শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

জেএসএসের ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে


জনসংহতির ১৪ নেতাকর্মী কারাগারে রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জনসংহতি সমিতির ১৪ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুই আওয়ামী লীগ নেতা হত্যাচেষ্টার দুই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার সকালে গ্রেফতারের পর দুপুর সাড়ে ৩টায় তাদের রাঙামাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ আহম্মেদ’র আদালতে তোলা হয়। এসময় পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড চাইলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিমান্ড শুনানি ১০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করে তাদের জেল হাজতে পাঠান। গত ৫ ডিসেম্বর রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাসেল মারমাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাসেল মার্মা বিলাইছড়ি থানায় মামলা করেন। এতে বিলাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির উপজেলা সভাপতি শুভমঙ্গল চাকমাসহ ৩১ জনকে আসামি করা হয়। অপরদিকে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝর্ণা খীসাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ২১ জনকে আসামি করে ঝর্ণা খীসা কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন।

শুক্রবার সকালে রাঙামাটি শহরের আসামবস্তি এলাকা থেকে শুভমঙ্গল চাকমা ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়। একই সময় বিলাইছড়ি থানা পুলিশ বুদ্ধিবিজয় তংচঙ্গ্যা (২১), সুমন চাকমা (২৬), সুনীল কান্তি চাকমা (৪০), চন্দ্র বাবু তংচঙ্গ্যা (৩৫) ও বীরময় চাকমাকে (৩৫) গ্রেফতার করে। ঝর্ণা খীসার মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে গ্রেফতার সাত জন হলো রিটন চাকমা (২৯), বাবু চাকমা (২৭), মঙ্গলমনি চাকমা (২৬), সাধন চাকমা (২৮), রিকন চাকমা (২৮), ফালনজিৎ চাকমা (২২)ও রূপম চাকমা (২৪)।

দুটি মামলার ৫২ জন আসামির মধ্যে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রাঙামাটি কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া বলেন, ‘বিলাইছড়ি আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাসেল মারমাকে হত্যাচেষ্টা মামলার এজারভুক্ত দুই আসামি ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ঝর্ণা খীসাকে হত্যাচেষ্টার এজারভুক্ত ৭ আসামিসহ মোট ৯ জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। রাসেল মারমা হত্যাচেষ্টা মামলায় বাকি ৫ জনকে বিলাইছড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে বিলাইছড়ি থানা।’

গত মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাঙামাটির জুরাছড়িতে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই সময়ে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাসেল মারমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। একদিন পর বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাঙামাটি শহরেই জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ঝর্ণা খীসাকে নিজ বাসায় কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। তিনটি ঘটনার জন্যই আওয়ামী লীগ আঞ্চলিক দল জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে এবং জনসংহতি সমিতি অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এসব হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাঙামাটি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছে রাঙামাটি জেলা যুবলীগ।


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]