পর্বত মেলায় বাঙালীদের স্টল বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন
|
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালের উদ্যোগে ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস পালিত হয়ে আসছে। পার্বত্য জেলা (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দারবন) এ বসবাসরত জন গোষ্ঠীর সিংহভাগ মানুষ বাঙালিদের কে বাদ দিয়ে শুধু মাত্র ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়কে নিয়েই পার্বত্য মেলা উযযাপন করছে। যা দিন দিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবর্তে সাম্প্রদায়িক দুরত্ব ও বিরোধ সৃষ্টি করছে।এবছরই প্রথম নানা নাটকিয়তায় বাঙালীদেরকে স্টল দেয়া হয়। পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের স্টলে দর্শকের উপচে পরা ভীড় দেখে উপজাতিদের সহ্য না হলে কোন নোটিশ ব্যতিরেখে পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের স্টলের বই, ব্যানার ও সংগঠনের ৮ দফা দাবীর লিফলেট সহ সবকিছূ নিয়ে যায় এবং স্টলটি বন্ধ করে দেয়।
পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি সাহাদাৎ ফরাজি সাকিব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ এর প্রথিষ্ঠাতা ও নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জি:আলকাছ আল মামুন ভূইয়া।পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞতিতে জানানো হয় যে, গত ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ পর্বত মেলায় অংশ গ্রহনের জন্য পার্বত্য চট্রগ্রাম মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেইসিং এমপি এর সাথে স্বাক্ষাত করে একটি স্টল দেয়ার দাবী করলে তিনি প্রথমে অপরাগতা প্রকাশ করলেও পরে বাঙালি নেতৃবৃন্দের জোরালো দাবীর প্রেক্ষিতে একটি স্টল বরাদ্ধ দিয়ে ছিলেন।
পর্বত মেলায় বাঙালীদের স্টল বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন |
এই মেলা আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য হল: পাহাড়-সমতলের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি ও তাঁদের মধ্যে পারস্পারিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করা।যার ফলে পাহাড় এবং সমতলের মানুষের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ে উঠবে বলে আশা করা হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালের উদ্যোগে গত চার বছর তিন পার্বত্যজেলা (রাঙ্গামাটি,খাগড়াছড়ি,বান্দারবন)এ বসবাসরত জন গোষ্ঠীর সিংহভাগ মানুষ বাঙালিদের কে বাদ দিয়ে শুধু মাত্র ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়কে নিয়েই পার্বত্য মেলা উযযাপন করে আসছে।যা দিন দিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবর্তে সাম্প্রদায়িক দুরত্ব ও বিরোধ সৃষ্টি করছে। বক্তারা বলেন, ‘গত বছর তিন পার্বত্য জেলার বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী ব্যতিত শুধুমাত্র ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায় নিয়ে পর্বত মেলা আয়োজন করায় পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের ক্ষোভের তোপের মুখে পড়েছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা।তখন তিনি দুঃখ প্রকাশ করে আশ্বাস দিয়ে বলে ছিলেন ,ভবিষ্যতে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে পর্বত মেলা আয়োজন করা হবে’। প্রধান অতিথি আরো বলেন,‘পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সাধারণ বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর সাথে সচিব তাঁর সাম্প্রদায়িক আচরনের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন।এমতাবস্থায় সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সাম্প্রদায়িক আচরণের ফলে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত সকল জাতিসত্ত্বার মধ্যে পারস্পারিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সম্পর্কের মারাত্মকভাবে অবনতি ঘটিয়েছে’তাই তার এ আচরনের ফলে (সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার)অপসারণের দাবীতে শীঘ্রই পার্বত্য এলাকার সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে পার্বত্য জেলায় তীব্র থেকে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে’।
প্রেস বিজ্ঞতি: বাঙালী ছাত্র পরিষদ এর প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন
প্রেস বিজ্ঞতি: বাঙালী ছাত্র পরিষদ এর প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]