শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৯

পাহাড়ে র‍্যাব চায় না উপজাতি সংগঠন অন্যদিকে স্বাগত জানালো পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :পার্বত্য চট্রগ্রামে র‍্যাবের ব্যাটালিয়ন স্থাপন পরিস্থিতিকে জটিল করবে বলে বিবৃতি দিয়েছে চার পাহাড়ি সংগঠন। ৮ অক্টোবর (শুক্রবার) এক যৌথ বিবৃতিতে ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সভাপতি সচিব চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি অংগ্য মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিপুল চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরুপা চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্রগ্রামে র‍্যাবের একটি ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব ১৫) স্থাপন করা হলে তা এ অঞ্চলের পরিস্থিতিকে আরো বেশি জটিল করে তুলবে। সম্প্রতি র‍্যাবের পার্বত্য ব্যাটালিয়ন স্থাপনে সরকারের জনবল অনুমোদনের সিদ্ধান্ত বাতিল করার দাবী জানিয়ে উক্ত চার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, পার্বত্য চট্রগ্রামের সমস্যা হল সম্পূর্ণ রাজনৈতিক, আইনশৃঙ্খলা জনিত নয়। তাই গণতান্ত্রিক ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের মৌলিক দাবী পূরণ না করে একটি নিপীড়ক বাহিনীর ব্যাটালিয়ন স্থাপনের জন্য গৃহীত অযৌক্তিক ও বাস্তবতা বিবর্জিত পদক্ষেপ পার্বত্যবাসীকে বিস্মিত করেছে।

চার সংগঠনের নেতারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্রগ্রামে যে সব অপরাধ সংগঠিত হয় তা রাজনৈতিক ও জাতিগত দমন পীড়নের অংশ হিসেবেই হয়ে থাকে এবং সে সব অপরাধের কোন বিচার হয়না। গত ২১ বছরে ইউপিডিএফের ৩ শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থককে রাজনৈতিক কারণে খুন করা হয়েছে; অথচ অপরাধী খুনিদের আইনের আওতায় না এনে বরং তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হয়ে থাকে।
নেতৃবৃন্দ পার্বত্য চট্রগ্রামে র‍্যাবের ব্যাটালিয়ন গঠনের মাধ্যমে জনগণের ন্যায্য আন্দোলন দমনে অর্থ ব্যয় না করে সেই অর্থ পাহাড়িদের মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের জন্য শিক্ষক নিয়োগ অথবা অন্য কোন জনকল্যাণমূলক খাতে খরচ করতে সরকারকে পরামর্শ দেন।

এছাড়া পার্বত্য চট্রগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আশু রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ, সকল দল ও সংগঠনকে শান্তিপূর্ণ এবং গণতান্ত্রিক কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ড চালানোর অধিকার এবং ইউপিডিএফের ৩শতাধিক নেতাকর্মী-সমর্থল খুনের বিচারের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দাবী জানান।

অপরদিকে পাহাড়ে র‌্যাবের আগমনকে স্বাগত জানালো পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ
পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এক বিবৃতিতে বলেছেন স্বাধীনতার পর থেকে এই পার্বত্য এলাকায় একটি কুচুক্রী মহল পার্বত্য অঞ্চলকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা রাষ্ট্র বানানোর জন্য প্রতিনিয়ত গভির ষরযন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এই চক্রান্ত কারীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে ১৯৯১সাল থেকে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ অদ্য তারিখ পর্যন্ত পার্বত্য এলাকার সকল নিরিহ পাহাড়ী বাঙালিকে সাথে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা মনে করি এই র‌্যাব ব্যাটেলিয়ন স্থাপনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য এলাকার অবৈধ অস্ত্র, চাঁদিবাজি, গুম খুন সহ সকল ধরণের অপরাদ কমে আসবে। তাই অতি দ্রুত র‌্যাব সহ যৌথ বাহিনির সমন্বয়ে পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করে সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবী জানান পিবিসিপি নেতৃবৃন্দরা।

বিবৃতিতে পিবিসিপির জেলা সেক্রেটারি আব্দুল মান্নান বলেন, যখন সরকার পার্বত্য অঞ্চলে অপরাধ দমনে র‌্যাব ব্যাটেলিয়ন স্থাপনের উদ্দ্যোগ নিয়েছে ঠিক তখনি পার্বত্য অঞ্চলের ৪টি সন্ত্রাসী সংগঠন র্যাব ব্যাটেলিয়ন গঠনের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয়া রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা আবারো প্রমান করেছে যে তারাই এই অবৈধ অস্ত্রের মালিক, কারা এই অঞ্চলে চাঁদা বাজি করে,কারা গুম খুনের সাথে জরিত তারা তাদের এ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিজেদের কুকর্মের সাক্ষি নিজেরাই দিয়েছে বলে মনে করে পিবিসিপি। তাই অতি দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

উক্ত বিবৃতিতে পিবিসিপি,র জেলা সাংগঠনিক আব্দুল্লাহ আল মুমিন বলেন সরকার যদি পার্বত্য সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে ব্যার্থ হয়, তাহলে পার্বত্য অঞ্চলের সকল জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে পিবিসিপি সরকার কে বাধ্য করবে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে আসতে। পরিশেষে পিবিসিপি,র সকল নেতা কর্মিগনের পক্ষ থেকে পার্বত্য অঞ্চলের প্রসাশন সহ সরকার কে ধন্যবাদ জানান র‌্যাব ব্যাটেলিয়নের উদ্দ্যোগ গহন করায়।

পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ, দীঘিনালা শাখা
পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের দীঘিনালা উপদেষ্টা মো. মুনসুর আলম হিরা বিবৃতিতে বলেন স্বাধীনতার পর থেকে এই পার্বত্য এলাকায় একটি কুচক্রি মহল পার্বত্য অঞ্চলকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা রাষ্ট্র বানানোর জন্য প্রতিনিয়ত গভির ষরযন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এই চক্রান্তকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে ১৯৯১সাল থেকে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ অদ্য তারিখ পর্যন্ত পার্বত্য এলাকার সকল নিরিহ পাহাড়ি বাঙালিকে সাথে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা মনে করি এই র‍্যাব ব্যাটেলিয়ন স্থাপনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য এলাকার অবৈধ অস্ত্র, চাঁদিবাজি, গুম খুন সহ সকল ধরণের অপরাদ কমে আসবে। তাই অতি দ্রুত র‍্যাব সহ যৌথ বাহিনির সমন্বয়ে পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করে সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবী জানান পিবিসিপি নেতৃবৃন্দরা।

বিবৃতিতে পিবিসিপির দীঘিনালা উপজেলার সভাপতি আল আমিন বলেন, যখন সরকার পার্বত্য অঞ্চলে অপরাধ দমনে র‍্যাব ব্যাটেলিয়ন স্থাপনের উদ্দ্যোগ নিয়েছে ঠিক তখনি পার্বত্য অঞ্চলের ৪টি সন্ত্রাসী সংগঠন র‌্যাব ব্যাটেলিয়ন গঠনের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয়া রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা আবারও প্রমান করেছে যে তারাই এই অবৈধ অস্ত্রের মালিক, কারা এই অঞ্চলে চাঁদা বাজি করে,কারা গুম খুনের সাথে জরিত তারা তাদের এ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিজেদের কুকর্মের সাক্ষি নিজেরাই দিয়েছে বলে মনে করে পিবিসিপি। তাই অতি দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

উক্ত বিবৃতিতে পিবিসিপি,র দীঘিনালার সাধারণ সম্পাদক শামীম আব্দুল্লাহ বলেন সরকার যদি পার্বত্য সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে ব্যার্থ হয়, তাহলে পার্বত্য অঞ্চলের সকল জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে পিবিসিপি সরকারকে বাধ্য করবে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে আসতে।

পরিশেষে পিবিসিপি’র সকল নেতা কর্মীগণের পক্ষ থেকে পার্বত্য অঞ্চলের প্রসাশন সহ সরকারকে ধন্যবাদ জানান র‍্যাব ব্যাটেলিয়নের উদ্যোগ গহণ করায়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]