পার্বত্য চট্টগ্রামের শতকরা ৫০ ভাগ জনগোষ্ঠী বাঙ্গালী আর বাকী ৫০ ভাগ হলো ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায়ের সমষ্টি। পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে উপজাতীয় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে, ঐ চুক্তিতে পাহাড়ী ৭ লক্ষ বাংগালীদের কোন প্রতিনিধিত্ব ছিলনা; এমনকি, চুক্তিতে তাদের সাংবিধানিক নাগরিকত্ব অধিকার সম্পূর্নভাবে অস্বীকার করা হয়েছে। সন্তু লারমা চাকমা ব্যতীত অন্যান্ন ১২টি উপজাতির প্রতিনিধিত্ব করেনা এবং সে কোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিও নয়। তা সত্বেও, ১৯৯৭ সাল থেকে সন্তু লারমাকে কোনো নির্বাচন ছাড়াই আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বসিয়ে রেখে তার অবৈধ কর্তৃত্ব পুরো পার্বত্যবাসী নাগরিকদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দশ ভাগের এক ভাগ, অর্থাত, সন্তু লারমার শাসনাধীনে এখন বাংলাদেশের মোট আয়তনের এক-দশমাংশ ন্যস্ত। কিন্তু, সে তার সশস্ত্র সন্ত্রাস, বাঙ্গালী খেদাও আন্দোলন ও বিচ্ছিন্নতাবাদ পরিহার করেনি।
পার্বত্যাঞ্চলের ৫০ ভাগ অধিবাসী বাঙ্গালীদেরকে উপেক্ষা করে গণহত্যাকারী ও সশস্ত্র দেশোদ্রোহী উপজাতি সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে সরকার যে অন্যায় ও অসাংবিধানিক চুক্তি করেছে- তা পার্বত্য ৭ লক্ষ বাংগালী মানতে বাধ্য নয়, কেননা চুক্তিতে তাদের প্রতিনিধিত্ব চরমভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল রাজনৈ্তিক পদ উপজাতি ও বাঙ্গালীদের মধ্যে সমভাবে বন্টন করতে হবে।
গত ১৯ বছর উপজাতিদেরকে আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদসমূহ ভোগ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে; এখন থেকে বাঙ্গালীদেরকে পরবর্তী ১৭ বছর এসকল পদে থাকার সুযোগ দিয়ে চলমান বৈষম্য দূর করতে হবে। এছাড়া, শিক্ষা, চাকুরী ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বৈষম্য দূর করে সমতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে সক্রিয় উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোকে দমনে কার্যকরী ব্যবস্থা নিয়ে দেশের এক-দশমাংশ এ এলাকার নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং উপজাতি-বাঙ্গালী নির্বিশেষে প্রত্যেকের সমানাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। উপজাতীয় সন্ত্রাসের শিকার পারব্ত্য বাঙ্গালীদের উপর এ অন্যায় চুক্তি আর চাপিয়ে রাখা চলবে না।
লেখক: ফারুক আহমেদ।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]