সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৮

চাকমা সার্কেল চীফ দেবাশীষ রায়ের কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড

পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার শুরু থেকেই দেশে-বিদেশে পার্বত্যাঞ্চলের প্রকৃত অবস্থা আড়াল করে নানা অপপ্রচারের মাধ্যমে বিশ্বজনমত গঠনে কাজ করছে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংগঠন। এমনি একটি অপপ্রচার প্রসঙ্গে গত ১২ জুলাই ২০১১ তারিখে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত এক কলামে ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী লিখেছেন, ‘‘৮০’র দশকের শেষ দিকে একদিন বিবিসি বাংলা বিভাগে কাজ করছি। ইংরেজিতে পাঠানো সংবাদ কিছু কাটছাঁট করে বাংলায় অনুবাদের কাজ। একটু পরেই ট্রান্সমিশন। সামনে একটা আইটেম দেখে চমকে উঠলাম- ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে এ যাবৎ আড়াই লাখ চাকমাকে বাঙালিরা হত্যা করেছে!’ তখন সম্ভবত পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমাদের মোট সংখ্যাই ছিল আড়াই লাখ। আমাকেই ওটা সম্প্রচার করতে হবে! আর মাত্র ১০ মিনিট পর। ছুটে গেলাম পাশের রুমে, বিভাগীয় প্রধানের কাছে। পিটার ম্যানগোল্ড তখন বাংলা বিভাগের প্রধান। বললাম, ‘পিটার, এটা কোথা থেকে এসেছে? আড়াই লাখ চাকমা মেরে ফেললে তো সেখানে আর কোন চাকমা থাকে না। সমস্যাই খতম। তোমরা অস্ট্রেলিয়া-আমেরিকায় যেমন করেছ।’ পিটার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল, ‘সব্বোনাশ! হাতে একদম সময় নেই। হারি আপ! ওটা বাদ দিয়ে তুমি অন্য কোন আইটেম দিয়ে ট্রান্সমিশন শেষ করো।’

ট্রান্সমিশন শেষ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে সবাই বসলাম। পিটার আমাকে ধন্যবাদ দিয়ে বলল, ‘কিন্তু ওটা তো এসেছে খুব বড় জায়গা থেকে!’ জানলাম ওই দিনই সকালে বিবিসি বুশ হাউসের পাশের দালানে অবস্থিত একটি দূতাবাসে নেদারল্যান্ডস থেকে কয়েকজন এসেছিলেন একজন চাকমা ‘নেতা’কে সঙ্গে নিয়ে। তাদের প্রেস ব্রিফিং থেকেই এই ‘রিপোর্টে’র উৎপত্তি। এভাবেই চলছে পার্বত্য চট্টগ্রামে গণহত্যার নিরন্তর প্রচারণা।”

ড. ফেরদৌস আহমদের এ অভিজ্ঞতার মতো পার্বত্য চট্টগ্রামের গণহত্যা এবং অন্যান্য বিষয়ে অপপ্রচারের অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে। যার সাথে জড়িত রয়েছে দেশের এবং বিদেশের কিছু কুচক্রী মহল। ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের নামেও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিরোধী প্রচারণার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানে বসবাসকারী তার পিতা রাজাকার ত্রিদিব রায় এবং তার অন্যান্য আত্মীয় স্বজন যারা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছেন তারাও তাকে উৎসাহ ও নানাবিধ সহায়তা করে যাচ্ছেন।

আমাদের পার্বত্যাঞ্চল নিয়ে নানা কারণে আগ্রহী বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাধ্যমে অপপ্রচারে দেবাশীষ রায়ের সম্পৃক্ততা নিয়ে অনেক আগে থেকেই অভিযোগ ছিল। তবে ১৯৯২ সালে বিদেশ (তাইওয়ান) যাওয়ার প্রাক্কালে হজরত শাহ জালাল (রহ:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (তৎকালীন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে) পার্বত্য চট্টগ্রামের পানছড়ির লোগাং-এ গত ১০ এপ্রিল ১৯৯২ তারিখে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ক্যাসেট, ছবি ও অনেক বিতর্কিত কাগজপত্র দেবাশীষ রায়ের নিকট হতে উদ্ধার করা হয়।

দেবাশীষ রায় ১৯৯৮ সালে ‘টংগ্যা’ নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৯৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষ করে বাঙালি বিদ্বেষী ব্যক্তিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত অন্যান্য এনজিওগুলোর সমন্বয়ে হিল ট্র্যাক্ট এনজিও ফোরাম (এইচটিএনএফ) নামের একটি সংগঠন গড়ে তোলেন তিনি। এর চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি নিজেই। সংগঠনটির বাঙালি বিদ্বেষী কর্মকাণ্ড এবং পাহাড়ে জাতিগত বৈষম্য তৈরিতে ভূমিকা রাখার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরবর্তীতে দেবাশীষ রায় একই উদ্দেশ্যে এএলআরডি নামে এইচটিএনএফ’র সদস্যদের নিয়ে নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেন।

একইভাবে এইচটিএনএফ এর আদলে প্রতিষ্ঠা করা হয় এইচটিএনএন নামের আরো একটি সংগঠন। অভিযোগ রয়েছে, যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ওপর ২০০৫ সালে নির্মিত ‘কর্ণফুলীর কান্না’ শীর্ষক একটি ডকুমেন্টারীর পৃষ্ঠপোষক এবং ডকুমেন্টারীতে অন্যতম বক্তা ছিলেন দেবাশীষ রায়। যা পরবর্তীতে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য উপস্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]