পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঁশ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি পরিকল্পনা করা হয়েছে। পার্বত্যঞ্চলের বৃহৎ বাঁশ শিল্প দেশের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা তথা উপজেলায় ব্যাপক চাহিদা মিটিয়ে এখন দেশের বাহির তথা বিদেশে রপ্তানীর পরিকল্পনা করছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। পার্বত্যঞ্চলের পাহাড়ে উৎপাদিত মুলি বাঁশ, বাড়িয়াল বাঁশের চাহিদা ব্যাপক। প্রতিবছর রাঙ্গামাটি জেলার মাইনী, বরকল, হরিণা, কাঁচালং, মাচালংসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাঁশ ব্যসায়ীরা বাঁশ সংগ্রহ করে কর্ণফুলী পেপার মিলস্ তথা কেপিএমকে সরবরাহ করা হত। কেপিএমের চাহিদা মিটিয়ে জেলের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হত। দীর্ঘ ২/৩ বছর যাবৎ কেপিএম তিলে, তিলে বিকল হওয়ার ফলে ব্যবসায়ীদের বাঁশ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে ব্যবসায়ীরা কেপিএমকে বাঁশ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। মাইনীর বাঁশ ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, দীর্ঘ বছর যাবৎ কেপিএমকে বাঁশ সরবরাহ করতাম ২/৩ বছর কেপিএম বন্ধ তথা বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার ফলে আমাদের নিকট থেকে বাঁশ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, রাঙ্গামাটি জেলার পার্বত্যঞ্চলের বাঁশ কেপিএমকে তার চাহিদা মিটিয়ে পাকিস্তানের, লাহোরে বাংলাদেশ তথা রাঙ্গামাটির বাঁশ সরবরাহ করা হত। এতে করে ব্যবসায়ী তথা সরকার প্রচুর পরিমান বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন করত। কয়েক বছর যাবৎ বিদেশেও বাঁশ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে পার্বত্যঞ্চলের বাঁশ যাচ্ছে বাঁশখালী, মহেশখালী, চকোরিয়া, কক্সবাজার, টেকনাফসহ ঢাকা ও নরসিন্দিসহ বিভিন্ন জেলায়।
বর্তমানে কেপিএম বাঁশ সরবরাহ বন্ধ থাকার ফলে পূর্বের তুলনায় এখন হাজারে বাঁশ বিক্রয় করা হচ্ছে ৪০/৪৫ হাজার টাকা। এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, কেপিএম বন্ধ থাকার ফলে বাঁশ সরবরাহ একে বারেই কম এবং দাম বেশি।
বাঁশ ব্যবসায়ী খুরশিদ আলম, আবুল কাশেম বেলাল, মনছুর এরা জানান,আমরা চাচ্ছি এবং বিভিন্ন মহলের সাথে যোগাযোগ করছি কেপিএম যখন প্রায় বন্ধের পথে বাঁশ সরবরাহ নিচ্ছেনা তাহলে বিদেশে আমাদের এ বাঁশ শিল্প রপ্তানী করতে পারলে সরকার প্রচুর পরিমান বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন তথা ব্যবসায়ীরা প্রচুর লাভবান হবে। এদিকে কাপ্তাই লেকজুরে হাজার, হাজার বাঁশ দেখতে পাওয়া যায়।
অভিজ্ঞমহল মনে করেন,পার্বত্যঞ্চলের বাঁশ বিদেশে রপ্তানি করা হলে সরকার প্রচুর পরিমান বৈদাশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে । এছাড়া এ বাঁশশিল্পে প্রচুর পরিমান জনবলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। এ বাঁশশিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন পার্বত্যঞ্চলের বাঁশ ব্যবসায়ীরা।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]