বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৯

ভারতপ্রত্যাগত শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ

তালিকা হালনাগাদের মাধ্যমে ভারতপ্রত্যাগত শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের দ্রুত পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ৮১ হাজার ৭৭৭টি উদ্বাস্তু পরিবার রয়েছে। উদ্বাস্তু পরিবারগুলোর সঠিক ও শুদ্ধ তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকার গঠিত টাস্কফোর্স। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান, হেডম্যান ও কারবারিদের সম্পৃক্ত করে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের আলাদা আলাদা তালিকা হালনাগাদ করা হবে। যারা মৃত্যুবরণ করেছে বা দেশ ছেড়ে চলে গেছে, তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়বে।

তৈরিকৃত তালিকা সুপারিশ সহকারে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে এবং মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর তাদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে। যারা পুনর্বাসিত তাদের স্থায়ী ও যারা পুনর্বাসিত হয়নি তাদের তালিকা করে পুনর্বাসনের জন্য ব্যবস্থা নেবে সরকার। এছাড়া উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের ?ঋণ মওকুফ, ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার, প্রত্যাগত শরণার্থীদের চাকরিতে জ্যেষ্ঠতা প্রদান এবং রেশন দেওয়ার বিষয়টিও সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক বৈঠকে এসব তথ্য জানান ভারতপ্রত্যাগত শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু নির্দিষ্টকরণ ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসনে যথেষ্ট আন্তরিক বলে তিনি উল্লেখ করেন। গতকাল টাস্কফোর্সের ১০ম সভায় তিনি সভাপতিত্ব করেন।

সভায় টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, তিন পার্বত্য জেলার উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের পুনর্বাসনে সরকার গঠিত টাস্কফোর্স আরো কার্যকর করা হবে। উদ্বাস্তু ও শরণার্থী পরিবারের তালিকা নির্ভুল ও সঠিকভাবে তৈরি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীরা সরকারি চাকরিতে জ্যেষ্ঠতা সুবিধা ভোগ করছেন। এ পর্যন্ত ২৬২ জনকে চাকরিতে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আরো ৭০ জন আবেদন করেছে। তা যাচাই-বাছাই শেষে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঋণ মওকুফের বিষয়ে টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা সভায় জানান, উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের ?ঋণ মওকুফ করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পক্ষ থেকে ?ঋণদাতা সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক এবং বিআরডিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি অগ্রগতির পর্যায়ে রয়েছে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. আবদুস সাত্তার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কেএেম মামুনুর রশিদ, উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের প্রতিনিধি মেজর মো. সালাউদ্দিন, জেএসএস প্রতিনিধি সাথোয়াই প্রু মার্মা ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি অংসুইপ্রু চৌধুরী।

শামীম হামিদ, চট্টগ্রাম অফিস

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]