পার্বত্য এলাকার উপজাতীয় আঞ্চলিক সংগঠন “ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) কে প্রতিহত করার দাবীতে মানবন্ধন ও আলোচনা সভা করেছে সাধারণ উপজাতি ও ইউপিডিএফ কর্তৃক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত উপজাতি পরিবারের সদস্যরা। ১৯ অক্টোবর শনিবার সকালের দিকে মাটিরাঙ্গা পুরাতন হাসপাতাল মোড় থেকে একটি মিছিল বের হয়। শতাধিক ব্যক্তিবর্গ অংশ নেয়া মিছিলটি মাটিরাঙ্গা পৌর সদরের প্রধান সড়ক ঘুরে মাটিরাঙ্গা কলাবাজার ভাই ভাই বোডিং সম্মুখে মানববন্ধন করে। এরপর তারা আলোচনা সভা করেন ভাই ভাই বোডিং এর ২য় তলার ছাদে।সভায় বক্তারা- সম্প্রতি ঐক্য করার নামে যারা প্রচারণায় নেমেছে তাদের সকল ষড়যন্ত্র ও ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার আহবান জানান। তারা ইউপিডিএফ’র সন্ত্রাসীদের ফাঁদে পা না-দেওয়ার পরামর্শ দেন । এ সময় ইউপিডিএফ নিষিদ্ধ করার দাবী জানান তারা। সভায় মাটিরাঙ্গায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপজেলার সকল জনসাধারণ, ভুক্তভোগি সাধারন উপজাতি নেতৃবৃন্দ ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক সংগঠন জনগনের এ দাবীর সাথে ঐক্যমত পোষণ করে মানববন্ধনে যোগদেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলার সর্বস্তরের উপজাতিদের আয়োজনে স্থানীয় কার্বারী বিনয় চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাটিরাঙ্গা উপজেলার ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের সমন্বয়ক সুলেন চাকমা।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ,মাটিরাঙ্গা উপজেলা ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের সহকারি সমন্বয়ক মঙ্গল এিপুরা, তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার ফনিভূষণ চাকমা, লাচাইমং কার্বারী, মাটিরাঙ্গা কমলা কান্ত কার্বারী পাড়ার কার্বারী যুদ্ধমনি চাকমা প্রমুখ।
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি মাটিরাঙ্গা উপজেলা সমন্বয়ক ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের সুলেন চাকমা বলেন, ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক উপজাতি জনগনের এ দাবীর সাথে সংহতি প্রকাশ করছি। দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে ইউপিডিএফ যেভাবে উপজাতিদের আন্দোলনের নামে প্রতিনিয়ত পাহাড়ে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে তা অনেক দিন পর সাধারন উপজাতিরা বুঝতে পেরেছে, তাই আজকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার ভুক্তভোগি সাধারন উপজাতি অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। ইউপিডিএফ শান্ত পাহাড়ী অঞ্চলকে অশান্ত করে রেখেছে। আমরা পাহাড়ে আর কোন মায়ের কান্না দেখতে চাইনা আমরা পাহাড়ে সকল জাতিগোষ্টি একসাথে বসবাস করতে চাই।
তিনি আরো বলেন বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর পার্বত্যাঞ্চলের আঞ্চলিক সংগঠন জেএসএস এর সভাপতি জ্যােতিন্দ্র বোধিপ্রিয় শন্তু লারমা সাথে শান্তিচুক্তি করে। শান্তিচুক্তির সময় জেএসএসের সদস্যরা অস্ত্রজমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায়। কিন্তু চুক্তিকে কালো চুক্তি বলে পাহাড়ে গঠন হলো প্রসিত বিকাশ খীসার আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফ । যা গঠনের পর অশান্ত হয়ে পড়ে পার্বত্যাঞ্চল।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]