রাঙামাটির চাকমা রাজা এবং চাকমা রানী সবসময় খবরের শিরোনামে থাকেন তাদের বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং বক্তব্য বিবৃতির কারণে। এবার তেমনই এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বলি হয়ে ভিটে বাড়ি থেকে বাস্তুচ্যুত হতে হলো রাঙামাটির কল্যাণপুর এলাকার এক বয়োবৃদ্ধ পরিবারের।আর এ নিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গতকাল সোমবার চাকমা রাজ পরিবারের স্বার্থপরতার কঠোর সমালোচনা করে ফেসবুক একটি এস্টেটাস পোস্ট করেছেন রাঙামাটির তরুণ ফেসবুক ব্যবহারকারী জিকু চাকমা। লাইভ সিএইচটি ডটকম এর পাঠকদের জন্য জিকু চাকমার আলোচিত স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলোঃ- রানী য়েন য়েন’ক মাস আগে বিলাইছড়িতে সেনা সদস্য কর্তৃক দুই মারমা সহোদরা ধর্ষিত হওয়ার পর অনলাইন এবং অফলাইনে বেশ কদিন সরব ছিলেন। প্রতিবাদ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হলেন। তখন যে পরিমান মানবতা উনি দেখিয়েছিলেন, আমি তখন ভেবেছিলাম একটা অন্তত মানবতাবাদী, প্রগতিমনা, প্রতিবাদী, সাহসী, সৎ, যোগ্য রানী আমরা পেয়েছি। গর্বে বুক ভরে গিয়েছিল। তখন উনার চারদিকে জয়জয়কার। উনারা সমাবেশ করলেন, সমাবেশে রানী যে অকুতোভয় বক্তব্য দিয়েছিলেন, যে সাহসী বক্তব্য শুনে উনার প্রতি আরো শ্রদ্ধা বেড়ে গেল। সে যাহোক বিদেশে পড়াশুনা করেছেন, বড় বড় ডিগ্রী নিয়েছেন,
মানবতা সম্পর্কে অনেক জেনেছেন, বুঝেছেন। কিন্তু আজ রাংগামাটির কল্যানপুরে এক বুড়োর বাড়ি ভাঙতে গিয়ে তার মানবতা কেন মনে জেগে উঠলোনা, সেটাই ভাবছি আমি। বুড়োটির পরিবার কোথায় যাবে, কি করবে… এগুলো তিনি কেন ভাবলেন না সেটাই আমাকে ভাবাচ্ছে।
মানবতা সম্পর্কে অনেক জেনেছেন, বুঝেছেন। কিন্তু আজ রাংগামাটির কল্যানপুরে এক বুড়োর বাড়ি ভাঙতে গিয়ে তার মানবতা কেন মনে জেগে উঠলোনা, সেটাই ভাবছি আমি। বুড়োটির পরিবার কোথায় যাবে, কি করবে… এগুলো তিনি কেন ভাবলেন না সেটাই আমাকে ভাবাচ্ছে।
মানছি, জায়গাটা উনার। ১ বছর আগে নোটিশ জারি করেছিলেন। কিন্তু,তাই বলে এভাবে উচ্ছেদ করাটা কতটুকু যোক্তিকতা এবং মানবতার পর্যায়ে পড়ে সেটা আমাকে বার বার ভাবাচ্ছে। উনি শুধু এক বছর কেন, দরকার হলে পাঁচ বছর সময় দিতে পারতেন। কি নেই উনার? কি অভাব? বুড়োটি কয়েকদিন আগে পনের দিন সময় চেয়েছিলেন, ঘরের জিনিসপত্র গুছিয়ে নেবেন বলে। কিন্তু হায়! য়েন য়েন সময় দিতে পারেননি। এর আগেও রাংগামাটি সদরের অনেক জায়গায় উনি পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন।
রানীর হাটের রাজানগরে উনার (রাজার) শত একর জায়গা জমি সেটেলাররা দখল করে আছে। শুধু কি রাজানগর? পার্বত্য চট্টগ্রামের আনাচে কানাচে কত হাজার একর জায়গা জমি সেটেলার বাঙালিরা দখল করে আছে, কিন্তু সে জায়গা জমিগুলোতে থেকে উনাদের উচ্ছেদ করতে পেরেছেন কি উনি?
যে পুলিশ বাহিনী, প্রশাসন কর্তৃক মারধরের শিকার হলেন, এখন সে পুলিশ বাহিনী, প্রশাসন দিয়ে জুম্মদের উচ্ছেদ করতে নেমেছেন। এটা কি ধরনের পোষাকী মানবতা? এটা কি ধরনের বর্বরতা? এটাতো রীতিমত দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার।
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]