পুলিশ অধিদফতরের আওতাধীন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাংগঠনিক কাঠামোতে একটি স্থায়ী পার্বত্য ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১৫) জন্য ৬৭৭ জন জনবল অনুমোদন করা হয়েছে। বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব আজীজ হায়দার ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক সরকারি আদেশে এ কথা জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, 'নির্দেশিত হয়ে পুলিশ অধিদফতরের আওতাধীন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাংগঠনিক কাঠামোতে একটি নতুন ব্যাটালিয়ন সংযোজনের জন্য একটি স্থায়ী পার্বত্য ব্যাটালিয়ন ইউনিট (র্যাব-১৫) স্থাপন পূর্বক উক্ত ব্যাটালিয়নের জন্য বিভিন্ন পদবীর মোট ৬৭৭টি পদ সৃজন, ৮৪টি যানবাহন এবং ১৫টি সরঞ্জামাদি (সিসিটিভি) টিওএন্ডই-তে অনুর্ভুক্তকরণে সরকারি মঞ্জুরি জ্ঞাপন করছি।'
যেসব পদের বিপরীতে ৬৭৭ জনবল অনুমোদন করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- পরিচালক ১টি, উপপরিচালক ৬টি, সিনিয়র সহকারী পরিচালক ৩৫টি, আরএমও ১টি, উপ-সহকারী পরিচালক ৫৪টি, ধর্মীয় শিক্ষক ১টি, এসআই ১৩০টি, এএসআই ১৫২টি, হিসাব রক্ষক ১টি, ক্যাশিয়ার ১টি, নায়েক ৩৫টি, কনস্টেবল ২৩৬টি, কুক কনস্টেবল ২২টি ও মেস ওয়েটারের ২টি পদ।
তিন পার্বত্য জেলায় র্যাব এর কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। তথ্যমতে বাহিনীতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৬৭৭ সদস্য ও কর্মকর্তা এবং ৮৪ টি যানবাহন। চিন্তার বিষয় হলে এতে সাধারণ পার্বত্যবাসীর আশার প্রতিফলন ঘটবে কি? দীর্ঘ সময় ধরে পাহাড়ে সেনা সদস্যের অবস্থান। সন্ত্রাস দমনে সেনাবাহিনীর যদি ইচ্ছা তথা রাষ্ট্রীয় বাধ্যকতা থাকতো তবে পাহাড় এমন থাকতো না। সেনাবাহিনী যদি চায় তবে ২৪ ঘন্টায় পাহাড়কে অবৈধ অস্ত্র মুক্ত করা সম্ভব। প্রশ্ন হলো, র্যাব এর উপর কিভাবে আমরা আস্থাশীল হবো? যেখানে ব্যর্থ সেনাবাহিনী সেখানে র্যাব এর উপর ভরসা নিছক বোকামী। হয়তো, দেখা যাবে অদৃশ্য শক্তির জোরে র্যাব কেও শিকল পড়ানো হবে যেমনটা বর্তমানে সেনাবাহিনী পড়ে আছে।
মূল কথা হলো সন্ত্রাস দমনে চাই রাষ্ট্রীয় ভাবে দমন নীতি। আর এটা না থাকলে কোন ভাবেই পাহাড় সন্ত্রাস মুক্ত হবেনা। সন্ত্রাস দমনের ইচ্ছা না করে পাহাড়ে র্যাব কেন এর চেয়েও বড় কোন দপ্তর আনা হলেও তা কাজে আসবে না।
সূত্র : দৈনিক সমকাল
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]