শ্রীলঙ্কায় জাতিসংঘের একটি সেফ হাউসে আশ্রয় নেওয়া ৪০ জন রোহিঙ্গার ওপর আক্রমণ চালিয়েছে দেশটির বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উগ্রপন্থীরা। মঙ্গলবার দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী কলম্বোতে এ ঘটনা ঘটে। এরপর তাদের উদ্ধার করে কলম্বো থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরের একটি খ্রিস্টান অধ্যুষিত শহরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেওয়া বহুতল ওই ভবনে মঙ্গলবার হামলা চালায় গেরুয়া পোষাকধারী একদল মৌলবাদী বৌদ্ধ। এসময় তারা ভবনটির গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। তাদের মারমুখী অবস্থান দেখে আতঙ্কিত হয়ে ভবনের ওপরের দিকের একটি কক্ষে গাদাগাদি করে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গারা। এসময় ঘটনাস্থল থেকে এক বৌদ্ধ চিৎকার করে বলে, ‘এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা মিয়ানমারে আমাদের বৌদ্ধদের হত্যা করেছে।
’ নিজের ফেসবুক থেকে সরাসরি এ ঘটনার ভিডিও সম্প্রচার করেছে ওই ভবনে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণকারী এ মৌলবাদী বৌদ্ধ। এ ব্যাপারে সেখানে দায়িত্ব পালনকারী এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা হামলাকারীদের সরিয়ে দিয়েছি এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এক কর্মকর্তা জানান, গত মে মাসে শ্রীলঙ্কার উত্তর দিকের জলরাশিতে একটি নৌকায় ভাসমান অবস্থায় ৩১ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। তাদের পর্যায়ক্রমে তৃতীয় কোনও দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার মৌলবাদী বৌদ্ধরা যখন রোহিঙ্গাদের ওপর আক্রমণ করছিল তখন তাদের বহনকৃত প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘শ্রীলংকার বৌদ্ধরা মিয়ানমারের বৌদ্ধদের সঙ্গে আছে।’
শ্রীলঙ্কায় আসা এসব রোহিঙ্গাকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর দেখাশোনা করছে। সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের আপাত নিরাপত্তা ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ঠিক করবে শ্রীলংকা সরকার। বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশীয় গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউনকে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্ট রোহিঙ্গাদের আত্মরক্ষীদলের যুওয়ানরা সেনাবাহিনীর নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোললে, প্রশাসন ক্ষিপ্ত হয়ে অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে সাধারণ রোহিঙ্গাদের উপর । গণহত্যা, গুপ্তহত্যা,গুম, ধর্ষণ,অগ্নিসংযোগসহ এমন কোন অপরাধ বাকি নেই যা সৈন্যরা রোহিঙ্গাদের উপর করেনি । নির্যাতনের মাস পেরুলেও অব্যাহত রয়েছে সেনা তান্ডব । এরই মধ্যে পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা নৃশংসভাবে সেনাদের হাতে হত্যার শিকার হয়েছে । বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় মারা গেছে নূন্যতম পাঁচশো । শুধু নাফ নদীতেই নিহত হয়েছে দেড় শতাধিক । অগণিত নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে । ৪১ হাজার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে । বংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে প্রায় সাড়ে চার লাখ ।
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]