খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি’র তিনটহরী ইউপি’র অধিবাসী গোপী নাথ তার রেকডীয় বেদখল (টিলা) ভূমি আদালতের আদেশে ফিরে পেয়েছেন। দীর্ঘ ১৫ বছর জজকোর্ট, হাইকোর্টে মামলা মোকাবেলা করে অবশেষে আদালতের আদেশে ১১ মার্চ দুপুরে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবৈধ দখলদার’কে উচ্ছেদ করে গোপী নাথকে ২ একর ৩য় শ্রেণির টিলা ভূমি বুঝিয়ে দিয়েছে। স্বস্থি ফিরেছে গোপী নাথের পরিবারে। পুলিশ ও ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়নের অর্ন্তগত দক্ষিণ একসত্যাপাড়া গ্রামের অধিবাসী গোপী নাথ ১৯৮৪ সালে জনৈক লাহাপ্রু মারমা নিকট থেকে রেজিস্ট্রিমূলে ১৭৯৫ দাগে ৩ একর(৩য় শ্রেণি) টিলা ভূমি ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে তাতে বাগ-বাগান সৃজন করেন। ২০০৪ সালে হঠাৎ পার্শ্বের মো. খোরশেদ আলম জোরপূর্বক গোপী নাথের জায়গার গাছ-গাছালি কেটে দখল করেন।
পরে গোপী নাথ এ নিয়ে খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি কোর্টে মামলা দায়ের করলে ২০০৮ সালের ৯ জানুয়ারী বিজ্ঞ আদালত গোপী নাথের পক্ষে রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিরুদ্ধে খোরশেদ আলম হাইকোর্টে আপিল করেন। এ মামলা শেষ হতে না হতে ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারী গোপী নাথের জায়গার অপর প্রতিবেশি জনৈক বেলাল হোসেন গোপী নাথের অবশিষ্ট ২ একর টিলা ভূমি দখলে নিতে বাগানের গাছ-গাছালি কেটে সাবার করে দেয়। এক মামলার রায় শেষ হতে না হতে আবার গোপী নাথের অবশিষ্ট জায়গা বেদখল করতে সৃজিত বাগান কাটার ঘটনায় গোপী নাথ নিরুপায় হয়ে আবারও মো. বেলাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যদিও ইতোমধ্যে প্রথম মামলা নিয়ে বাদী গোপী নাথ ও মো. খোরশেদ আলম এর মধ্যে আপোষ নামায় মামলাটি শেষ। কিন্তু দ্বিতীয় মামলাটি ২০১৪-২০১৯ পর্যন্ত আদালতে গড়ায়। জজকোর্টের রায় গোপী নাথের পক্ষে এলেও আসামী পক্ষ( মো. বেলাল হোসেনগং) রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে(হাইকোর্টে) আপিল করেন।
সম্প্রতি হাইকোর্ট নিন্ম আদালতের রায় বহাল রেখে আপিল খারিচ করে দেন। যার ফলে ১১ মার্চ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় খাগড়াছড়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তৃলা দেব সরজমিনে উচ্ছেদ অভিযানে এসে মামলার বিবাদী মো. বেলাল হোসেন’র দখলে থাকা গোপী নাথের সম্পত্তি উদ্ধার করেন এবং তা গোপী নাথকে বুঝিয়ে দেন।
এতে গোপী নাথের পরিবার-পরিজনে স্বস্থি নেমে আসে। দীর্ঘ ১৫ বছর পর ন্যায় বিচার পেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন গোপী নাথ।
মো: জাকির হোসেন, মানিকছড়ি
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]