সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮

ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের নির্যাতন, হুমকি ও হামলায় দেড় শতাধিক পরিবার উদ্বাস্ত


খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষ ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের নির্যাতন, হামলা ও হুমকিতে ইউপিডিএফ (বর্মা) ও জেএসএস (এমএন) গ্রুপের নেতকর্মী-সমর্থকদের দেড় শতাধিক পরিবারের নারী ও শিশু বাড়ি-ঘর ছেড়ে খাগড়াছড়ি সদরে আশ্রয় নিয়েছে। সন্ত্রাসীরা শুধু নিপিড়ন ও নির্যাতন করে ক্ষান্ত হয়নি কেড়ে নিয়েছে মোবাইল ফোন ও অর্থও। সোমবার (১৬এপ্রিল) দুপুরে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পালিয়ে আসা এ সব উদ্বাস্ত পরিবারের সদস্যরা খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে সন্ত্রাসী হামলা থেকে রক্ষার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাঘাইহাট থেকে পালিয়ে আসা তাসোনা চাকমা অভিযোগ করেন, সৈবাবি উৎসব চলাকালে ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের সন্ত্রাসীরা খাগড়াছড়ি জেলা সদর, পানছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়ি ও পাশ^বর্তী জেলার লংগদু, মারিশ্যা ও বাঘাইহাটের দুর্গম এলাকাগুলোতে হানা দিয়ে সাধারণ লোকজনের উপর হামলা, নির্যাতন শুরু করে এবং এক ঘন্টার এলাকা না ছাড়লে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ফলে প্রাণ ভয়ে অনেকে এ কাপড়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা লোকজনকে মারধর করে মোবাইল ফোন ও টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্রও কেড়ে নেয়। তাদের অপরাধ, তাদের আত্মীয়-স্বজনরা কেউ ইউপিডিএফ (বর্মা) ও জেএসএস (এমএন) রাজনীতির সাথে জড়িত।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে পালিয়ে আসা কবিতা চাকমা, যুবলিকা চাকমা, সুনেতা চাকমা, রীতা চাকমা, সুলিনন্দ্র চাকমা ও এলিনা চাকমা। সাংবাদিক সম্মেলনে ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রাজনীতির নামে সাধারণ মানুষের উপর অমানবিক শারীরিক নির্যাতন, চাঁদা আদায় ও সামাজিক বিচারের নামে মোটা অংকের ঘুষ আদায় করছে বলে অভিযোগ করে আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত পানছড়ি উপজেলার হলধর পাড়ার বাসিন্দা সাধন বিকাশ চাকমা অভিযোগ করেন, তিনি একজন সাধারণ মানুষ। কোন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃত্ত নয়। অথচ গতকাল রবিবার সকালে ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীরা তার ছেলে ইলিময় চাকমা পিটিয়ে আহত করেছে। তবে এ সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউপিডিএফ’র নেতা নিরণ চাকমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, বৈসাবি উৎসবের সময় খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ (প্রসীত) ইউপিডিএফ (বর্মা) ও জেএসএস (এমএন) গ্রুপের মধ্যে বিচ্ছিন্ন হামলা-পাল্টা হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত ও অপহরণের ঘটনা ঘটে।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]