জুনিয়র ঘুন্ডুস বাবু : সত্য প্রকাশে কলম চলবে : নিন্মোক্ত পোস্টি পরিপেক্ষিতে কিছু পূর্বের সত্য ঘটনা তুলে ধরলাম। ২০০৬ সালে ইউপিডিএফ প্রায় নির্মূলের শেষ প্রান্তে পৌছে গিয়েছিলো।তখনকার সময় অনেক ইউপিডিএফ নেতা কর্মী অর্থ বিভাগের পরিচালক ও কালেক্টর দলীয় কোন্দলে নিষ্ক্রিয় হয়ে সুস্হ জীবনে ফিরে যেতে চেয়েছিলো।ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যকার ভ্রাতৃত্ব সংঘাতের আতঙ্কে অনেক ইউপিডিএফ নেতা কর্মী দলত্যাগ করতে বাধ্যঁ হয় এমনকি ইউপিডিএফ নীতিভ্রস্ত দূর্নীতিগ্রস্ত কর্মীদের গুরুত্বহীন শুধুমাত্র সুবিধাবাদী কর্মীদের সুযোগ সুবিধা দেওয়া কারণে ইউপিডিএফ গুরুত্বপূর্ণ নেতা সঞ্জয় চাকমা অভিলাস চাকমা অনিল চাকমা (গোর্কি) সহ অনেক নেতা কর্মী দলত্যাগ করেন।তখনকার সময়ে দলত্যাগী কর্মীদের ইউপিডিএফ সংগঠনটি হত্যা মুক্তিপন চালিয়েছিলো।ইউপিডিএফ গুরুত্বপূর্ণ নেতা সঞ্জয় দিপ্তি সংকর চাকমারা বিদেশে পালিয়ে প্রান বাচাঁয় অভিলাশ চাকমা নিজ দল ইউপিডিএফ হাতে গুলিতে নিহত হয় এবং অনিল চাকমা গোর্কি প্রান বাচাঁনোর জন্য সন্তু লারমা জেএসএস সাথে যোগাযোগ করেন।সন্তু লারমা সহযোগীতায় ও চলমান ভ্রাতৃত্ব সংঘাত আধিপাত্য বিস্তার হিসাবে বহিঃ কার্যকলাপ চালানো জন্য ইউপিডিএফ দলত্যাগী সেকেন্ড ইন কমান অনিল চাকমা গোর্কি সন্তু লারমা জেএসএস ইবন্ধনে বোরকা পাটি গ্রুপ সৃষ্টি করে।
বোরকা পাটির নিয়ন্ত্রন ছিলো লক্ষীছড়ি বর্মাছড়ি মানিকছড়ি রামগড় গুইমারা মাটিরাঙা পর্যন্ত।বোরকা পাটির মূল উদ্দেশ্যে ছিলো ইউপিডিএফ নির্মূল করা কারণ বোরকা পাটির প্রতিষ্ঠাতা অনিল চাকমা গোর্কিকে দলত্যাগ করার শাস্তি মৃত্যুদন্ড হিসাবে ইউপিডিএফ জারি করে। ইউপিডিএফ থেকে প্রান বাচাঁনো এ আত্মরক্ষা প্রতিষ্ঠা করার জন্য বোরকা পাটির কমান্ডার অনিল চাকমা গোর্কি সেই পথ বেচেঁ নিয়েছিলো।যা বর্তমানে গনতন্ত্র ইউপিডিএফ নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য অনিল চাকমার মত বর্মা জিদু একই প্রন্হা অবলম্ভবন করেন। ইউপিডিএফ প্রতিষ্ঠা পর থেকে অনিল চাকমা গোর্কি সশস্ত্র গ্রুপে সেকেন্ড ইন কমান দায়িত্ব পালন করে আসছিলো ২০০৮ সাল পর্যন্ত এরপর তপন জ্যোতি বর্মাকে ইউপিডিএফ সশস্ত্র সেকেন্ড ইন কমান্ড বানানো হলো। ২০১০ সালে ইউপিডিএফ শাসকগোস্তির সাথে হাত মিলিয়ে মানিকছড়ি ক্যাম্পে ক্যাপ্টেন মোঃ নুরুকে টাকা ও তথ্য দিয়ে লক্ষীছড়ি বর্মাছড়ি সেনা অভিযান চালিয়ে অনিল চাকমা গোর্কি বোরকা পাটি গ্রুপে আক্রমন করলে অনিল চাকমা গোর্কি, মোঃ ইব্রাহিম সহ প্রায় ১২-১৫ জন মারা যায় অন্যরা পালিয়ে যায়।তখনকার সময়ে বেচেঁ থাকা বোরকা সদস্য সন্তু লারমা সশস্ত্র গ্রুপে যোগদান করেছে।ইউপিডিএফ ঘরের বন্ধুদের বানিয়েছে শত্রু যাদেরকে হত্যা করার জন্য শাসকগোষ্ঠীকে ব্যবহার করেছিলো।লড়াই হয় অধিকারের জন্য, বেচেঁ থাকার জন্য ,অস্তিত্ব ঠিকে রাখার জন্য। ইউপিডিএফ কট্টর নীতি ও আদর্শচ্যুত লেজুর, সুবিধাবাদ, দূর্নীতি কারণে তাদের থেকে জন্ম হলো দলত্যাগী অনিল চাকমা গোর্কির বোরকা পাটি, দলত্যাগী তপনজ্যোতি চাকমা ও জোলিয়া চাকমা তরু গড়ে উঠা গনতান্ত্রিক ইউপিডিএফ। ইউপিডিএফ অগনতান্ত্রিক প্রসীত খীসা ঘরের শত্রু বিবিসন ভূমিকা রয়েছে।
প্রায় ৩ বছর আগে ইউপিডিএফের স্বশস্ত্র বিভাগের সেকেন্ড ইন কমান্ড তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ ইউপিডিএফের শীর্ষ কয়েকজন কমান্ডার সঙ্গীসহ দলত্যাগ করেন। জীবন বাঁচাতে তারা আশ্রয় নেন আরেক আঞ্চলিক দল সংস্কারপন্থী নামে পরিচিত পিসিজেএসএস (এমএন) দলের ছত্রছায়ায়। প্রায় দীর্ঘ তিন বছর জেএসএস (এমএন) দল তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখলেও শেষ পর্যন্ত তারা বর্মাদের নিজেদের দলে আশ্রয় দেয়নি। বর্মাদের দলে আশ্রয় দেয়া না দেয়া নিয়ে জেএসএস (এমএন) দলের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে বিভক্তি তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত দলটি নিজেদের মধ্যে আন্তঃকোন্দল ঠেকাতে বর্মাদের নিজেদের দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
উপরন্তু বর্মাদের উপর প্রসিতপন্থী ইউপিডিএফের বারংবার হামলার চেষ্টা বর্মাসহ দলছুট কর্মীদের জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। যখন বর্মারা চুড়ান্তভাবে বুঝতে পারে যে, জেএসএস (এমএন) দল তাদেরকে নিজেদের কর্মীর স্বীকৃতি দিতে নারাজ, অন্যদিকে প্রসিতপন্থী ইউপিডিএফের বারংবার তাদের হত্যাচেষ্টা তাদেরকে বেঁচে থাকার তাগিদে আরেকটি দল গঠনে বাধ্য করে। তাদের এ দুর্বলতাকে পুরোদমে লুপে নেয় পিসিজেএসএস (এমএন) দল। কারণ বর্মাদের বড় শত্রু তখন ত্যাগকৃত ইউপিডিএফ দলটি।
এ অবস্থায় নিজেদের নিরাপত্তা তাগিদে বর্মাদের একটি গাছের ছায়ার প্রয়োজন ছিল। আর সেটি একমাত্র পিসিজেএসএস (এমএন) দল ছাড়া আর কেউ হতে পারে না। তাই পিসিজেএসএস (এমএন) দলে স্থান না পেলেও তারা নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে আরেকটি সংগঠন সৃষ্টিতে এমএন দলের সহযোগীতা কামনা করে।
অন্যদিকে পিসিজেএসএস (এমএন) দলও নিজেদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে বর্মাদের মদদ দিতে শুরু করে। কারণ, দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই এমএন দল ইউপিডিএফের আশ্রিত ছিল। তাই ইউপিডিএফ দলটিকে বেড়ে ওঠার কোনরকম সুযোগ তে দেয়ই নি বরং লেজুর, দালাল, জাতদ্রোহী ইত্যাদির অভিযোগ এনে কীভাবে তাদের ধ্বংস করা যায় সে চিন্তা নিয়েই মত্ত ছিল।
সাইবার ও মাঠ পর্যায়ে পান থেকে চুন খসে পড়লেই তারা জেএসএস (এমএন) দলের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগত। এককালে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতের সময়ে জেএসএস (এমএন) ও ইউপিডিএফ এক হয়ে পিসিজেএসএসের বিরুদ্ধে লড়েছিল। লোকমুখে শোনা কথা অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ইউপিডিএফ নিজেদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত দীঘিনালার বাবুছড়া থেকে নাড়াইছড়ি পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা পিসিজেএসএসের হাতে চলে যাচ্ছিল। প্রায় অধিকাংশ এলাকা দখল করে পিসিজেএসএসের স্বশস্ত্র গ্রুফ বাবুছড়ার কাছাকাছি এসে পড়েছিল। একমাত্র জেএসএস (এমএন) দলের ইউপিডএফকে সামরিক সহায়তার কারণে পিসিজেএসএস আর এগোতে পারেনি। পরে আবারো এমএন দলের সামরাক সহহায়তায় দখলে চলে যাওয়া অধিকাংশ এলাকা ইউপিডিএফ পুররুদ্ধার করতে পেরেছিল।
তখন তারা নিজেদের অস্তিত্ত্ব ঠিকিয়ে রাখার তাগিদে পরষ্পরের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরন দেখাত, একজোট হয়ে লড়াই করত। কিন্তু যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পরপরই পিসিজেএসএসের সাথে লড়াই থেমে যায়। সেই সাথে দল দুটি যার যার অবস্থানে নিজেকে গুঠিয়ে নিয়ে নিজেদের এলাকাগুলোতে প্রভাব বিস্তারের দিকে মনযোগ দেয়। ফলে দুটি দলের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। নব্য দল হওয়ায় জেএসএস (এমএন) দল নিজেকে অগোছালো রেখেই আদিপত্য ধরে রাখার দিকে মনযোগ দিতে বাধ্য হয়। এ দুর্বলতার সুযোগেই ইউপিডিএফ তাদের মাথার উপর কাঠাল ভাঙতে শুরু করে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর পর ইউপিডিএফ জেএসএস (এমএন) দলকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। তারা প্রকাশ্যে এমএন দলের কার্যক্রমে বাঁধা প্রদান করতে শুরু করে। কিন্তু জেএসএস (এমএন) দলের নেতাদের নিজের মধ্যে ঐক্যের অভাবে ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যার্থ হয়।
ইউপিডিএফও জেএসএস (এমএন) দলের এই দুর্বলতাকে টের পায় এবং এ দূর্বলতার সুযোগে একের পর এক এলাকা দখল ও প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। এরই পরিপেক্ষিতে যুদ্ধবিরতি চলাকালীন সময়েও ইউপিডিএফ জেএসএস (এমএন) দলের কর্মীদের উপর চোরাগুপ্তা হামলা, অপহরণ ও হত্যার মত ন্যাক্কার কার্যক্রম থামায়নি। ফলশ্রুতিতে জেএসএস (এমএন) দল কিছু এলাকায় প্রতিরোধ দিলেও তারা বড় ধরণের কোন জবাব দিতে পারেনি।
এরপর ইউপিডিএফ জেএসএস (এমএন) দলকে একেবারে দুর্বল করে দিতে তাদের অর্থবিভাগকে নিশ্চিহ্ন করতে মাঠে নামে। যার ফলশ্রুতিতে এমএন দলের কালেক্টরদের ঠিকে থেকে দলকে অর্থনৈতিক সমর্থন যোগানো কঠিন হয়ে পরে। পরে পরিস্থিতি আরো চরমে উঠলে এমএন দলের কালেক্টরদের একটি বড় অংশ নির্ধারিত পোস্ট ছেড়ে নিরাপদ যায়গায় ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
এতে নিজেদের ঠিকে থাকার প্রয়োজনে ইউপিডিএফকে যে কোন প্রকারে দুর্বল করা এমএন দলের জন্য অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। এখানে বর্মারা দাবার খুঁটি রুপে আবির্ভূত হয়। বর্মাদের ইউপিডিএফ এর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে রণাঙ্গণ থেকে একটু বিশ্রাম নিতে চায় তারা। ফলে তারা গোপনে বর্মাদের মদদ দিতে শুরু করে।
বিগত ১৪ই নভেম্বর বর্মারা আনুষ্ঠানিকভাবে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) নাম দিয়ে নিজেদের যাত্রা শুরু করে। এতে প্রসিতপন্থী ইউপিডিএফ চরম ক্ষিপ্ত হয়। বর্মাদের মুখোশ বাহিনী, সেনাবাহিনীর দালাল, জারগো পার্টি ইত্যাদি ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে তারা বিজ্ঞপ্তির পর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, সড়ক অবরোধের মত কর্মসূচী দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা বর্মাদের অর্থ, নারীসহ কয়েকটি কেলেংকারী জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপিডিএফ থেকে বহিঃস্কৃত দাবি করে। কিন্তু ৩ বছর আগে যখন বর্মারা দলছুট হয়েছিল তখন "বহিঃস্কার করা হয়েছে" এমন দাবি নিয়ে দলটি কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তাই বর্তমানে তাদের এহেন প্রতিক্রিয়া পার্বত্য রাজনীতিতে নিজেদের "ফায়দা লুটার জন্যই" ধরে নেয়া যেতে পারে।
বর্মাদের নিয়ে স্বার্থ নিঃসন্দেহে সেনাবাহিনী ও জেএসএস (এমএন) দলের। যদিও সেনাবাহিনী ও জেএসএস (এমএন) দলের স্বার্থ এক নয়। সামগ্রিক দিক বিবেচনায় জেএসএস (এমএন) দল ও সেনাবাহিনীর স্বার্থকে একপাক্ষিকভাবে একই পাল্লায় মাপাটা ভূল হবে। এতে সংঘাত বাড়বে।
কারণ সেনাবাহিনী চায় পাহাড়ে দল বাড়ুক, সংঘাত ত্বরান্বিত হোক। অন্যদিকে পিসিজেএসএস (এমএন) শুধু নিজেকে ঠিকিয়ে রাখার তাগিদেই দল গঠনে মদদ দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত যদি বর্মারা সেনাবাহিনীর আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় বিস্তৃত পরিসরে না হলেও এর আংশিক দ্বায় জেএসএস (এমএন) দলটির ওপর বর্তাবে। এতে ইউপিডিএফের দ্বায়টাই মুখ্যত দৃশ্যমান থাকবে। বর্মারা সৃষ্টি হওয়ার পেছনে ইউপিডিএফের রাজনৈতিক অক্ষমতার ও অপরিণামদর্শী পরিচয় বহন করে। কারণ, দলত্যাগী নেতাকর্মীদের হত্যা, অপহরণের মধ্য দিয়েই তারা বর্মাদের নতুন দলে যোগ দিতে কিংবা দল গঠনে বাধ্য করেছে। ভবিষ্যতে যদি বর্মারা জুম্ম জাতির জন্য সত্যিই ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায় তাহলে এর অধিকাংশ দ্বায় ইউপিডএফ বহন করতে বাধ্য।
জেএসএস (এমএন) দলের নেতাদের আরও দূরদর্শী চিন্তাভাবনা করা উচিত ছিল। জাতির এহেন দুর্দশায় তাদের আরেকটি নতুন দল সৃষ্টিতে মদদ দেওয়া কখনোই উচিত হয়নি। অন্তত জণগণের স্বার্থ বিবেচনায় তাঁদের এহেন কার্যক্রম থেকে নিজেদের দূরে রাখা প্রয়োজন ছিল। দলীয় স্বার্থকে সামগ্রিক স্বার্থের চেয়ে গুরুত্ত্বপূর্ণ মনে করেছে তারা। যা একজন রাজনৈতিক বিপ্লবীর খ্যাত চরিত্র নয়।
অন্যদিকে ইউপিডিএফের উচিত আরো সহানুভূতিশীল হওয়া। মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে জেএসএস (এমএন) দলের উপর চড়াও হওয়াটা রাজনৈতির শিষ্টাচার বহির্ভূত। তাদের এহেন অদূরদর্শী চিন্তাভাবনার ফলে জাতি আরো পিছিয়ে পড়তে পারে। বর্মাদের মত করে পাহাড়ে আরো দল গজিয়ে উঠতে পারে। যার ফলশ্রুতিতে শুধু সংঘাত বাড়বেই।নিজেদের পাহাড়ের একমাত্র তথাকথিত মুক্তিকামী সংগঠন হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টাই জাত ধ্বংসের দিকে মোড় নিতে পারে। তাদের এ হীন চিন্তাভাবনা আরো একটি নতুন দলের জন্ম দেবে। নিজেদের সঠিক বলে মনে করার প্রবণতা জাতিকে মহা সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। দলগুলোকে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়াতে বাধ্য করবে।
ভবিষ্যতে যদি ইউপিডিএফ তাদের এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখে তাহলে সন্তু লারমা নেতৃত্ত্বাধীন পিসিজেএসএসও রুপায়ন, সুধাসিন্ধুদের মত নিজেদের দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে বাধ্য হবে। এ ব্যাপারে ইউপিডিএফের আরেকটু উদার হওয়া প্রয়োজন। যুদ্ধবিরতি চলাকালেও অন্য দলের কর্মীদের উপর ইউপিডিএফের চালানো হত্যাকান্ড কোনভাবেই একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। ইউপিডিএফকে এহেন হীন কার্যক্রম থেকে সরে আসতে হবে।
পরিশেষে বলবো, বর্মারা বেশিদূর যেতে পারবে না যতটা পিসিজেএসএস (এমএন) দল এগিয়েছে। অবশ্য দল ভাঙ্গনের প্রতিযোগীতায় বর্মারা সুধাসিন্ধু, রুপায়ন, পেলেদের থেকে শতগুনে পিছিয়ে। বর্মাদের কার্জক্রম সামরিক কার্যকলাপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে ধরে নেওয়া যায়। কারণ, পাহাড়ের একটি স্বতন্ত্র সংগঠন ও নেতৃত্ত্ব দেওয়ার সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠতে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য বেসামরিক অঙ্গসংগঠন সৃষ্টি করা প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখনো সেরকম কোন নেতৃত্ত্ব নেই যা জেএসএস (এমএন) দলের ছিল।
ফলে জেএসএস (এমএন) দল নিজেকে পাহাড়ের একটি স্বতন্ত্র ও স্বয়ংসম্পূর্ণ সংগঠন হিসেবে দাঁড় করাতে পারলেও বর্মারা তা পারবে না। এর আরেকটি কারণ রয়েছে। জেএসএস (এমএন) দলও তাদের সে সুযোগ দিবে না। বর্মাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম শুধু জেএসএস (এমএন) দলের দ্বাররক্ষকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। হয়তো কোন কোন ক্ষেত্রে তারা সেনাবাহিনীর প্রোপাগান্ডা বাস্তবায়নে সামিল হতে বাধ্য হবে।
তাই এহেন পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই একটি বৃহত্তর আলোচনার দিকে তাগিদ দেয়া প্রয়োজন। এর জন্য ইউপিডিএফকেই মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে
গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য
চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার
কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা
নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস
ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম
সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির
সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]