পার্বত্য চট্টগ্রামের অসহায়, হতদরিদ্র, নির্যাতিত জনমানুষের অধিকার আদায়ের সংগঠন নবগঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পাহাড়ে পাহাড়ী-বাঙ্গালী নির্বিশেষে জনমানুষের বিপদে-আপদে সহায়তার হাত বাড়িয়ে পার্বত্যবাসীর ভরসার এক ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক বাঙ্গালীভিত্তিক সকল সংগঠন ভেঙ্গে দিয়ে নির্যাতিত পাহাড়বাসীর অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও এর সহযোগী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা পরিষদ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রাজপথে স্বোচ্চার থেকে পার্বত্যবাসীর অধিকার আদায়ের সংগঠনে পরিণত হয়েছে।২০১৯ সালের ৫ই ডিসেম্বর পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালি সংগঠনগুলো বিলুপ্ত করে “পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ” নামের সংগঠনটি আত্নপ্রকাশ করে। এ সময় এই সংগঠনের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা পরিষদ নামের দুটি সংগঠনের নাম ঘোষণা করা হয়। এই সংগঠনগুলো শুধুমাত্র বাঙালিদের নয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালি নির্বিশেষে সকল নিপীড়িত মানুষের অংশগ্রহণের দ্বারও উন্মোচন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সংগঠনটির নেতারা।
রোয়াংছড়িতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ |
এরপর গত ২২শে ফেব্রুয়ারি সকালে রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিভিত্তিক আঞ্চলিক সশস্ত্র দলগুলোর অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যম পাহাড়কে অস্থিতিশীল করে রাখা, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুনসহ নানা অপরাধের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এসব সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বান্দরবান জেলা সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক হত্যা, গুম ও অপহরণ হওয়া এবং অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের ক্ষতিপূরন ও আর্থিক সহায়তা করে আসছে সংগঠনটি। গত ২৮ জানুয়ারী রাত ১২টায় রোয়াংছড়ি বাজারে আকস্মিক এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৭টি দোকান ও ৫টি বসতঘর পুড়ে যায়, প্রায় ৮০লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় ৩০শে জানুয়ারি ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ, এসময় ক্ষতিগ্রস্থদের মোট ১২পরিবারকে ৪০০০টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান সহ যেকোন দুর্যোগে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা জনাব কাজী মজিবুর রহমান, জানাব সম্মানিত ক্যাপ্টেন তারুমিয়া, জনাব এ্যাড নাছির উল আলম, জনাব মোঃ নাসির উদ্দিন, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ শাহ জালাল ও ছাত্র পরিষদের নেতা মোঃ মিজানুর রহমান আখন্দ সহ আরো অনেকে।
বান্দরবানে কর্মহীনদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ |
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন সংশোধন করে পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের ভূমির অধিকার রক্ষাসহ কমিশনের সম সংখ্যক জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলনও করে সংগঠনটির বান্দরবান জেলা।
এদিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের পাশাপাশি অসহায় হয়ে পড়া কর্মহীন পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের পাশে দাঁড়িয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। গত ৩রা এপ্রিল সকাল ১০ টার সময় বান্দরবান জেলা শহরে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা জনগোষ্ঠীর মাঝে ১৫০০ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী ত্রাণ বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলার নেতৃবৃন্দ। এসময় মানুষের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী চাল,আলু, সাবান সহ আরো অন্যান্য সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেন। পরে ৫ এপ্রিল সকাল ১০ ঘটিকায় বান্দরবান জেলা শহরে পৌরসভার ১, ২ ও ৫ নং ওয়ার্ডে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা জনগোষ্ঠীর মাঝে ৭০০ প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলার নেতৃবৃন্দ। এরপর ৬ এপ্রিল বিকেলে বান্দরবান জেলা শহরে পৌরসভার ৬নং ক্যাচিংঘাটা, ৪নং বাজার ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী ও ৯নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদপুর এলাকায়, ৭ এপ্রিল বিকেলে বান্দরবান জেলা শহরে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে সিকদার পাড়া, কাশেম পাড়া, টাংকি পাহাড় এলাকায়, ৮ এপ্রিল বান্দরবান পৌরসভার ৯ নং ইসলামপুর এলাকায়, ১৩ এপ্রিল বান্দরবান পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড মাঠ পাড়া এলাকায়, ১৪ এপ্রিল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড শেরে বাংলা এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান শাখা।
রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ। |
ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বান্দরবান জেলা সভাপতি জনাব কাজী মোঃ মজিবর রহমান পৌর সাধারণ সম্পাদক এরশাদ চৌধুরী ছাত্রনেতা মোঃ মিজানুর রহমান আখন্দ, মোঃ শাহ জালাল প্রমুখ। এসময় কাজী মোঃ মুজিবর রহমান বলেন, করোনা নামক মহামারীর থেকে পরিত্রাণের জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে, বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাতে হবে। এছাড়া অপ্রয়োজনে বাসা থেকে বাহির না হওয়ার জন্য সকলকে আহবান জানান। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বান্দরবানে তাদের ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সরকারদল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক ও নাগরিক পরিষদ নেতা কাজী মুজিব।
অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন সংশোধন করে পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের ভূমির অধিকার রক্ষাসহ কমিশনের সম সংখ্যক জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করা ছাড়াও রাঙামাটিতে অসহায় দুঃস্থদের পাশে থেকে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটির রাঙামাটি শাখা। করোনাভাইরাসের কারণে রাঙ্গামাটিতে খেটে খাওয়া ও নিন্ম আয়ের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে, তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। গত ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে শহরের পৌরসভা এলাকার রসুলপুর, সৈয়দনগর, কাঠালতলী, শফি কলোনী ট্রাবেল আদামসহ বিভিন্ন এলাকার কর্মহীন চাকমা, মারমা, বাঙালীসহ ২শত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার নেতারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি সাব্বির আহম্মেদ, এড. পারভেজ তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দীক, অর্থ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান, নাগরিক পরিষদ নেতা কাজী মো. জালোয়া, মাসুদ পারভেজ, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মো. হাবিব আজম, ছাত্র নেতা নাজিম আল হাসান, নুরুল আলম প্রমুখ।
এছাড়া গত ১০ এপ্রিল রাঙামাটি পৌরসভার ৮ ও ৪ নং ওয়ার্ড এর ঘর বন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। এসময় মানুষের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্য দ্রব্য সামগ্রী চাল,আলু, তেল সহ আরো অন্যান্য সামগ্রী ঘর বন্দী মানুষের হাতে তুলে দেন তারা। এরপর গত ১২ এপ্রিল রবিবার সকাল ১১ টায় রাঙামাটি সদর উপজেলার আওতাধীন সাপছড়ি ইউনিয়নের মানিকছড়ি ও সাপছড়ি এলাকার দূর্গম এলাকায় উঁচু-নিচু পাহাড় বেয়ে দুই শতাধিক পাহাড়ি-বাঙ্গালী পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার দুর্গম এলাকা গুলোতে নিজ কাঁধে ত্রাণ সামগ্রী বঁয়ে নিয়ে কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উক্ত ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেন।
দীঘিনালায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ |
সংগঠনের নেতারা জানান, ত্রাণ দেওয়া চলমান থাকবে, শহরে ও বিভিন্ন উপজেলায় কর্মহীন ও দুস্থ মানুষের মাঝে বিতরণ চলবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ পার্বত্য জেলার পাহাড়ি ও বাঙালিদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই দুর্যোগের সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ পাহাড়ি ও বাঙালিদের পাশে থাকবে এবং আছে। এমনকি দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের সাথে আর্ত-মানবতার সেবায় এক সাথে কাজ করে যাবে বলে তারা জানান।
এছাড়া পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতেও বিভিন্ন সময়ে পাহাড়ী-বাঙ্গালীর অধিকার সমুন্নত রাখতে মাঠে আন্দোলনের পাশাপাশি অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতারা। সম্প্রতি গুইমারা উপজেলায় মোটরসাইকেল চালক আকিব উদ্দিনকে ভাড়ায় নিয়ে হত্যার ঘটনায় রাজপথে সোচ্চার ছিলো সংগঠনটি। এমনকি বিভিন্ন সময়ে আর্তমানবতার সেবায়ও পিছিয়ে নেই সংগঠনটির খাগড়াছড়ি শাখা। করোনা মহামারি থেকে পরিত্রাণের জন্য গৃহবন্ধী হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণের অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় হতদরিদ্র, দুঃস্থ ও করোনা প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
পানছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ |
গত ১৮ এপ্রিল সকালে দীঘিনালা উপজেলার জামতলী, বাঙ্গালী পাড়া, রসিক নগর, মেরুংসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘর বন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ নেতৃবৃন্দ। এসময় তারা অসহায় মানুষের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। ত্রাণ বিতরণকালে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক মাঈন উদ্দিনসহ উপস্থিত ছিলেন যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুম রানা, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রবিউল হোসেন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আসাদ উল্লাহ, দিঘীনালা উপজেলা সমন্বয়ক আহাম্মদ আলী, শামীম হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, নূর নবী রনি, গোলাপ হোসেন, রাজু, সাদ্দাম হোসেন, হুমায়ূন প্রমুখ।
এরপর গত ১৯ এপ্রিল খাগড়াছড়ির পানছড়িতে হতদরিদ্র ১৬৫ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম মাসুম রানা, যুব বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মাসুদ ও সদস্য আসাদ উল্লাহ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবন্দ জানান, পানছড়িসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ১২শ গরীব দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “পার্বত্য চট্টগ্রামের বঞ্চিত সাধারণ পাহাড়ী বাঙ্গালীদের অধিকারের জন্য আমাদের কার্যক্রম। আমাদের সংগঠন হলেও মানুষের দুঃখের সময় সাধ্যমতো পাশে থাকার চেষ্টা রয়েছে। মহামারি এ দুর্যোগ যতদিন থাকবে ততদিনই গরীব দুস্থ মানুষদের জন্য কাজ করে যাবে নাগরিক পরিষদ। ”
এবিষয়ে জানতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ জানান, পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের অধিকার নিশ্চিত করতে এ সংগঠনের পথচলা। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এ সংগঠনের কঠোর অবস্থান থাকবে। কারণ সন্ত্রাস দমন করা গেলে পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বইবে। পাহাড়ের সব মানুষ শান্তি সম্প্রীতি চায়, কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল চায় না এ অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিরা এক সাথে মিলে মিশে বসবাস করুক। তাই বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত করে এ অঞ্চলকে অশান্ত রাখতে কিছু সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রতিনিয়ত খুন-খারাবি করে চলছে, রক্ত ঝড়াচ্ছে। এখন সময় এসেছে এসব সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে পাহাড় থেকে বিতাড়িত করার। তাই সবাইতে যার যার স্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পাহাড়ে সম্প্রীতি গড়ে তুলতে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের অধিকার আদায়ের পাশাপাশি পাহাড়বাসীর যেকোন দুঃখ-কষ্টে, মহামারিতে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ জনগনের কল্যানে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]