বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭

পাহাড়ে গুম-খুন, অপহরণ-চাঁদাবাজি বেড়ে যাওয়ায় র‌্যাবের ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ

এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) নতুন ইউনিট হচ্ছে তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে। এসব জেলায় খুন, গুম, সংঘর্ষ, অপহরণ, পাল্টা অপহরণ এবং চাঁদাবাজি ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে পার্বত্য জেলাগুলোতে র‌্যাবের ক্যাম্প স্থাপন নিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চিঠিটি চলতি বছরের ৬ই মার্চ র‌্যাবের কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দেশের দক্ষিণাঞ্চলে র‌্যাবের দুটি ব্যাটালিয়ন গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব ও কাউন্সিলর অফিসার মো. আবদুল মালেক স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটিকে দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের এক-দশমাংশ আয়তনজুড়ে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড গ্রহণ করে যাচ্ছে।

যার পরিপ্রেক্ষিতে এ অঞ্চলের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত ও অর্থনৈতিক অধিকার এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। তথাপি সাম্প্রতিককালে পার্বত্য অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু বিষয় প্রতীয়মান হয়। এসবের মধ্যে রয়েছে- পার্বত্য জেলাসমূহ খুন, গুম, সংঘর্ষ, অপহরণ, পাল্টা অপহরণ এবং চাঁদাবাজি ইত্যাদির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এ এলাকার জনসংখ্যাও নিয়ত বর্ধনশীল। সন্ত্রাসীরা এ এলাকায় ঘাঁটি করে অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা সদর কিংবা শহর এলাকায় ভীতি কিছুটা কম থাকলেও দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় তা বিরাজমান। র‌্যাব-৭ কর্তৃক স্বল্প সংখ্যক র‌্যাব সদস্য দ্বারা বৃহত্তর চট্টগ্রামের কক্সবাজার এবং ফেনী জেলায় কর্তব্য পালনের পাশাপাশি রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবনের মতো দুর্গম ও বিশাল এলাকায় কর্তব্য পালন করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

বর্তমান মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ডিউটির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি অপতৎপরতার অংশ হিসেবে হালকা বা ভারী আগ্নেয়াস্ত্র, বুলেট, ম্যাগজিন এবং গান পাউডার বাংলাদেশে চোরাচালান হয়ে আসা বন্ধ করতে পাহাড়ি জেলাগুলোয় শান্তিচুক্তির আগে স্থাপিত সেনাবাহিনীর ক্যাম্পসমূহ বর্তমানে নেই।

ওই সমস্ত এলাকায় বিজিবি/পুলিশ/র‌্যাবের ক্যাম্প স্থাপন করা যেতে পারে মর্মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় স্মারক নং-০৩.০৭৯.০১৬.০৪.০০.২২.২০১৬-২০ তারিখ ৪ঠা জানুয়ারি ২০১৭-এর মাধ্যমে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-৪৪.০০.০০০০.০৭৭.০১.০০২.১৪-২৭৯ তারিখ ৬ই মার্চ ২০১৭-এর মাধ্যমে র‌্যাব বরাবর পাঠানো হয়।

এমতাবস্থায়, পার্বত্য চট্টগ্রামে র‌্যাবের ১টি ব্যাটালিয়ন গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। এদিকে সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে শিগগিরই ওই তিন পার্বত্য জেলায় র‌্যাবের ইউনিট স্থাপন করা হবে। 

সূত্র: মানবজমিন।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]