মঙ্গলবার, ৬ মার্চ, ২০১৮

অপরাধী উপজাতি আইন- ১৮৭১

“অপরাধী উপজাতি আইন- ১৮৭১” আইন অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা যাযাবর যাকে বাংলায় সেটেলার বলে। আর উপজাতিরা নিজেদের কথিত আদিবাসী দাবি করে ও বাঙালীদের সেটেলার বলে। জাতিসংঘের আদিবাসী কাঠামো অনুযায়ী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা আদিবাসী নয়। আর নিজেদের আদিবাসী দাবী করে। কথায় আছে পাগলের সুখ মনে মনে এদের অবস্তা ও এমন। নিজেরা যা দাবী করে তাই ঠিক আর বাকী সবাই ভূল। “অপরাধী উপজাতি আইন- ১৮৭১ উপজাতি (সেটেলার) ভাইদের উৎসর্গ করলাম। চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস ম্যানুয়েল-১৯০০ এর কথা শুনেছেন কিন্তু কখনো কি "অপরাধী উপজাতি আইন-১৮৭১" এর নাম শুনেছেন? বাড়তি লিখার ইচ্ছে থাকলেও সেলফোনের কীপ্যাডে চেপে লিখতে পারব না তাই সংক্ষিপ্তাকারেই তুলে ধরছি। আজকাল বুদ্ধিজীবির বক্তৃতা-সেমিনার থেকে প্রায়ই দাবী উঠে -"চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস ম্যানুয়েল-১৯০০" বাস্তবায়ন করা হোক। তাদের কথায় কিন্তু যুক্তি আছে। আমিও বলছি তাহলে বহাল রাখা করা হোক কিন্তু তা হতে হবে পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন। যে হিল ট্র্যাক্টস ম্যানুয়েল উপজাতিদের বিশেষ কোন অধিকার দেয়নি, দিয়েছে কেবল তাদের প্রভূদের; যে বিধি অনুসারে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী থাকবেন একজন সমতলের জেলাপ্রশাসক (বাঙালী); যে বিধি অনুসারে জনপ্রতি উপজাতি ২৫বিঘা জমি ব্যবহার করতে পারলেও জমির মালিক কখনোই হতে পারবে না; যে বিধি অনুসারে উপজাতিরা বিনা পারিশ্রমিকে সরকারি কর্মকর্তাদের (বাঙালীদের) কাজ করে দিতে বাধ্য থাকবে; যে বিধির ৫২ধারা উপজাতিদের সেটেলার (যাযাবর) স্বীকৃতি দিয়েছে; যে বিধির আওতায় উপজাতিদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে; যে বিধিতে বহিরাগত (বার্মিজ/মঙ্গোলিয়ান) উপজাতিদের পার্বত্য বঙ্গে প্রবেশের পথে বাঁধা সৃষ্টি করেছে; সেই বিধি যদি এতটাই ফলপ্রসূ ও যুগোপযুগী মনে হয় তবে আমার মনে হতে অসুবিধে কোথায়? আমিও এই আইনের পাই পাই হারে স্বীকৃতি চাই; জয় বাংলা!

একটা সময় গোঁটা ভারতবর্ষে ১৯৪১-এর সূর্যাস্ত আইনের প্রচলন ছিল, কেও যদি সেই ভয়াবহতাকে যুগোপযুগী মনে করে থাকে তবে আমি কেন পারব না? আমি কি সূর্যাস্ত আইনের পুনঃবহাল দাবী করতে পারি?

ব্রিটিশরা পার্বত্য অঞ্চলে পালিয়ে আসা বহিরাগত উপজাতিদের ঠেঁকাতে নানা কৌশল অবলম্বন করলেও তা ব্যর্থে পর্যবসিত হয়; এই ইতিহাস আর কারোই আজ অজানা নয়। অবশেষে তারা আইন প্রণয়ন করে খানিকটা এর সমাধান পেয়েছে, তা না হলে আজকের এই ভারতবর্ষ হিংস্র মঙ্গোলীয়ানদের পেটে চলে যেত। ভুলে যাবেন না, চীনের ঐতিহাসিক মহাপ্রাচীর করা হয়েছিল শুধুমাত্র মানবখেকো মঙ্গোলীয়ানদের ঠেঁকাতে। উপজাতিদের কঠোর হাতে দমন করতে ব্রিটিশরা এই ম্যানুয়েল প্রণয়নের আগে চালু করেছিল "অপরাধী উপজাতি আইন- ১৮৭১"; যে আইনের কথা অনেকেই তাদের বক্তৃতা-সেমিনারে ইচ্ছে করেই চেপে যান। কালের বিবর্তনে ব্রিটিশরা এই আইনকে সংশোধন করে আরো শক্ত ও পরিমার্জিত করেছিল যথাক্রমে ১৯১১সালে ও ১৯২৪সালে। "চিটাগং হিল ট্র্যাক্টস ম্যানুয়েল-১৯০০" এর যথাযথ বাস্তবায়নে এই উপজাতি "অপরাধ আইন-১৮৭১" এর পারষ্পরিক সার্থকতা অনস্বীকার্য। এই আইনেও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ ভারতবর্ষের আনাচে-কানাচে মঙ্গোলীয়ান বংশোদ্ভূত উপজাতিদের বলা হয়েছে স্রেফ NOMADIC/SEMI-NOMADIC যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় যাযাবর এককথায় সেটেলার। কারো ইচ্ছে হলে এই "উপজাতি অপরাধী আইন-১৮৭১" নেটে সার্চ করে দেখতে পারেন, আশা রাখি আরো অনেক অদ্ভুত কিছু জানতে পারবেন। তত্‍কালীন ভারতবর্ষের "ভারত শাসন আইন-১৯৩৫" আইনেও এসব উপজাতিদের সেটেলার বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে এমনকি তাদের ভোটাধিকার পর্যন্ত হরণ করা হয় ১৯৩৬ ও ১৯৪৬ সালের ভারতব্যপী সাধারণ নির্বাচনে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়া উপজাতিরা ভোট দেয়া থেকে বঞ্চিত হয়। বার্মা ও বাংলাদেশ থেকে যাযাবরের মত বিচরণ করতে থাকা সেটেলার উপজাতিদের কঠোর হস্তে দমনে স্বাধীনতা-উত্তর ভারত সরকার "উপজাতি অপরাধ আইন ১৮৭১" বাতিল করে তারই একটি আধুনিক অনুসৃতি "উপজাতি অপরাধ আইন (সংশোধিত)-১৯৫২" নামে আরেকটি কার্যকরী আইন প্রণয়ন করে যা আজো কৃতিত্বের সহিত বহাল আছে। ভেবে দেখুন কতটা হিংস্র ও দুর্ধর্ষ হলে এসব যাযাবর গোষ্ঠির বিরুদ্ধে বারবার আইন প্রণয়ন করা হতে পারে?

বেশি কথা না বাড়িয়ে শুধু এইটুকুই বলে শেষ করতে চাই- বুদ্ধির ভারে ভারাক্রান্ত বুদ্ধিজীবিরা সেটেলার উপজাতিদের দুঃখে দুঃখায়িত হয়ে "চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস ম্যানুয়েল-১৯০০" বা "পার্বত্য শাসন বিধিমালা-১৯০০" আইনটি স্বাধীন বাংলাদেশে বহাল রাখতে চায়, আমার বুদ্ধি কম তাই আমি এসব বুদ্ধিজীবির দাবীতে দ্বিমত পোষণ করতে পারিনা। বুদ্ধি কম বলে আমার কি কোন একান্ত দাবী থাকতে পারেনা? আমিও সেইসাথে চাই "অপরাধী উপজাতি আইন-১৮৭১" স্বাধীন বাংলাদেশে বহাল রাখা হোক, প্রিয় বুদ্ধিহীন ভাইয়েরা আপনারাও কি আমার সাথে একমত?


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]