পারিনি। গত বছর রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ১৫ লাখ টাকা দিয়েছিল শিক্ষকদের ১৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। সে সময় আমরা সাড়ে ১৪ লাখ টাকা খরজ করে ৩৬২জন শিক্ষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করি। এ বছরও আমরা ৩৫০জন শিক্ষকদের এ মাতৃভাষার উপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব।

এ ব্যাপারে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, রাঙামাটি জেলায় ৬১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাতৃভাষা বই পড়ানোর মত শিক্ষক দিতে। তার জন্য ২৫০জন শিক্ষকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদযোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি চলতি মাসের মধ্যে এ শিক্ষাক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলছে, শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার আগে অবশ্যই প্রশিক্ষণের প্রয়োজন ছিল। শিক্ষক সঙ্কট সমস্যা সমাধান করা না হলে পাহাড়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নিজ নিজ মাতৃভাষার পড়া-লেখার স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়বে।

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]