রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭

ভান্তের নারী কেলেঙ্কারী- ১ম পর্ব

ধর্মতিষ্য ভান্তে হলেও রোবট নয়। রক্ত মাংসের তৈরি একজন টাটকা দেহধারী মানুষ। তাই তিনিও দেহধর্মের উর্ধ্বে নন। যতই সাধক, অরহত, শীলবানের ভান করুক না কেন তার শরীরে এন্ড্রোজেন গ্রুপের স্টেরয়েড এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ চলছেই। আধুনিক মেডিক্যাল সাইন্স বলে মানুষের লিভিডো বা যৌনশক্তি সামাজিক বা ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণে স্বাভাবিকভাবে যখন প্রকাশের সুযোগ পায় না, জোর করে অবদমিত থাকে তখন সেটা অন্যভাবে প্রকাশ পায়। যেমন- আবেগী হওয়া, রাগ বেশি হওয়া, অবসেসন ইত্যাদি। এখানে উল্লেখ্য যে মানুষের কিছু অতি স্বাভাবিক দেহগত সহজাত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন- আহার, নিদ্রা, মৈথুন ধর্ম ইত্যাদি। জলজ্যান্ত একজন সুষ্ঠ ও সক্ষম মানুষ যখন ধর্মীয় কারণে সহজাত দেহধর্মকে অস্বীকারপূর্বক বাধ্য হয়ে অবদমন করে তখন সেটা নানাভাবে এবং অনেকসময় অস্বাভাবিকভাবে প্রকাশিত হয়। স্বাভাবিক যৌনতার বিষয়টি আমাদের সমাজে অনাগারিক ভিক্ষু সংঘে কেনো সাধারণ দায়ক সমাজেও অস্বীকৃত, অনালোচ্য, নিষিদ্ধ এবং অস্বাভাবিকৃত। পাশ্বাত্য জগতে যেখানে যৌনতাকে জীবনের স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ্যবইতেও শেখানো হয় সেখানে আমাদের সমাজে বিষয়টিকে খারাপ, নিষিদ্ধ, অনালোচিত ইত্যাদি বিধি নিষেধ আরোপ করে দূরে রাখা হয়। ফলত এ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক শিক্ষার বদলে কুশিক্ষা, অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারের অন্ধকারে নিমজ্জিত সমাজ।

আমাদের সমাজে যারা ভিক্ষু হয় তাদেরকে দেবতা জ্ঞানে অতি উৎকৃষ্ট খাদ্য, ভেজ্য দিয়ে সেবা করা হয়। আর সাধক শীলবান হিসেবে পরিচিত হলে তো কথায় নেই। আসলে ভিক্ষুদেরকে যে রকম খাদ্য দেয়া হয় সেগুলো প্রচুর পুষ্টিকর এবং উত্তেজকও। এসব এস্ট্রোজেন, টেস্টোস্টেরন, এন্ড্রোজেন ইত্যাদি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণের ফলে শরীরে লিভিডো মাত্রা নিঃসন্দেহে বৃদ্ধি পায়। অথচ ধর্মীয় বিধিনিষেধ অনুযায়ী দেহ ধর্মের ওই বাসনা পূরণ সম্পূর্ণ নিষেধ। এটা অনেকটা এরকম যে, কাউকে বেশি পরমিাণে মদ খেতে দিয়ে মাতাল না হতে বারণ করা।

পাশ্বাত্য সমাজে অনেকেই যারা যৌনতাকে অন্তরায় মনে করে তারা এন্টি-সেক্স বা যৌনশক্তি ধ্বংসকারী ওষুধ সেবন করে কাঙ্ক্ষিত ক্যারিয়ার গঠনের জন্য। বৌদ্ধ ধর্মে আবার তাও স্বীকৃত নয়। কেননা, ভিক্ষু হওয়ার জন্য যে কতগুলো শর্ত আছে তার মধ্যে পুরুষত্ব থাকাটা অন্যতম আবশ্যিক শর্ত। ভিক্ষু করানোর সময় ঘ্যাঙ ঘরে অনুশাসক ভিক্ষু হতে যাওয়া ব্যক্তিকে প্রশ্ন করেন- “পরুষাসি” অর্থাৎ আপনি পুরুষ কিনা? মানে আপনার পৌরুষ ক্ষমতা আছে কি না। যদি ”নত্তি ভন্তে” বা নেই ভান্তে বললে তিনি ভিক্ষু হওয়ার অযোগ্য হন। এর মানে আপনার পুরুষত্ব থাকতে হবে তবে সেটাকে শুধু দমন নয় জোর করে অবদমন করতে হবে! ওষুধ দিয়ে নয়, মানসিক শক্তি দিয়ে। একদিকে উত্তেজক উৎকৃষ্ট খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, প্রোটিনসমৃদ্ধ ফল, জাঙ্কফুড ইত্যাদি দেয়া হবে এবং এ খাওয়া নিয়ে বিনয়েও কোন বিধিনিষেধ নেই অন্যদিকে উত্তেজনায় আপনি শান্ত থাকবেন! দেখি, দচুওনি মদ খাবেন বেশি বেশি কিন্তু মাতাল হতে পারবেন না!! 

বৌদ্ধ ধর্মের মতই প্রাচীন ভারতবর্ষে আরেকটি শ্রামণ্যবাদী দর্শন আছে সেটাকে বলা হয় জৈন ধর্ম(দর্শন) যা বৌদ্ধ ধর্ম দর্শনের সাথে প্রায় মিল। জৈন ধর্মের ধর্মগুরুরা খাদ্য গ্রহণের বেলায় খুবই সংযমী। বৌদ্ধ ধর্মের মত তারা কেবল “প্রাণী হত্যা মহাপাপ” বলে না। তারা সকল প্রকার মাছ মাংস খায় না। এমনকি দিগম্বরবাদীরা মুখে সাদা কাপড় বেধে রাখে যাতে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের সময় কোন প্রকার অনুজীবও প্রবেশ করে মৃত্যুবরণ না করে। এই দর্শনকেই বৌদ্ধ দর্শনে আবার কৃচ্ছসাধন বলে নিন্দা করা হয়েছে এবং মধ্যম পন্থা অবলম্বনের কথা বলা হয়েছে।

লেখক: Awhkhoda Jummo


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]