বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০১৫

তাইন্দং নিয়ে ‘প্রথম আলো’র জোচ্চুরি এবং প্রকৃত সত্য

তাইন্দং-এর সাম্প্রতিক ঘটনাটি নিয়ে প্রথম আলো এই পর্যন্ত কতটি রিপোর্ট ছাপিয়েছে জানেন? আমাদের অনুসন্ধান মতে অন্তত ১৩ টি, আরও বেশিও হতে পারে। বোঝাই যাচ্ছে বেশ জোরেসোরে কোমর বেঁধেই নেমেছে মতি গং। এই আওয়ামীলিগ সরকারের একেবারে প্রথম দিকে শেখ হাসিনা বিরোধী দলের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছিলেন, “তাঁদের দরকার কেবল একটি লাশ। একটি লাশের জন্যই তাঁদের এত অপেক্ষা, তারপরই শুরু হবে রাজনীতি।” শেখ হাসিনার এই মন্তব্যটি নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু মতি গং, পাহাড়ি দলগুলো আর তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড দেখে বলতে ইচ্ছে করছে, ‘তাঁদের দরকার পাহাড়ে কয়েকটি পোড়া ঘর। এর জন্যই তাঁদের এত অপেক্ষা, এর পরেই শুরু হবে রাজনীতি। ঘরটা কীভাবে পুড়লো, সেটা নিয়ে তাঁদের মাথাব্যাথা আদৌ নেই।’প্রথম আলো’র এরকম আরও চেঁচামেচি দেখতে পারেন এখান থেকে। প্রথম আলো’র জোচ্চুরির প্রমাণ১) তাইন্দং নিয়ে শুরুর দিকে প্রথম আলো’র একটি রিপোর্টের শিরোনাম ছিল- মাটিরাঙ্গায় আদিবাসী চার গ্রামে হামলা অগ্নিসংযোগ ।‘ সেখানে কারও মন্তব্য উদ্ধৃত না করে রিপোর্টটিতে লেখা হয়েছে,

গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মো. কামাল নামের এক মোটরসাইকেল চালক অপহূত হয়েছেন—এ খবর পেয়ে স্থানীয় বাঙালিরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা মিছিল ও সমাবেশ করার প্রস্তুতি নেয়। বাঙালিরা জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে তাইন্দং ইউনিয়নের বান্দরশিং পাড়া, সর্বেশ্বর পাড়া, বগা পাড়া ও মনুদাস পাড়ার আদিবাসীরা বাড়িঘর ছেড়ে ভারতের সীমান্তের দিকে পালিয়ে যায়।

এখানে বলা হয়েছে, বাঙালিরা জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে পাহাড়িরা বাড়িঘর ছেড়ে চলে যায়। এখানে বাঙালিদের উস্কানিটি কোথায় এটি স্পষ্ট নয়। এর পর মাটিরাঙ্গায় বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে আদিবাসীরা নামক রিপোর্টে জেলা প্রশাসক মাসুদ করিমকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ২৭ টি ঘর পুড়ে গিয়েছে, যেখানে দু’টি বাঙালি ঘরও রয়েছে। এ কথা কী অবাস্তব হবে যে, পাহাড়িরা চলে যাবার পর অগ্নি-সংযোগের ঘটনাটি ইউপিডিএফ’এর সাজানোও হতে পারে? কেন বলছি এই কথা সেটিতে পরে আসছি।

২) তাইন্দং নিয়ে একটি রিপোর্টের শিরোনাম করা হয়েছে- আদিবাসীদের তাড়ানোই ছিল উদ্দেশ্য। এখানে বাঙালীদের দায়ী করে বলা হয়েছে, বাঙালীরা আদিবাসীদের (সংবিধান বহির্ভূত শব্দ, প্রথম আলো’র বেঁধে দেয়া নিয়মে খেলতে যেয়ে ব্যাবহার করতে হচ্ছে বলে দুঃখিত) বাড়িঘর পুড়িয়েছে, উদ্দেশ্য ছিল তাঁদেরকে তাড়িয়ে দেয়া। প্রথম কথা হচ্ছে, (১) নং রিপোর্টেই তাঁরা উল্লেখ করেছে বাঙালীরা জড়ো হবার খবর পেয়ে ‘আদিবাসী’রা পালিয়ে যায়। এটা তো এমন না যে বাঙালীরা গিয়ে তাঁদেরকে শক্তি প্রয়োগ করে পালাতে বাধ্য করেছে। তাঁরা নিজেরাই পালিয়েছে- এটি তো প্রথম আলো’রই বয়ান। তাহলে ‘আদিবাসীদের তাড়ানো’ কী করে উদ্দেশ্য হতে পারে?! দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, ‘আদিবাসী’ তাড়ানোর এই রিপোর্টে আপনি এমন কোনও শব্দ বা এভিডেন্স খুঁজে পাবেন না, যেটি প্রমাণ করে তাড়ানোর প্রচেষ্টার দাবী সঠিক। কয়েক জন স্থানীয় জন-প্রতিনিধি ও সামরিক-বেসামরিক সরকারী কর্মকর্তার উদ্ধৃতি উল্ল্যেখ করা হয়েছে মাত্র। সেখানে কেউ এমন কোনও ইঙ্গিতই করেনি যে, বাঙালিরা তাঁদেরকে তাড়াতে চেয়েছিল। সবাই মূলত দাবী করেছে পূর্ব পরিকল্পিত ছিল ঘটনাটি, কারন ৩ ঘন্টায় এত বড় ঘটনা ঘটানো অসম্ভব। কিন্তু সেই জন্য বাঙালিদের দায়ী করেনি তাঁরা। তাজুল ইসলামকে গুলি বাঙালিরা করেনি, ঐ এলাকায় ইউপিডিএফ’এর চাদাবাজির কথা প্রথম আলোই স্বীকার করেছে। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক কার চক্রান্তের কথা জানতে পেরেছিলেন? তাজুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা মূলত ইউপিডিএফ’কে দায়ী করলেও প্রথম আলো কৌশলে এটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে বাঙালিদের উপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা করেছে।

৩) মাটিরাঙ্গায় আদিবাসী ১৬২ পরিবার নিজ গ্রামে ফিরেছে – শিরোনামে আরেকটি রিপোর্টে উল্ল্যেখ করা হয়েছে-

মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং এলাকায় আদিবাসী গ্রামে হামলার ঘটনায় উদ্বাস্তু হয়ে পড়া পরিবারগুলোর মধ্যে ১৬২টি পরিবারের সদস্যরা গতকাল মঙ্গলবার নিজ নিজ গ্রামে ফিরেছে। পানছড়ি উপজেলা প্রশাসন তাদের ফিরে আসার এই ব্যবস্থা করে। আদিবাসী নেতাদের দাবি অনুযায়ী, এ ঘটনায় চারটি আদিবাসী গ্রামের ৩৯৫টি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে। তবে সরকারিভাবে এর কোনো হিসাব জানা যায়নি।

দেখুন, এখানে পাহাড়ি নেতাদেরকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে ৩৯৫টি পরিবার ‘বাস্তচ্যুত’ হয়ে পড়েছে। প্রিন্ট সংস্করনে ‘তাইন্দংয়ে হামলার ঘটনা পরিকল্পিত’ কিন্তু অনলাইন সংস্করনে আদিবাসীদের ওপর হামলার ঘটনা পরিকল্পিত -শিরোনামে করা একই সংবাদে কাওকে উদ্ধৃত না করে বলা হয়েছে, “তাইন্দংয়ে হামলার শিকার ৯০২ পরিবারের সদস্যদের চোখেমুখে এখনো আতঙ্কের ছাপ।” এ তো হলিউডেও সম্ভব নয়। ব্যাবধান মাত্র কয়েকদিনের! হামলার শিকার পরিবারের সংখ্যা ৩৯৫ থেকে একলাফে ৯০২টিতে চলে আসলো কী করে?! যেখানে পাহাড়ি নেতারা নিজেরাই দাবী করেছে ৩৯৫টি পরিবারের কথা এবং এসব সাধারনতঃ বাড়িয়েই বলা হয়, সেখানে প্রথম আলো নিজেরাই দাবী করছে ৯০২ টি পরিবারের কথা! এ কী করে সম্ভব?!

৪) ৩৯৫টি কিংবা ৯০২টি পরিবার- সংখ্যাটা কিন্তু বিশাল। কিন্তু মতি গংই হোক কিংবা অন্য কেউ, এখন পর্যন্ত এই বিশাল সংখ্যার অনুপাতে এমন কোনও বিশ্বাসযোগ্য তথ্যচিত্র দেখাতে পারেনি। পারেনি পুড়ে যাওয়া বাড়িঘরের চিত্র প্রদর্শন করতে। স্পেস তো কম দেননি মতিউর রহমান সাহেব, ছাপতে তাহলে বাঁধা কোথায়? ছাপা হয়নি যে, এমনটি নয়। অনেক কষ্টে একটি ছবি পাওয়া গেছে ভারতে পালিয়ে যাওয়া পাহাড়িদের। সেটি নিচে দেওয়া হল।


চিত্রঃ সীমান্তরেখায় গিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া উপজাতিদের ফেরত আসার অনুরোধ জানাচ্ছেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী


এই ছবিটি কী করে ৩৯৫টি কিংবা ৯০২টি পরিবার তথা অন্তত ২,০০০-৪৫০০ মানুষের প্রতিকী চিত্র হতে পারে- আমার কিছুতেই বোধগম্য হচ্ছে না!

৫) সরকারের শেষ সময়ে এসে সরকার পাহাড়িদের ক্ষেপাতে চাইছে না, আফটার অল- পার্বত্য চট্টগ্রামে তাঁরা পাহাড়িদের ভোটব্যাংকের উপরই নির্ভর করে। তাই প্রথম আলো’র সংবাদেই বলা হয়েছে, “মাটিরাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান শামসুল হক জানান, অপহূত মোটরসাইকেল চালককে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দিকে নতুন পাড়া এলাকা থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।” কিন্তু আরেকটি সংবাদেই ভোল পালটে যায় প্রশাসনের। কামাল উদ্দীনের জবানবন্দী ফলাও করে বলে হয়, ‘ আমাকে চিকিৎসার কথা বলে পুলিশ মাটিরাঙ্গায় নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে গ্রেপ্তার করে।’ আহত হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতেই হয়। কিন্তু পুলিশের মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন খান বলেন, ‘কামাল, সিরাজুল ও আবেদ গোপন বৈঠক করে অপহরণ নাটক সাজান। আদালতে জবানবন্দিতেও কামাল তা স্বীকার করেছেন।’ প্রথম আলো কী একবারও জানতে চেয়েছে, কেন চিকিৎসার কথা বলে নিয়ে এসে গ্রেফতার করা হয়েছে কামালকে? কিংবা মাটিরাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যানই বা মিথ্যা তথ্য দিলেন কেন? জানতে চাইবে না তাঁরা। কারন প্রশাসন ভোল পাল্টিয়ে তাঁদের পক্ষে গেলে কিই বা বলার থাকে প্রথম আলোর!

আসলে কী ঘটেছিল সেদিন
মূলত যখ কামালের অপহরনের ঘটনা শুনে ইউপিডিএফ’এর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ (প্রথম আলোর ভাষায় ‘চুক্তি বিরোধী একটি সংগঠনের চাঁদাবাজিতে) বাঙালিরা প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিল, তখনই ইউপিডিএফ ঘটনা অন্য দিকে মোড় ফেরানোর চেষ্টা করে। পাহাড়িদেরকে ভারত সীমান্তে চলে যেতে বলে। প্রথম আলো’র ভাষায়, বাঙালিরা মিছিল সমাবেশ করার প্রস্তুতি নেয়, খবর পেয়ে পাহাড়িরা পালিয়ে যায়। প্রতিবাদী মিছিল সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়া দোষের কিছু নয়। কিন্তু পাহড়িরা সেটা শুনে ভারতে পালিয়ে যাবে কেন? পুরো অবস্থাকে ভিন্ন মোড় দিতে নয়কি? মূলত সাধারন পাহাড়িদের এই কাজটি করতে বাধ্য করে ইউপিডিএফ। সেখানে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীরও হাত আছে। তাঁরা পাসপোর্ট ও ভিসাবিহীন মানুষকে আশ্রয় দেয় কিসের বলে? উপরের সাদাকালো চিত্রটিই তাঁর প্রমাণ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমার পরিচিত একজন বিজিবি সদস্য, যিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, ঘটনার শুরুতেই ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কড়া নির্দেশ ছিল, যে করেই হোক পাহাড়িদের ভারতে গমন ঠেকানো। খুবই স্বাভাবিক- সরকার এটা নিয়ে নতুন কোনও হ্যাপা হোক- সেটা চাচ্ছে না। প্রথম আলো’তেও একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবি অধিনায়ক বিষয়টি স্বীকার করেছেন। কিন্তু প্রথম আলো যেটা লিখেনি, সেটি হচ্ছে, বিজিবি সদস্যরা ওখানে উপস্থিত হয়ে দেখে, বেশ কিছু পাহাড়ি ভারতে ঢুকতে পেরছে এবং ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী আগে থেকেই তাবু নিয়ে অবশিষ্টদের জন্য অপেক্ষা করছে! এই তথ্যটি পাই আমার পরিচিত ঐ বিজিবি সদস্য থেকে। সরকার এই বিষয়টিকে এতই সিরিয়াসভাবে নিয়েছিল যে, ঘটনার পরেরদিনই প্রতিমন্ত্রী দিপংকর তালুকদার ও মেজর জেনারেল সমমানের চট্টগ্রামের জিওসি সীমান্তরেখা সংলগ্ন এলাকায় স্ব-শরীরে হাজির হয়ে পাহাড়িদের ফিরে আসতে অনুরোধ করেন। এছাড়া বিজিবি সদস্যদের প্রতি দেয়া নির্দেশ থেকেও বুঝা যায় সরকার নতুন ঝামেলা সৃষ্ট না করতে কতটুকু আন্তরিক। এর পরের খবর হচ্ছে, পাহাড়িদেরকে ইউএনও’এ তত্বাবধানে গাড়িতে করে গ্রামে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। সূত্রঃ প্রথম আলো।

এরপর সরকার দ্রুত পুড়ে যাওয়া বাড়িঘর নির্মাণ ও ক্ষতিপূরণ দিতে যায় পাহাড়িদের। কিন্তু পাহাড়িরা সেটি গ্রহন করে ঠিকই, কিন্তু প্রায় ২০ দিন পরও বাড়িঘর নির্মাণ করছে না! কেন?! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বহু পাহাড়ি সাধারন মানুষ জানিয়েছেন, ইউপিডিএফ’এর নিষেধাজ্ঞা আছে সরকারী সাহায্য ও ক্ষতিপূরণ অনুযায়ী বাড়িঘর নির্মাণে। তাঁদেরকে বলা হয়েছে, বিদেশী প্রতিনিধিদল আসবে, তাঁরা পরিদর্শন করে যাওয়ার পরই কেবল বাড়িঘর নির্মাণ করতে।

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেককে গৃহনির্মাণের জন্য ১৬,০০০ টাকা ও তিন বান্ডিল করে টিন সরকারীভাবে দেয়া হলেও বাড়িঘর ঠিক না করে সরকারের বিরুদ্ধে ত্রান না দেয়ার অভিযোগ করে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিনিধি দলকে! এছাড়াও ভারতে আশ্রয় নেয়া প্রত্যেককে ৩০ কেজি শুকনা চাউল, ডাল, চিনি ও নগদ ৩,০০০ টাকা করে দেয়া হয়েছে। এই সহায়তা তিনটি ক্ষতিগ্রস্থ বাঙালি পরিবারকেও দেয়া হয়েছে। এই পর্যন্ত মাটিরাঙ্গা প্রশাসন ২৩,৯১০ কেজি চাউল, ৪৪৯ কেজি ডাল, ৫২৬ কেজি চিনি, ৭০৮ কেজি চিড়া, ২১৮ কেজি গুড়, তৈজসপত্র সহ প্রায় অর্ধকোটি টাকার ত্রানসামগ্রী বিতরন করেছে। বিজিবি’র পক্ষ থেকে তৈজসপত্র ও কাপড়চোপড় সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু আগামী ৬ মাসের মধ্যেও বাড়িঘর নির্মাণে হাত না দিয়ে বিদেশী প্রতিনিধিদলের জন্য অপেক্ষা করা হবে বলে পাহাড়ি অসমর্থিত সূত্র নিশ্চিত করেছে। সুত্রঃ http://parbattanews.com/তাইন্দং-সহিংসতাকে-পুঁজি-3/

এদিকে বিভিন্ন প্রতিনিধিদল এসে বাঙালিদের উপর দায় চাপিয়ে অদ্ভুদ আর মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছে। যেমন ব্যরিস্টার সাদিয়া আমিনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আসে। পরিদর্শন শেষে তিনি বলে বসেন, বাঙালিরা ২৭টি মসজিদের মাইকের মাধ্যমে ঘোষণা করে হামলার জন্য সবাইকে তৈরী হতে বলে। এসব কী ধরনের বাস্তবতা বিবর্জিত বিবৃতি?! 


ঘটনার ২১ দিন পর উদ্দীপন খীসার নেতৃত্বে প্রশাসনকে না জানিয়ে ইউপিডিএফ’এর শীর্ষ নেতারা ভিন্ন ব্যানারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কয়েকঘন্টাব্যাপী স্থানীয় পাহড়ি নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে গেছেন। এসব জন্ম দিয়েছে নতুন আতংক আর প্রশ্নের।

কোন ধরনের হূমকি ছাড়াই নো ম্যানস ল্যান্ডে গিয়ে আশ্রয় নেয়া, ত্রাণ সামগ্রী পেয়েও না পাওয়ার অভিযোগ করা, বিদেশী প্রতিনিধিদলের পরিদর্শনব্যাতীত ঘরবাড়ি নির্মাণ না করা, ইউপিডিএফ’এর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের গোপন বৈঠক, ইত্যাদি সন্দেহাতীত ভাবে ইউপিডিএফ’এর পাহাড়িদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে বাঙালিদের উপর চাপানোর অভিযোগের পক্ষের এভিডেন্স।

পরিশেষে
আমরা আজীবন অপপ্রচারের শিকার হয়েছি। আপনারাই আমাদের শেষ ভরসা। আপনারা যদি আমাদের পক্ষে থাকেন, তবে আমাদের ভয় নেই। দয়া করে এই নোট শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন। প্রচারের দায়িত্ব আপনারাই তুলে নিন। ধন্যবাদ। সূত্র: পার্বত্য চট্টগ্রাম বাঙ্গালী অধিকার আন্দোলন

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]