রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৭

উপজাতি লিখতে সার্কেল চীফদের প্রতি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ

পার্বত্য চট্টগ্রামে সার্কেল চীফদের স্থায়ী বাসিন্দা সনদপত্রে ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহারে পাহাড়ী-বাঙালির ভাতৃত্ব সম্পর্কে তিক্ততা বাড়াচ্ছে! শুধু তিক্ততা নয়, এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা অর্থাৎ সার্কেল চীফগণ দেশের সংবিধান ও শান্তিচুক্তির ধারা-উপধারাকেও পাস কাটিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন বসবাসরত উপজাতি সম্প্রদায়কে সনদপত্র প্রদানে ‘ তথাকথিত আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার করে আসছেন। তবে এখন থেকে তথাকথিত আদিবাসী নামে অভিহিত করার অবকাশ নাই জানিয়ে তিন পার্বত্য জেলার সার্কেল চীফদের নিদের্শ প্রদান করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ২৩ অক্টোবর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সমন্বয়-২) এএসএম শাহেন রেজা স্বাক্ষরিত ‍পত্রে যুক্তি উপস্থাপন করে বলা হয়, ‘‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি তথা পার্বত্য শান্তিচুক্তির ‘‘খ’’ খন্ডের ১নং ধারায় পরিষদের আইনে ‘‘উপজাতি’’ শব্দটি বলবৎ থাকবে। বাংলাদেশ সংবিধানের ২৩ ক অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে ‘‘রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তা, নৃ-গোষ্ঠি ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন’’। পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী বিভিন্ন উপজাতীয় সম্প্রদায়কে সংবিধানেন উল্লেখিত ‘উপজাতি’ ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’, নৃ-গোষ্ঠি ও সম্প্রদায়’ এর বাইরে নাগরিক সনদ প্রদানে বা দাপ্তরিক কাজে ‘আদিবাসী’ নামে অভিহিত করার অবকাশ নাই।

বিষয়টি ইতোমধ্যে জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে খাগড়াছড়ি জেলায় এর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বাঙালী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ অভিমত দেন, তাদের মতে সার্কেল চীফরা সরকারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। অথচ শান্তিচুক্তি ও সংবিধানের বর্হিভূত তথাকথিত আদিবাসী শব্দ জড়িয়ে দিয়ে সনদপত্র প্রদান করা রহস্যজনক। একই স্বাধীন রাষ্ট্রে, একই ভূখন্ডে পাহাড়ী-বাঙালি একই মায়ের অভিন্ন সন্তান হয়েও স্থায়ী বাসিন্দা সনদপত্রে সার্কেল চীফরা ভিন্ন ভিন্ন সনদপত্র ইস্যু করে আসছেন। স্থায়ী বাসিন্দা সনদপত্র গ্রহণকালে বাঙালিদের নিকট এক প্রকার কাগজপত্র গ্রহণের শর্তারোপ করেন, তার বিপরীতে উপজাতিদের সুলভভাবে সনদপত্র প্রদান করে আসছেন। রাজাতো সকল প্রকার প্রজার রাজা। প্রজাদের ভিন্ন ভিন্নি দৃষ্টভঙ্গি দিয়ে দেখার রহস্য কী? ফলে পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখার স্বার্থে পারস্পরিক আন্তরিক হলেও শুধুমাত্র তথাকথিত আদিবাসী শব্দ লেখা সনদপত্রগুলো ভ্রাতৃত্ব সম্পর্কে তিক্ততা বাড়াচ্ছে।

অপরদিকে, উপজাতি একাধিক নেতৃবৃন্দের অভিমত, ইতোমধ্যে যেসকল সনদপত্রে আদিবাসী শব্দ ব্যবহার করে পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন সনদপত্র গ্রহণ করে চাকুরীতে, বিদেশ গমনে বিভিন্ন কাজে লাগিয়েছেন সেইসব ইস্যুকৃত সনদপত্রগুলোর বিষয়ে কি ‍সুরাহা হবে এমনটাই জিজ্ঞাসা। অনেকেই তথাকথিত আদিবাসী শব্দ লেখা সনদপত্র দিয়ে উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছেন, কেহ বা চাকুরীতে যোগদান করেছেন। ইস্যুকৃত এইসব সনদপত্রের কারনে ভবিষ্যতে কোন জটিলতা হবে কী না এমনও সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চীফ রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরীর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাহিলে তিনি বলেন, যেহেতু দীর্ঘদিন যাবত তথাকথিত আদিবাসী শব্দ লেখাসহ সনদপত্র বিতরণ হয়ে আসছে। সেহেতু এখনো পর্যন্ত সরকারের নিদের্শনা আমি পাইনি। নির্দেশনা পেলে আইন-কানুন বলে যা লেখার প্রয়োজন হবে, তাই প্রদান করা হবে।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]