পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের উদ্যোগে সভা, রাঙামাটিতে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে উদ্বেগ।রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ও কাপ্তাইয়ে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পাহাড়ি সমাজের প্রথাগত নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলছেন, রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান বাপেক্স ওই এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য দুটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে। অথচ এ ব্যাপারে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় কোনো প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি ও প্রথাগত নেতাদের মতামত নেওয়া হয়নি। গতকাল সকালে রাঙামাটি শহরে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জানানো হয় দুটি উপজেলার ১ হাজার ৬৪৬ বর্গকিলোমিটার এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাপেক্স। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের উদ্যোগে এ সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা।
সভার শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাঘাইছড়ি উপজেলার কাসলং এলাকায় ৯৭২ দশমিক ৭৩ বর্গকিলোমিটার এবং কাপ্তাই উপজেলার সীতাপাহাড় এলাকার ৬৭৩ দশমিক ২৬ বর্গকিলোমিটারজুড়ে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান করা হবে। তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দুটি কোম্পানির সঙ্গে বাপেক্স ‘খসড়া যৌথ সহযোগিতা চুক্তি’ করেছে।
সভায় বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি চিঠি থেকে বিষয়টি অবহিত হয়েছে আঞ্চলিক পরিষদ। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কাছে মতামত জানতে চেয়েছে মন্ত্রণালয়। কিন্তু আঞ্চলিক পরিষদ মনে করে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রথাগত নেতা ও সুশীল সমাজের মতামত নেওয়া প্রয়োজন। সবার মতামত সরকারের কাছে প্রস্তাব আকারে তুলে ধরতে চায় আঞ্চলিক পরিষদ।
সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি না করে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ শুরু করা হলে ভূমি নিয়ে জটিলতা আরও বাড়বে। পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদ আহরণের আগে পার্বত্য আঞ্চলিক ও জেলা পরিষদ, সার্কেলপ্রধান ও মৌজাপ্রধানদের (হেডম্যান) মতামত সম্মতি ও অংশগ্রহণ আবশ্যক বলে তাঁরা দাবি করেন। কিন্তু বাপেক্স দুটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যে সমঝোতা স্মারক সই করেছে, সেখানে এসব প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নেই।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন রাঙামাটি থেকে নির্বাচিত সাংসদ ও জনসংহতি সমিতির সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য নীলু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা ও মো. কামাল উদ্দিন, চাকমা সার্কেলপ্রধানের প্রতিনিধি কুমার নন্দিত রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, রাঙামাটি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুণ কান্তি চাকমা, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দিলদার হোসেন, বরকল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মণি চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রুবায়েত আক্তার আহমেদ, এম এন লারমা ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক শক্তিপদ ত্রিপুরা, জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা।
সভায় বক্তারা বলেন, কাসলং ও সীতাপাহাড় এলাকায় তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ চলাকালে বনজ সম্পদ ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থলের কী পরিমাণ ক্ষতি হবে সে-সংক্রান্ত কোনো জরিপ চালানো হয়নি। তেল-গ্যাস পাওয়া গেলে তা উত্তোলনের জন্য কত মানুষ উদ্বাস্তু হবে এবং তাদের পুনর্বাসনে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা সমঝোতা স্মারকে উল্লেখ করা হয়নি।
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]