বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৭

ঘুষ’ জায়েজ করতেই কোর্টের আদেশ উপেক্ষা, শিক্ষক নিয়োগে

খাগড়াছড়িতে জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ ‘ ঘুষ’ জায়েজ করতেই কোর্টের আদেশ উপেক্ষা শিক্ষক নিয়োগে, ঘুষের কোটি টাকা জায়েজ করতেই আদালতের আদেশ অমান্য করে নানা অনিয়মের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। সুষম উন্নয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোাধ কমিটির ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সন্মেলনে জনপ্রতিনিধিরা এ অভিযোগ করেছেন। গতকাল (বুধবার) খাগড়াছড়ি পৌরসভার সন্মেলন কক্ষে সংবাদ সন্মেলনে জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, প্রকৃত মেধার পরিবর্তে ‘টাকা’ যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনায় এনে জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্টরা জনপ্রতি ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা হারে ঘুষ নিয়ে প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়েছেন। ঘুষ প্রদানকারী চাকুরি প্রার্থীদের পরীক্ষায় পাস নিশ্চিত করতে লিখিত পরীক্ষার আগের দিন প্রশ্নফাঁস, পরীক্ষা কেন্দ্রে উত্তরপত্র সরবরাহসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নেয়া হয়।
সংবাদ সন্মেলনে অভিযোগ করা হয়, আদালতের আদেশ অমান্য করে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এটিকে আদালত অবমাননা উল্লেখ করে এরজন্য জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দায়ী করা হয়। নিয়োগ প্রাপ্তরা জেলা পরিষদের পরামর্শ অনুযায়ী রাতের বেলায়ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে যোগদান করেছেন। সরকারি চাকুরিতে যোগদানকালে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনের শারীরিক ফিটনেস সার্টিফিকেট জমা দেয়ার বিধান থাকলেও তড়িঘড়ি করে নিয়োগপত্র ইস্যু ও দ্রুত পোস্টিংস্থলে যোগদানের নির্দেশনার কারণে অনেকেই এ সার্টিফিকেট ছাড়াই কর্মস্থলে যোগদান করেন। ঘুষ নিয়ে একই পরিবারের ৩-৪ জনকেও চাকুরি দেয়া হয়েছে।

জনপ্রতিনিধিরা আরও অভিযোগ করেন, ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এসব অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর গঠিত ঐ কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করার আগেই শিক্ষক নিয়োগদান সম্পন্ন করা হয়েছে।

সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, খাগড়ছড়ি পার্বত্য জেলা সুষম উন্নয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক ও খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চক্ষুমনি চাকমা। কমিটির সদস্য সচিব ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রমও নিবিড়ভারে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তদন্তে কোন অসঙ্গতি দেখা গেলে কঠোর কর্মসচি দেয়া হবে।

সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা, লক্ষ্মীছড়ি পজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা, বর্মছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হর মোহন চাকমা, মুক্তিযোদ্ধা আলী আশ্রাফ প্রমুখ।পার্বত্য মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির তদন্ত শুরু : শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি গতকাল (বুধবার) থেকে তদন্ত কাজ শুরু করেছে। তারা নিয়োগ কমিটির সাথে কথা বলছেন এবং নিয়োগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মানিক লাল বণিক তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক। কমিটির অপর সদস্যরা হচ্ছেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব কাজী মো. আনোয়ারুল হাকিম ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মকিমা বেগম। গত ১৯ সেপ্টেম্বর গঠিত এ তদন্ত কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।

[পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]