বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৯

ভান্তের মাধ্যমে ইউপিডিএফ-জেএসএসের দেশ বিরোধী কর্মকান্ড

বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ভান্তেরা বর্তমানে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ ও চুক্তিপক্ষ জেএসএস এর সাংগঠনিক তৎপরতা বৌদ্ধ বিহারে করার জন্য সহযোগিতা দিয়ে সন্ত্রাসীদের শক্তিশালী করছে।। রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার বেশকিছু বৌদ্ধ বিহারে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপ অবস্থান নিয়ে সাংগঠনিক তৎপরতা পরিচালনা করে, বিভিন্ন সূত্রের তথ্য মতে এমনটা জানা যায়। কাউখালী বেতবুনিয়া ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া বৌদ্ধ বিহার, ঘাগড়া ইউনিয়নের পানছড়ি বৌদ্ধ বিহার ও বাঘছড়ি বৌদ্ধ বিহার ইউপিডিএফ রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপে ব্যবহার করে৷ ধর্মীও স্থান হিসেবে প্রশাসন প্রবেশধিকার না থাকায় সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে বৌদ্ধ ভিক্ষু ভান্তদের সহযোগীতা নিয়ে প্রায় বৌদ্ধ বিহার গুলোতে অবস্থান নিয়ে সভা সেমিনার করে৷ পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সন্ত্রাসীদের অন্যতম সহযোগিতাকারী বান্দরবানের বৌদ্ধ ধর্মীও গুরু উছালা ভান্তে। উগ্রবাদী আচরণের একজন ব্যক্তি তিনি, দীর্ঘদিন থেকে রাষ্ট্র বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে৷ রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপের অনেক অভিযোগ রয়েছে শীর্ষ এই বৌদ্ধ ভিক্ষুর বিরুদ্ধে। তাছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম কে নিয়ে স্বপ্নের জুম্ম্যাল্যান্ড করার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও জুম্মাল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবিকারী কুরুণালংকার ভিক্ষু ঘোষণা দিয়ে প্রতিনিয়ত পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনী ডিজিএফআইয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলে বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে দেশবিদেশে অপপ্রচার করে যাচ্ছে।

গত ২০১৮ এর মার্চ মাসের ১৭ তারিখে রাঙ্গামাটি নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন জ্যোতি বর্মাসহ ৬ হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে করুণালংকার ভিক্ষু প্রকাশ (মগনেন্ট জুম্মা) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সেনাবাহিনীর মৃত্যু কামনা করে উল্লাসিত হয়ে একটি পোস্ট দেয়, তা ফেসবুকে ভাইরাল হলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ হিসেবে "হিল ব্লগার ফোরাম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এই মগনেন্ট জুম্মার মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই, এবং সেনাবাহিনীর মৃত্যু কামনার বিষয়টি "হিল ব্লগার ফোরাম" সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে জানালে সেনা সদর মগনেন্ট জুম্মার ফেসবুক আইডিটি প্রযুক্তির সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়।
বর্তমান মগনেন্ট জুম্মা নতুন ভাবে একাধিক ফেসবুক একাউন্ট খুলে আবারও সেনাবাহিনী, ডিজিএফআইয়ের বিরুদ্ধে জঘন্যতম মিথ্যার করে আসছে। কথিত জুম্মাল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবিকারী উক্ত ব্যক্তির ফেসবুক পোস্ট গুলো তার নিউজ ফিডে গিয়ে পড়লে দেখা যাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে তার বড়ধরণের ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনার কথা। দেশভাগের গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস মিলবে এই বৌদ্ধ ভিক্ষুর বিরুদ্ধে। এবং ধর্মীও বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের উস্কানি দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত করছে এই কতিপয় ধর্মগুরু। অতিরঞ্জিত উস্কানির কারণে সেনাবাহিনীর সঙ্গে খাগড়াছড়ি রাঙামাটির সড়কে এই বছরের ৭ মার্চ বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের বহনকারী একটি গাড়ি অসৌজন্যমূলক আচরণ করে হুমকি দেয় সেনাবাহিনীকে। এমনিতেই বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের বহনকারী মাইক্রোগাড়ি ইউপিডিএফ-জেএসএস এর অস্ত্র বহন করে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

আরো জানা যায় যে, করুলাংকার ভিক্ষু প্রকাশ (মগনেন্ট জুম্মা) পার্বত্য চুক্তি পক্ষ সন্তু লারমার জেএসএস এর কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এবং জেএসএস এর প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী। যিনি বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভেঙে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুর এর মতো আলাদা রাষ্ট্র গঠন করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জনমত গঠন ও দেশবিদেশে বিভিন্ন প্রোগ্রাম সেমিনারে জুম্মাল্যান্ড নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতা কামনা করে জনমত গঠনের ভূমিকা রাখেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্মীও বৌদ্ধ বিহার নির্মাণের নামে সরকারি খাস জায়গা ও সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত ক্যাম্পের জায়গা দখলের হিড়িক চলছে দীর্ঘদিন থেকে। খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় ও মহালছড়ি উপজেলায় বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করে সরকারি খাস ভূমি দখল করে উপজাতীয় বৌদ্ধ ধর্মীও গুরু ভান্তেরা।

ধর্মের আড়ালে বৌদ্ধ বিহারে ধর্মী বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের সহযোগিতায় ইউপিডিএফ-জেএসএস এর রাষ্ট্র বিরোধী কার্যকলাপ পরিচালিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশিরভাগ বৌদ্ধ বিহারে।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]