শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৭

পার্বত্য অঞ্চলের বাঙ্গালীরা উপজাতি হতে শতভাগ পিছিয়ে


শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি থেকে শুরু করে সর্ব দিক হতে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙ্গালীরা  উপজাতি হতে শতভাগ পিছিয়ে।যার দরুন আমরা বরাবরই নির্যাতিত হয়ে মুখ বুজে সহ্য করছি। যেটা কখনোই আমাদের কাম্য নয়। এই পথ হতে উত্তোড়নের জন্য সর্ব প্রথম আমাদের দরকার সু-শিক্ষা অর্জন। কারন, আমরা সু-শিক্ষার অভাবে এখনো নিজের অবস্থান সম্পর্কে সচেতন নই। আমরা প্রায়ই চর্বিত চর্বন দিয়ে দাবি করি.... পার্বত্য বাঙ্গালী হতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রী সহ বিভিন্ন পদ পাওয়ার জন্য। আমি মনে করি এসব পদে বাঙ্গালীদের আসীন করলেই আমাদের মুক্তি আসবে না ততক্ষন, যতক্ষন আমরা দক্ষ নেতা এবং নেতৃত্ব্য সৃষ্টি করতে পারবো। উদাহরণ স্বরুপ বলতে পারি, পার্বত্য চট্টগ্রামে ওয়াদুদ ভূইয়া ছাড়া আর কোন দক্ষ বাঙ্গালী রাজনৈতিক নেতা আছে কি? আমার দীর্ঘ পার্বত্য গবেষনায় দেখি না। হাঁ, নেতা আছে অনেক, কিন্তু পদের ভার সহ্য করবার মতো শিক্ষিত, দক্ষ নেতা নেই। বিপরীতে উপজাতীয় নেতাদের ক্ষেত্রে দেখুন দীপংকর, বীর বাহাদুর, শন্তু লারমা, উষাতন, কুজেন্দ্র, দীপেন দেওয়ান, মনীষ দেওয়ান, শক্তিপদ ত্রিপুরা, গৌতম দেওয়ান, দেবাষীস রায় সহ দেশ, বিদেশে কর্মরত উচ্চ শিক্ষিত অসংখ্য নেতা রয়েছে।

একটু খেয়াল করবেন, উপজাতিদের এসব নেতা আর আমাদের পার্বত্য বাঙ্গালী নেতার যোগ্যতাগত পার্থক্য কতটুকু?
উপজাতিরা কোটা ভিত্তিক অগ্রাধিকার পেলেও একজন নেতার কোয়ালিটি ঠিকই অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। পাশা পাশি লক্ষ্য করুন, উপজাতীয় আঞ্চলিক সংগঠনের দায়িত্বরত নেতা এবং আমাদের বাঙ্গালী সংগঠনের দায়িত্বরত নেতাদের মানসিকতা গত পার্থক্য কতটুকু? বরাবরই আমরা পার্বত্য বাঙ্গালী নেতারা যেখানে দেখি ধুলাবালি উপজাতীয় নেতারা সেখানে খুজে পায় স্বর্ণ, রুপার মুদ্রা। কারনটা কি? কারন হলো শিক্ষা।

উপজাতীয় একজন নেতা যদি বিপদে পড়ে থাকেন তবে তার স্থলে হাল ধরার মতো অসংখ্য নেতা রয়েছে। আর আমাদের একজন ওয়াদুদ ভূইয়া বিপদে পড়ে গোটা বাঙ্গালী সংগঠন সংকীর্ণ হয়ে গেছে। তার অবর্তমানে দীর্ঘ এই সময়ে এখনো পার্বত্য বাঙ্গালীরা সর্বাত্মক আন্দোলন সৃষ্টি করতে পারেনি।

আরেকটু খেয়াল করুন, ক্ষমতার সর্বনিম্ন পদ ধরুন ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার। আপনার এলাকায় বাঙ্গালী চেয়ারম্যানের শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু আর পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের উপজাতীয় চেয়ারম্যানের যোগ্যতা কতটুকু? চেয়ারম্যান বাদ দিলাম, এই পার্থক্য একজন ইউপি মেম্বার দিয়ে চিন্তা করুন। আমাদের বাঙ্গালী মেম্বারের স্বাক্ষর করতে কলম ভাংঙ্গে কিন্তু উপজাতীয় মেম্বারের কলম ঠিকই চলে। শিক্ষাগত যোগ্যতা দিয়ে এবার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করলে আপনি বুঝতে পারবেন একজন শিক্ষিত নেতা এবং একজন অশিক্ষিত নেতাদের লড়াইয়ে কে জয়ী হবে?

আমাদের পার্বত্য বাঙ্গালী হতে নেতা হতে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে না। শুধুমাত্র শন্তু লারমাকে গালি দিয়ে রাজপথে একদিন বক্তৃতা দিলেই নেতা হওয়ার পথ পরিস্কার। এরপর সেই নেতা হয়ে যায় ইউপি/উপজেলা/পৌরসভা চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে এই নেতা চিন্তা করে আমি যাকে গালি দিয়ে নেতা হয়ে পদ পেয়েছি সেইতো আমার প্রকৃত নেতা!  সুতরাং ...। 

তাই পরিশেষে বলবো, আমাদের দরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে প্রথমত সু-শিক্ষা অর্জন করা। প্রতিটি বাঙ্গালী ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো পৌছে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। আমরা সু-শিক্ষিত হলে অবশ্যই অধিকার আমাদের আদায় হবেই। এসএসসি/এইচএসসি পাশ করেই যদি চিন্তা করি আমি বেকার তবে উচ্চ শিক্ষা কিভাবে অর্জন হবে? আর উচ্চ শিক্ষা ছাড়া বড় বড় ক্ষমতা কখনোই আমাদের দখলে আসবে না। আর ক্ষমতা না আসলে আমাদের অধিকার আদায় কখনোই হবে না।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস



[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]