বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

উপজাতি সন্ত্রাসীদের রহস্যে ঘেরা সুড়ংগের সন্ধান

বাংলাদেশের সাথে বাংলাদেশ- ভারত-মিয়ানমার সিমান্তবর্তী পাহাড়ী এলাকায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সুড়ংগের সন্ধান মিলছে যা রহস্যে ঘেরা। সম্প্রতি পাহাড়ি অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় সুড়ংগের সন্ধান পাওয়া গেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত অরিক্ষত হওয়ার কারনে উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা অনায়াসে ভারত মিয়ানমারে সাথে গুপন পথ তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহী অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পার্বত্যঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা খাগড়াছড়ি, ফেনী, মীরসরাই, রাংগামাটি, বাঘাইছড়ি, বরকল, হরিণা, বান্দরবান, কক্সবাজার সীমান্তে দিয়ে তৈরি করে চলেছে এসব গোপন পথ। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও গোপনে গড়ে তোলা হয়েছে অস্ত্রের আখড়া। ভারতীয় নাগরিক ও গোলা-বারুদ বাংলাদেশে আসছে অবাধে। ভারতের আসাম, অরুনাচল, মিজোরাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা রাজ্যের উপজাতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করে, স্থায়ীভাবে বংশবিস্তার করে, উপজাতীয়দের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভারত-বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ৬৯৫ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্ত পথে সম্প্রতি সেনাবাহিনীর ৮৪ ক্যাম্প প্রত্যাহারের ফলে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান বৃদ্ধি পেয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩৫১ সেনাক্যাম্প, ১টি ব্রিগেড, ৩টি পদাতিক ব্যাটালিয়ন সম্পূর্ণ তুলে নেয়ার ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পার্বত্যবাসী। সীমান্তে ৬৯৫ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্ত পথ আর যদি একেবারেই সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা হয় তাহলে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে তিন পার্বত্য জেলা। পার্বত্য চট্টগ্রামের ৬৯৫ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্তে বিজিবি ক্যাম্প না থাকায় এবং সেনাবাহিনীর ৮৪টি ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেয়ায়
মাফিয়া চক্র পার্বত্য এলাকার অরণ্য পথে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দেশের ভেতরে সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে সহজে পৌঁছে দিচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে এইসব মাদিয়া চক্রের মধ্যে রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর উপজাতি পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা। পার্বত্যঞ্চলের এই দুর্গম এলাকা আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই সব এলাকায় হেরোইন তৈরির পপি চাষও হচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পালাক্রমে প্রহরা বসিয়ে সেখানে আফিম, পপি, গাঁজা চাষ করছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবি বান্দরবান সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় বিভিন্ন সময় এসব পপি ও গাঁজা চাষের বাগান ধ্বংস করেছে। 
উপজাতি সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে বিশেষ কায়দায় খনন করছে সুড়ংগ। এইসব সুড়ংগ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রহস্য জনক সুড়ঙ্গ এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে সশস্ত্র উপজাতি সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) । সুড়ঙ্গের ভেতর আরো দু’টি সুড়ঙ্গ দেখা গেছে। আমি সুড়ঙ্গে প্রবেশের সময় প্রায় ৮০ হাতের একটি পাহাড়ি লতা নিয়ে যাই।৭০ হাত পর্যন্ত যাওয়ার পর আর ভেতরে যেতে পারিনি। ওখানে সুড়ঙ্গের মুখে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়া হয়েছে। মাটিগুলো সরানো গেলে আরো ভেতরে যাওয়া সম্ভব হবে। সুড়ঙ্গের ভেতর অনায়াশে দু’জন হামাগুড়ি দিয়ে যেতে পারবে। সুড়ঙ্গের মুখ দিয়ে ১০-১৫ হাত ভেতরে যাওয়ার পর দু’পাশে আরো দুইটি সুড়ঙ্গ দেখা গেছে। সুড়ঙ্গের ভেতর ১০-১২ হাত পরপর ৮-১০ জন বসে কথা বলার মতো প্রশস্ত জায়গা আছে। সুড়ঙ্গের ভেতরে দু’পাশে এমনভাবে মাটি কাটা হয়েছে মনে হয় ধারালো খন্তা (মাটির কাটার যন্ত্র) ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া মাটিতে বালি ও কয়লা দেখা গেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ভারত-বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ৬৯৫ কিলোমিটার সীমান্ত অরক্ষিত থাকায় ভারত ও মিয়ানমারের প্রত্যক্ষ মদদে সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এর উপজাতীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্য। তাই সীমান্তের ৬৯৫ কিলোমিটার সীমান্ত নিরাপত্তার আওতায় আনা হউক।

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]