মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০১৯

পাহাড়ে খ্রীষ্টান ধর্মের ব্যাপক প্রচার চলছে।

ট্রেকিং করার কারনে বান্দরবানের অনেক গহীনে যাওয়ার তৌফিক হয়েছে, সেখানে দেখেছি গহীন থেকে গহীনে পাড়ায় পাড়ায় চার্চ আছে, খ্রীষ্টানরা এনজিও এর সুবাদে ইচ্ছে মত খ্রীষ্টান ধর্ম প্রচার করছে, অনেক কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও প্রয়োজনীয় সেটআপ, ব্যাক আপ এর অভাবে কিছু করতে পারিনা। পাহাড় নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে আর আমার পক্ষে ব্যাপক ভাবে কাজ করা সম্ভব কিন্তু সুযোগ নেই, কারণ আমি যেভাবে ট্রেকিং করতে যাই তখন এই কাজ গুলা করা সম্ভব না নানা কারণে! ডেডীকেটেড টিম এগিয়ে আসলে তথ্য উপাত্ত সহ স্বশরীরে কাজ করা সম্ভব।ওখানে গিয়ে কিছু করার মত ব্যাক আপ পাওয়া সম্ভব না। পাহাড়ে মুরংদের মাঝে  ৫০% এর উপরে খ্রীষ্টান হয়ে গিয়েছে বাকিরাও হতে দেরি নেই, বম‘রা পুরো পুরিই খ্রীষ্টান এখন, পাড়ায় পাড়ায় মাসে মাসে প্রচুর টাকা ছড়াচ্ছে খ্রীষ্টান‘রা, খিয়াং‘রা, অনেক ত্রিপুরা‘রা আস্তে আস্তে খ্রীষ্ট ধর্মের দিকে ঝুকে যাচ্ছে। পাহাড়ে মাসজিদ-মাদরাসা করা খুবই কঠিন একটা কাজ। বন্ধ করার জন্য নানা দিক থেকে চাপ আসতে থাকে।
একবার এমন একটা মাদরাসা দেখেছিলাম যেটা খ্রিস্টান মিশনারিদের মিথ্যা হাদিস দেয়ালে লিখে প্রচার করার প্রতিবাদ করায় মাস তিনেক বন্ধ করে রাখতে হয়েছিলো। পরে শুনেছিলাম মাফ-টাফ চেয়ে একটা দফা করেছিল।

পাহাড়ে-পাহাড়ে দুর্গম থেকে দুর্গমতর জায়গায় গিয়েও এরকম প্রচুর চার্চ আমি দেখেছি। মাসজিদ দেখিনি। চাকমা-মারমা-মং পাড়ায় এসব চার্চ কি করে? কারা করে? কেন করে? এরা যে দিনের পর দিন খ্রিষ্টিয়করণ করে বেড়াচ্ছে তাতে কারও কিচ্ছু এসে যাচ্ছে না কেন? একটা কিসের ছাতা-মাথার শর্ট ফিল্মে পাহাড়ী ছেলেকে নামাজ পড়তে দেখলেই একটা জাতীর যদি ইসলামীকরণ হয়ে যায় তাহলে পাহাড়ে চার্চ বানালে খ্রিষ্টিয়করণ হয় না কেন? পাহাড়ে সম্প্রীতি নষ্ট করা এইসব মিশনারীদের নিয়ে কিছু বলার মত বুকে কলিজা আসে না কেন এইসব মিডিয়া কর্মীদের?

হুমায়ুন আহমেদের সন্তান হওয়াটা একই সাথে নুহাশ হুমায়ুনের জন্য সৌভাগ্য এবং দূর্ভাগ্যের বিষয়। ছেলেটা সেদিন টেকনো মোবাইলের জন্য একটা শর্ট ফিল্ম বানালো। সেখানে দেখা গেলো পাহাড়ে আজান শোনা যায় না বলে পাহাড়ী এক ছেলে ইফতারের সময় সবাইকে ডেকে ডেকে ইফতার করতে বলছে। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত চমৎকার ঝরঝরে একটা কাজ। দুর্দান্ত মেকিং, চমৎকার স্টোরি টেলিং।

অতি স্বাভাবিকভাবে কিছু মিডিয়াকর্মীদের এই জিনিস দেখে মাথা খারাপ হয়ে গেলো। কয়েকজন মিলে হাউকাউ জুড়ে দিলো এটা নাকি পাহাড়ে ইসলামীকরণের সুপ্ত উদ্দেশ্যে তৈরি করা। এটা একটা গোপন এজেন্ডা। পাহাড়ে বছরের পর বছর কত অত্যাচার নির্যাতন করে বাঙ্গালীরা সেসবের গল্প কই? সেসব কে আড়াল করা হল কেন? এত সম্প্রীতি এত মুসলিম কেন পাহাড়ে? ইসলামীকরণ করা হচ্ছে। সব মুসলিম দেখানো হইতেসে। এর নাম রাফি কেন? এ নামাজ পড়ে কেন?কেন? কেন? কেন? হাউকাউ...হাউকাউ...ঘেউ ঘেউ...ঘেউ ঘেউ...

আরেকদল কে পেলাম যারা একটু আপগ্রেড মানের গাধার বাচ্চা। এরা বুঝতে পেরেছে এমন দুর্বল লজিক দিয়ে আসলে যুদ্ধ জমে না। তারা নেমে পড়লো ব্যক্তি নুহাশকে নিয়ে টানা হ্যাঁচড়া করতে। এই নুহাশ এত বাজেট কেমনে পায়? জবাব রেডি-- কারণ সে হুমায়ুনের ছেলে, আমরা এই ট্যাকা পাইলে আমরাও হাতি-ঘোড়া-নদী-নালা মাইরা সাফ কইরা দিতাম। হুহ! (ছোটবেলায় ক্যালা না পারলে আমরা যেমন করতাম আরকি :p)

আমি বোকা মানুষ। মূর্খ মানুষ। সাদা কালোর পার্থক্য বুঝি। মাঝে থাকা ছাই রঙগুলোকে বুঝি না। হয় আপনি সাদার দলে নাহয় কালোর দলে। বিশ্বাসের পাড়ায় ছাই রঙ বলে কিছু নেই। যারা ছাইরঙা দলে থাকে তাদের হুজুরীয় ভাষায় বলা হয় মুনাফিক।

লেখক : আরমান  ইবনে সুলায়মান


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]