সোমবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৯

পার্বত্য অধিকার ফোরাম বিলুপ্ত



প্রেস বিজ্ঞপ্তি : পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্তমানে বাঙালীদের কোন সংগঠন নেই। পাহাড়ে সকল বাঙালী সংগঠন গুলো এক ছাতার নিচে এসে বৃহৎ স্বার্থে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সংগঠন ঘোষনা করেছে। সংগঠনের নাম হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। পাহাড়ের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সংগঠন গঠন করে। দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করে বৃহৎ স্বার্থে এই সংগঠন গঠন করার পর হতেই একটি কুচক্রী মহল যারা ব্যক্তি স্বার্থে পাহাড়ে আঞ্চলিক রাজনীতি করেছে, নিজেরা পদ বিক্রি করে যায়গা জমির মালিক হয়েছে, সংগঠনের নাম দিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজী করেছে তারাই মূলত চাচ্ছে না ঐক্য প্রক্রিয়া হোক, বাঙালীরা এক হোক। তারা এই সুন্দর উদ্যােগের বিরোধীতা করে ঐক্য প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে চাচ্ছে।

গত ৫/১২/১৯ইং তারিখ ঢাকা প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার ও ৭/১২/১৯ইং রোজ শনিবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল বাঙালী সংগঠনকে বিলুপ্ত করা হয়েছে। এই অবস্থায় কোন সংগঠনের গ্রহনযোগ্য কোন কার্যক্রম পাহাড়ে আর নেই। এখন কেউ কাউকে বহিস্কার কাউকে আবিস্কার করার এখতিয়ার কারো নেই। কিন্তু বর্তমানে পার্বত্য অধিকার ফোরামের নামে কেউ কেউ সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাসুম রানাকে বহিস্কার ও রাঙামাটি জেলার দায়িত্বশীল হাবিবকে বহিস্কার করার দুঃসাহস দেখিয়েছে যা পার্বত্য চট্টগ্রামের আপামার বাঙালী জাতির জন্য দুঃখ জনক। পার্বত্য অধিকার ফোরামের মূল কর্ণধার পরিচয় দিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত বিভিন্ন নেতাকর্মীদের হুমকি ভয় ভীতি দেখাচ্ছে যাতে ঐক্য প্রক্রিয়ার কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ না করে। কিন্তু জাতির বৃহৎ স্বার্থ চিন্তা করে সংকীর্ণ মন মানুষিকতার উর্দ্ধে উঠে যে সকল নেতাকর্মী কাজ করে যাচ্ছে ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে তাদের নানা ভাবে ভূয়া অভিযোগ দিয়ে তাদের কে সামাজিক ভাবে হেয় করছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে যেহেতু কোন বাঙালী সংগঠন নেই সকল সংগঠন বিলুপ্ত করা হয়েছে সেহেতু পার্বত্য অধিকার ফোরাম থেকে কাউকে বহিস্কার করা আবিস্কার করা গ্রহণ যোগ্য নয়। যেখানে অধিকার ফোরাম বিলুপ্ত করা হয়েছে সেখানে বহিস্কার করা হাস্যকর।

আর একান্তই যদি সংগঠনের কোন বিষয় দেখতে হয় তাহলে সেটা দেখবে পার্বত্য অধিকার ফোরামের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি। বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটিতে মাঈন উদ্দিন নেই, সংগঠনের অভ্যন্তরিন ঝামেলার কারনে মাঈন উদ্দিনকে বাদ রেখে নতুন করে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিলো পার্বত্য অধিকার ফোরামের।

যেহেতু কোন বাঙালী সংগঠন বর্তমানে নেই তারপরেও একান্তই সংগঠনের ভালো মন্দ বা কারো বিষয়ে কোন অভিযোগ আসলে তা দেখবে বর্তমান পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি। মূলত এখন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ছাড়া আর কোন বাঙালী সংগঠন নেই।

তাই কোন অভিযোগ বা কাউকে বহিস্কার আবিস্কার এই সকল অপপ্রচার পার্বত্য অধিকার ফোরামের নাম দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে কেউ পাঠালে কোন প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠালে না ছাপানোর জন্য অনুরোধ করেন জাতির বিবেক সাংবাদিক ভাইদের কাছে।

মোঃ আনিসুজ্জামান ডালিম
ভাইস চেয়ারম্যান, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ।
সাবেক সদস্য সচিব, পার্বত্য অধিকার ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটি।
সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
মোবাইল নংঃ- 01557821348     তারিখঃ ০৮-১২-২০১৯

পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]