মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬

তিব্বতি যুদ্ধাদের চাকমা মুক্তিযুদ্ধা বানানোর অপপ্রচার রুখে দিন!

এই পেইজে আবার এক অপপ্রচারের মুখোশ উন্মোচিত হবে! গত কয়েকদিন ধরে আমরা আপনাদেরকে জানানোর উদ্দেশ্যে উপজাতি রাজাকারদের কর্মকান্ড নিয়ে দুইটা পোস্ট হুবহু দিয়েছিলাম। একটি সৈয়দ ইবনে রহমতের, আরেকটা ব্লগার অমি রহমান পিয়ালের। আপনি বুঝতেই পারছেন দুই রাজনৈতিক আদর্শের দুইজনের পোস্ট কেন দিলাম। এর কারন হচ্ছে, এক জনের পোস্ট দিলে যাতে আরেক আদর্শের মানুষ অবিশ্বাস না করেন।যা-ই হোক, তারা এতটাই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল যে, এবার জঘণ্য ব্যাক্তিগত আক্রমনের দিকে গেল! অমি পিয়াল বা সৈয়দ রহমতের বক্তব্য খন্ডানোর কোন যৌক্তিক, বিশ্বাসযোগ্য কোন উপায় তো পেলই না।এরপর উপজাতিরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন, সেটা প্রমান করতে একটা মিথ্যা ছবি পোস্ট করল! যেই ছবিটা আপনি নীচে দেখছেন, সেই ছবি চাকমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রমান হিসেবে পোস্ট করেছিল। এই ছবিটি মূলত তিব্বতি মুক্তিযুদ্ধাদের ছবি! অবাক হচ্ছেন? তিব্বতি স্বাধীনতাকামী কয়েকজন দক্ষ যোদ্ধাকে ভারত প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। তাদের অনেককে ভারত সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামকে চাকমা আর মিজো রাজাকারদের হাত থেকে উদ্ধার করতে ব্যাবহার করেছিল। যুদ্ধে সফল হবার পেছনে তিব্বতিরা অসাধারণ ভূমিকা রাখলেওতাদের কমান্ডার প্রথমেই মারা যান। আর এই পুরো মিশন ছিল অত্যন্ত গোপন। তাই মুক্তিযুদ্ধের বইগুলোতে লেখকেরা বেমালুম এড়িয়ে গেছেন। যাই হোক, জুম্মল্যান্ড পেইজের পোস্ট করা তথাকথিত মিথ্যা 'চাকমা মুক্তিযুদ্ধাদের' ছবি মূলত তিব্বতি মুক্তিযুদ্ধাদের।

এই পেইজে আবার এক অপপ্রচারের মুখোশ উন্মোচিত হবে! গত কয়েকদিন ধরে আমরা আপনাদেরকে জানানোর উদ্দেশ্যে উপজাতি রাজাকারদের কর্মকান্ড নিয়ে দুইটা পোস্ট হুবহু দিয়েছিলাম। একটি সৈয়দ ইবনে রহমতের, আরেকটা ব্লগার অমি রহমান পিয়ালের। আপনি বুঝতেই পারছেন দুই রাজনৈতিক আদর্শের দুইজনের পোস্ট কেন দিলাম। এর কারন হচ্ছে, এক জনের পোস্ট দিলে যাতে আরেক আদর্শের মানুষ অবিশ্বাস না করেন। যা-ই হোক, তারা এতটাই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল যে, এবার জঘণ্য ব্যাক্তিগত আক্রমনের দিকে গেল! অমি পিয়াল বা সৈয়দ রহমতের বক্তব্য খন্ডানোর কোন যৌক্তিক, বিশ্বাসযোগ্য কোন উপায় তো পেলই না। এরপর উপজাতিরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন, সেটা প্রমান করতে একটা মিথ্যা ছবি পোস্ট করল! তা-ও না পেরে অমি পিয়াল কুৎসিত ব্যাক্তিগত আক্রমন করল। ছি! যুক্তি দিয়ে না পেরে মানুষকে হেয় করার কি জঘণ্য চেষ্টা! তারা এই কাজ কেন করল? উপজাতিরা বেশিরভাগই তো বামপন্থি, অমি পিয়ালকে তো খারাপ লাগার কারন নাই! কিন্তু এর কারন দুইটা! এক. বামপন্থী অনেক ব্লগার যখন মুক্তিযুদ্ধে চাকমা রাজার রাজাকারির পক্ষ নিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছিলেন, তখন ব্লগারদের একচেটিয়া রাজা অমি পিয়ালের একটা পোস্টই সব পথ রুদ্ধ করে দেয়! বাংলা ব্লগের অন্যতম আলোচিত ও পঠিত পোস্ট, 'রাজা(কার) ত্রিদিব রায়; এ লাশ সইবে না বাংলার মাটি' পোস্টটির মাধ্যমে এতটাই আলোচনার সৃষ্টি হয় যে, বাংলাদেশ সরকার ত্রিদিব রায়ের লাশ এ দেশে আনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়! আর দুই নম্বরটা বলতেসি!

এবার আসি তাদের অপপ্রচার সম্পর্কে! আমরা যখন চাকমা রাজা আর আরেক উপজাতি রাজার রাজাকারি নিয়ে পোস্ট করেছিলাম, তখন তারা একটা মিথ্যা ছবি পোস্ট করে বুঝাইলো চাকমারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ ছিল! ছিল, কিন্তু তাদের সংখ্যা খুবই কম! বিপরীতে ব্যাপক পরিমান চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিসিল। এছাড়া চাকমারা মিজো বিদ্রোহীদেরও আমাদের বিরুদ্ধে লাগাইসিলো। তবে মং রাজা আমাদের পক্ষে ছিল। তিনি আমাদের পক্ষে অনেক অবদান রেখেছেন, তাকে বিনম্র শ্রদ্ধা।

তারা যেই ছবি চাকমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রমান হিসেবে পোস্ট করেছিল, সেটা হচ্ছে, যেই ছবিটা আপনি নীচে দেখছেন। এই ছবিটি মূলত তিব্বতি মুক্তিযুদ্ধাদের ছবি! অবাক হচ্ছেন? তিব্বতি স্বাধীনতাকামী কয়েকজন দক্ষ যোদ্ধাকে ভারত প্রশিক্ষণ দিচ্ছিল। তাদের অনেককে ভারত সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামকে চাকমা আর মিজো রাজাকারদের হাত থেকে উদ্ধার করতে ব্যাবহার করেছিল। যুদ্ধে সফল হবার পেছনে তিব্বতিরা অসাধারণ ভূমিকা রাখলেও, তাদের কমান্ডার প্রথমেই মারা যান। আর এই পুরো মিশন ছিল অত্যন্ত গোপন। তাই মুক্তিযুদ্ধের বইগুলোতে লেখকেরা বেমালুম এড়িয়ে গেছেন। যাই হোক, জুম্মল্যান্ড পেইজের পোস্ট করা তথাকথিত মিথ্যা 'চাকমা মুক্তিযুদ্ধাদের' ছবি মূলত তিব্বতি মুক্তিযুদ্ধাদের।
সেই ছবিটি সহ তিব্বতিদের অবদান সম্পর্কে দুইটি ওয়েবসাইট পোস্ট - http://claudearpi.blogspot.com/2011/12/war-which-was-not-theirs.html
http://www.rangzen.net/2010/12/20/phantom-warriors-of-1971/
বাংলায় সেই ছবিটা সহ তিব্বতিদের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে সেই অমি পিয়ালের পোস্ট দেখুন - http://www.jonmojuddho.com/tibbaties-in-1971-liberation-war/#sthash.I5mI4SIX.dpbs
বিঃদ্রঃ আমি জানি অনেকে আমার উপর ক্ষিপ্ত হতে পারেন অমি পিয়ালের নাম নেয়ায়। সে যে-ই হোক, আমার সাথে রাজনৈতিক আদর্শ না মিললেও, একজনের বিরুদ্ধে চাকমাদের দ্বারা নগ্ন ব্যাক্তিগত আক্রমন মেনে নেয়া যায় না। সবচেয়ে বড় কথা তিনি বাঙালি স্বার্থের পক্ষে লিখেছেন। এবার সে আওয়ামী হোক, বাম হোক - সেটা বিবেচ্য হতে পারে না। আজ বাদে কাল, ইনকিলাবের প্রিয় সৈয়দ ভাইয়ের বিরুদ্ধেও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে পারে! অনলাইনে মিথ্যা ব্যাক্তিগত আক্রমন পোস্ট করতে পারে। সুতরাং সচেষ্ট থাকতে হবে, তাই না?
তিব্বতি মুক্তিযুদ্ধাদের চাকমা মুক্তিযুদ্ধা বানিয়ে পার পাবি না পাগলা! রাজাকার চিরজীবন রাজাকার।





পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]