বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মার্সি বার্নিকার্ট রাঙামাটি চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় আর তার দেশদ্রোহী বউ, চাকমা সার্কেল চীফ তথাকথিত রানী (২য় পত্নী রাণী) ইয়েন ইয়েন এর সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাতে রাজ বাড়িতে আগমন। জানা যায় বার্নিকাট রাজ পরিবারের সাথে ঘন্টা খানেক মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় কালে সম্প্রতি বিলাইছড়ির দুই তথাকথিত আদিবাসী মারমা তরুণী ও চাকমা রাণী য়েন য়েন এর উপর হামলার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। পূর্বের কোন ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পার্বত্য রাঙামাটি জেলায় আসেন। ১২ মার্চ সকাল ১১টায় রাঙামাটি শহরের চাকমা রাজবাড়িতে চাকমা রাজ অফিসে আসেন বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়। সার্কেল অফিসে ১ ঘন্টা গোপন বৈঠক করেন মার্সি বার্নিকার্ট। সেখানে বাংলাদেশ সরকারের প্রশাসনের কোন লোক ছিলো না, ছিলো না কোনো রাজনৈতিক ব্যাক্তি, এতে প্রশাসনের কোন লোকজনকে ডুকতে দেওয়া হয়নি। এমন বৈঠকের খবর ছড়িয়ে পড়লে জনমতে বিভ্রান্তি সহ আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। যেহেতু পার্বত্য রাঙামাটি জেলাতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের বসবাস। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে। এমন সফর ও গোপন বৈঠকের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিশৃঙ্খলা সহ বিভিন্ন ধরণের অরাজনৈতিক সৃষ্টি হবে। হে বাঙালী কিছু কি বুঝতে পারছো? পুর্ব তীমুর হতে কয়দিন বাকী? দেশদ্রোহী, বিচ্ছিন্নতাকামী,জংগীগোষ্টীর আন্তর্জাতিক লবিং গ্রুপের নেতা রাজকার পু্ত্র দেবাশীষ রায় চাকমার বিদেশী কুটনীতিকের সাথে গোপন বৈঠক অমার্জনীয় অপরাধ।রাষ্ট্রকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যতায় পার্বত্য বাসী ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।এর জন্য প্রশাসনকে দায়ী থাকতে হবে।
আমরা সবাই পাহাড়ে আঞ্চলিক উপজাতীয় সসস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের যাতাকলে পৃষ্ট। পাহাড়ি জনপদ অতিবাহিত করছে চরম দূর্দিন। সন্ত্রাসীরা কোন রুপ বাধা ছাড়াই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে বৈদেশিক কোন রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদ্রোহী উপজাতীয় সসস্ত্র নেতার সাথে ঘন্টাব্যাপি রুদ্ধদ্বার বৈঠক — নেহাত খামখেয়ালিপনা হিসেবে নিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। এটা যে পাহাড়ে গভীর ষড়যন্ত্রে পেট্রল ঢেলে দেওয়া —সেটা সুস্পষ্ট।
আমরা যারা পাহাড় নিয়ে তুলনামূলক গবেষনা করছি, দেশবাসীর কাছে পার্বত্য আসল রহস্য তুলে ধরতে অবিরত চেষ্টা করছি তাদের দৃষ্টিতে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান যে, পার্বত্য উপজাতীয় রাষ্ট্রদ্রোহী সন্ত্রাসীদের প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করছে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত। এরপর যে রাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের কূটনৈতিক সমর্থন ও সহায়তা দিয়ে আসছে সেটি হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে হয়তো এটা অজানা যে, ৭১ এ যে রাষ্ট্রটি পাকিস্তানীদের প্রত্যক্ষ সহায়তা করেছিলো সেটি ছিলো এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মুসলিম দিয়ে মুসলিম হত্যায় নীল নকশা ছিলো এই ঘাতকদেরই। তাইতো দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে তার প্রথম ভাষনে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেননি। ৭১এর সেই মার্কিনীরা এখনো লেগে আছে বাংলাদেশ বিরোধী দেশদ্রোহী সন্ত্রাসীদের সাথে। যারা পার্বত্য উপজাতিদের আদিবাসী হিসেবে মাইগ্রেট করিয়ে পাহাড়ে তাদের ঘাটি স্থাপন করতে মরিয়া হয়ে আছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে গবেষনা করতে গিয়ে আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্ক্যে একটি ষড়যন্ত্র প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে সেটি হলো মার্কিনী ষড়যন্ত্র। পৃথিবীর মুসলিম রাষ্ট্র ধ্বংসের রুপকার মার্কিনীরা বাংলাদেশের প্রতি উত পেতে আছে। আজ যদি পার্বত্য উপজাতিরা রাষ্ট্রীয় ভাবে আদিবাসী স্বীকৃতি পায় তবে ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হতে না হতেই পাহাড়ে মার্কিন ঘাটি স্থাপিত হবে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শুরু হয়ে যাবে মুসলিম গণহত্যা।
বাংলাদেশের যে ব্যক্তিটির সাথে যুক্তরাষ্ট্রের হোট সম্পর্ক তিনি হলেন রাজাকার পুত্র দেবাসীষ রায়। বস্তুতঃ যুক্তরাষ্ট্রই এই সন্ত্রাসীকে বুদ্ধি দিয়ে, সাহস দিয়ে পাহাড়ে ভাইরাস হিসেবে রেখে দিয়েছে। সমসাময়িক রাঙ্গামাটির আলোচিত ইস্যুতে রাজাকার পুত্র এবং তার স্ত্রী য়েন য়েন কিছুটা বিব্রত। সেনা বিরোধী বড় নাটকে ব্যর্থ হয়ে অনেকটা তাদের দেশবিরোধী মুখোষ জাতির সামনে উঠে এসেছে। এই অবস্থায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাজাকার পুত্রের সাথে গোপন বৈঠক পাহাড়ে কি অশুভ বার্তা বয়ে আনছে তা এখনই রাষ্ট্রের বিবেচনা করা উচিত। কেননা, ইতোমধ্যেই পাহাড়কে রাজাকার পুত্র দেবাসীষ রায় তার সসস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন দ্বারা আলাদা রাষ্ট্র "জুম্মল্যান্ড" গঠনের হুমকি দিয়ে ফেলেছে। এছাড়া পার্বত্য খাগড়াছড়ির প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সসস্ত্র ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি জেলায় রাষ্ট্র বিরোধী স্বায়ত্বশাষন দিবস উদযাপন করেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ বিরোধী চক্রান্ত এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। যে কোন মূহুর্তে পাল্টে যেতে পারে চিত্র। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেবাসীষ রায়ের প্রতি ষড়যন্ত্রের গুরুত্ব্যপূর্ণ কোন আদেশ প্রদান করেনি তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র?
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]