লেখাটি যখন তৈরি করি তখন ভেবেছিলাম শিরোনাম দেব বাংলাদেশের বন্ধকী আত্মার আর্তনাদ। কিন্তু এটি বেশি নেতিবাচক হয়ে যায় কিনা,সেজন্য বাদ দিলাম। তবে কেন এই শিরোনামটি ভেবেছিলাম সেটি ব্যাখ্যা করতে একটি গল্প দিয়ে এই লেখাটা শুরু করছি। ১৬ শতকের একজন বিখ্যাত ইংরেজ কবি ও নাট্যকার ছিলেন খ্রিষ্টফার মারলো(Christopher Marlowe)।তার একটি বিখ্যাত নাটক হচ্ছে The Tragical History of the Life and Death of Doctor Faustus সংক্ষেপে Doctor Faustus. খুবই জনপ্রিয় একটি নাটক, ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে অনার্স পড়া প্রায় সবাইকেই এটি পড়তে হয়।
এই নাটকের
গল্প ও কেন্দ্রীয় চরিত্র হচ্ছে
ডক্টর ফসটাস (Doctor Faustus)একজন স্কলার যে কিনা প্রচলিত যুক্তিবিদ্যা, মেডিসিন, আইন ও ধর্মবিষয়ক সীমাবদ্ধ
জ্ঞানে অসন্তুষ্ট
হয়ে ‘ব্ল্যাক
ম্যাজিক’ বা যাদু-টোনা (খারাপ
অর্থে) শিক্ষার
সীদ্ধান্ত নিলেন।ডক্টর ফসটাস তার নতুন ক্যারিয়ার শুরু
করলেন যাদুকর
হিসেবে।তবে যাদুকর
হিসেবে তার অফুরন্ত ক্ষমতার আগে শয়তানের ( Mephastophilis) সাথে তার একটা
চুক্তি হল।২৪
বছর শয়তান
তার সেবা
করবে, তাকে
সকল ক্ষমতা
দেয়া হবে, সে যা চায় তাই হবে কিন্তু
এর বিনিময়ে
ডক্টর ফসটাসের
আত্মাকে দিয়ে
দিতে হবে শয়তানকে এবং ২৪ বছর পর তার আত্মা জাহান্নামে যাবে।ডক্টর ফসটাস কিছুটা
ইতস্তত করে পরে রাজি হলেন।অর্থাৎ, আত্মার বিনিময়
সে যাদুকরী
ক্ষমতা পেল ২৪ বছরের জন্য।
২৪ বছর ডক্টর ফসটাস হেন কাজ নেই করলেন
না।মানুষকে তাক লাগানোর জন্য আলেকজান্ডার দি গ্রেট
কে নিয়ে
আসা, দুনিয়ার
সেরা সুন্দরী
হেলেনের সাথে
সাক্ষাত থেকে
রাজদরবারে নাক ফাটিয়ে দেয়া ইত্যাদি।পাপ করতে করতে
সে নিজেকে
ব্যাপক অধঃপতিত
করল।মাঝে মাঝে
যখন তার অনুশুচনা হত,তওবা
করার জন্য
লোকেরা বলত কিন্তু সে পারতনা।কেননা তার আত্মা
বন্ধক দেয়া
শয়তানের কাছে।দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায়
ভ্রমন করে করে ডক্টর ফসটাস
যাদু’র খেলা চালাতে চালাতে
সময় শেষ হয়ে আসল।একেবারে শেষ মুহর্তে সে অন্যান্য
স্কলারদেরকে তার ঐ চুক্তির কথা বলল।তারা সবাই খুব আশ্চার্য্য হল এবং ফসটাসের ক্ষমার
জন্য দোয়া
করতে চাইল।
২৪ বছর যখন প্রায় শেষ, তার আগের দিন ফসটাস অনুশোচনায়, ভয়ে ক্ষমা ও প্রান
ভিক্ষা চাইতে
লাগল কিন্তু
ততদিনে অনেক
দেরী হয়ে গেছে।গভীর রাতে শয়তানের
সাগরেদ এসে তার রুহ কবজ করল এবং আত্মাকে
জাহান্নামে নিয়ে
গেল।পরদিন অন্য
স্কলাররা কেবল
ডক্টর ফসটাসের
হারগোড় দেখতে
পেল এবং কবরের ব্যবস্থা করল।
এই গল্পটি বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৫ বছর এসেও জাতি হিসেবে আমরা ভারতের সাথে আমাদের জাতীয় সম্পর্ক নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছি।এই ব্যর্থতা কেবল ব্যর্থতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই রবং হাজির হয়েছে জাতীয় সংকট হিসেবে।বাঙালী জাতীয়তাবাদের
অনুসারীদের কাছে ভারত হচ্ছে ‘বন্ধু রাষ্ট্র’।১৯৭১ সালে ভারতের সাহায্যের কারণে তাঁরা এতটাই ন্যুজ ও নিবেদিত প্রাণ যে ৪৫ বছর পর একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব
যখন ভারতের কারণেই প্রশ্নের সম্মুক্ষীন হয়, তখনও তাঁরা পুরাতন ‘বন্ধুত্বের’ কারণে প্রশ্ন তুলতে কেবল অপারগই নয় বরং কোন এক অজানা কারনে মেরুদণ্ড সোজা করে বলতেও পারেনা আমি স্বাধীন।
এ যেন ‘স্বাধীনতার বিনিময়ে স্বাধীনতার বন্ধকী’!এ যেন ডক্টর ফসটাস এর মত বাংলাদেশের আত্মার
বন্ধকী, যার বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আজ খাদের কিনারে এসে প্রাণ ভিক্ষা চাইছে-বলছে আমাকে মুক্তি দাও, আমার স্বাধীনতাকে স্বাধীনতা
দাও।আত্মার বন্ধক দেয়া বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্রটির শেষ রক্ষা হবে কি? এই নিয়ে এই আলোচনা। একটু দীর্ঘ প্রবন্ধ ধৈর্য নিয়ে পড়ার অনুরোধ রইল।
আমি তরুণ প্রজন্মের অনেককেই একটি প্রশ্ন করেছি,এখনো করি; সমস্যা কি ভারতের মত বিশাল
দেশ, সুপার
পাওয়ারের সাথে
মিশে গেলে?
প্রথমত, এমন একটি প্রশ্ন অনেককেই অপ্রস্তুত করে।অধিকাংশ
উত্তরদাতাই কোন সদুত্তর না দিতে পেরে মাথা চুলকায়, আমতা আমতা করে,এরপর বলে-
কি বলেন?
আমরা স্বাধীন
দেশ না? তো? ভারতে আমাদের
মত ২ ডজন বাংলাদেশ বা তারচেয়ে বড় রাজ্য
আছে,তারাওতো
স্বাধীন? না মানে……
আরে ভাই শাহরুখ খান, আমির
খান, প্রীতি
জিনতার সাথে
পাসপোর্ট-ভিসাহীন
চা খেতে
পারবেন। তরুণ প্রজন্ম আর আগাইতে পারেনা।
এই তরুণ হচ্ছেন খেয়ে না খেয়ে, বুঝে না বুঝে ভারতবিরোধীতা করা তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি।অন্যদিকে ভারত বিরোধীদের শায়েস্তা করতে এগিয়ে আসা কোন এক তরুণ তর্ক জুড়ে দেন এই বলে-ভারত আমাদের চিরশত্রু পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধে ‘উদ্ধারকারী’ হিসেবে এসেছে।আর তাই আমরা তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ।তাকে যখন উপরোক্ত একই প্রশ্ন করা হয় তখন স্বাভাবিক উত্তর হয়- ভারত যদি আমাদের
দখল করতে
চাইত তাহলে
১৯৭১ সালেই
করতে পারত!হিন্দু সম্প্রদায়ের
অনেককেই এই যুক্তি দিতে দেখেছি।এই কথায় যুক্তি আছে।কিন্তু এই যুক্তিতে মুক্তি মিলছেনা, মিলছে কি?
সত্যিকার অর্থে একটি স্বাধীন দেশের যে বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার,যেটা আমাদের ছিল, গত কয়েকবছর আমরা কি দেখছি?সীমান্তে চলমান নির্বিচার বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা, খরা হয়ে যাওয়া আমাদের নদী,বিভিন্ন অসম বাণিজ্য-চুক্তি, বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি, বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ অনেক বিষয়ে হস্তক্ষেপ, বাংলাদেশের নিরাপত্তায় কম্প্রোমাইজ,
এমনকি ভারতীয় দ্রুতাবাসে নির্ধারন হওয়া এম্পি, মন্ত্রী’র প্রার্থীতা ইত্যাদি বিষয়গুলো সামনে রাখলে বলা যায়না বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।মনে হয় ভারতের দয়ায় টিকে থাকা একটি Vessel state (ভাসমান রাষ্ট্র)।
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন উদ্দেশ্য
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী
সবাই কি একই লক্ষ্যে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল?বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সময়ে করা মন্তব্যগুলো পর্যালোচনা করে বলা যায় সবাই একই উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি।ধর্ম, আদর্শ, আর্থ-সামাজিক অবস্থান ভেদে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে ভিন্নতা ছিলই।স্বাধীনতার পর পর অনেকেই বলেছেন বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে পাওয়ার আসায় যুদ্ধে গেছেন।অনেকেই গিয়েছিলেন সাম্য-ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করার আশায়,অনেকে গিয়েছেন অর্থনৈতিকভাবে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার আশায়, কেউ কেউ গিয়েছেন কারণ তার পক্ষে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে না গিয়ে উপায় ছিলনা।কারোরই
দেশপ্রেমের অভাব ছিলনা।উদ্দেশ্য ও আদর্শ ভিন্ন হলেও একটা লক্ষ্য প্রায় সবার ছিল-দেশকে স্বাধীন
করা।
তবে কিছু মানুষ একেবারে ভিন্ন উদ্দেশ্যে যে যুদ্ধে গিয়েছেন সেটাও আমরা দেখতে পাই।বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপর ২৮ ডিসেম্বর চিত্তরঞ্জন সূতার নেতৃত্বে বাংলাদেশের তিনজন সংখ্যালঘু নেতা ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী’র সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশকে ভারতের অংশ করে রাখার প্রস্তাব রাখেন। তাদের প্রস্তাবের জবাবে ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ইয়ে না
মুমকিন হ্যায় [মাসুদুল হক, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ‘র’ এবং সিআইএ” (পঞ্চম সংস্করন),প্রচিন্তা প্রকাশনী, ২০১১,পৃঃ ১৪০]।
ইয়ে না মুমকিন হ্যায় মানে এ সম্ভব নয় সেদিন ইন্দিরা বললেও চিত্তরঞ্জন সূতার ও তার সঙ্গী ডা. কালীদাস বৈদ্য সে চেষ্টা স্বাধীনতার পরেও করে গেছেন। দুই জনে মিলে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ভারতে বসে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী ‘বঙ্গভূমি’ আন্দোলন পরিচালনা করে। তাদের বক্তব্য ছিল ‘যদি দ্বিজাতিতত্ত্ব নাই থাকে, তবে সীমান্ত
থাকবে কেন?’ [প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ১৯]। (আরো পড়ুনঃ Hindu republic ‘born’ in Bangladesh, Times of India, Feb 4,
2003)
এখন আমরা বলতে পারি চিত্তরঞ্জন সূতার ও তার সঙ্গী ডা. কালীদাস বৈদ্য দুই জনেই মুক্তিযোদ্ধা কিন্তু তাঁরা যেই উদ্দেশ্যে ১৯৬২ সাল থেকে কলকাতায় বসে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী
পরিষদ’ নামে গোপন সংগঠন পরিচালনা করে আসছিলেন তাঁদের সাথে অন্যান্য বাঙালী মুসলমান মুক্তিযোদ্ধার
কেবল আদর্শিক ভিন্নতাই নয় বরং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যেও ভিন্নতা ছিলই।আরো দুটি উদাহরণ দিয়ে পয়েন্টটি শেষ করছি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাসগুপ্ত বলেছেন, “সংবিধানে বিসমিল্লাহ ও ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হবে জানলে মুক্তিযুদ্ধ করতাম না” (আমার দেশ অনলাইন,২৭ ডিসেম্বর ২০১৩)।মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও সংখ্যালঘুদের অধিকার আদায়ের মূল সেনানী মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত বীর উত্তম বলেন; ‘ বাংলাদেশকে ধর্মীয় রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি‘ (কালের কন্ঠ, ২ ডিসেম্বর, ২০১৬)
মজার ব্যাপার হচ্ছে সময়ের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে একই ব্যক্তির ভূমিকা দুইভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।যেমন ১৯৬২ সালে চিত্তরঞ্জন সূতার পাকিস্তানের
নাগরিক হিসেবে দেশের গোয়েন্দাদের কাছে পরিচিত ছিলেন ভারতীয় এজেন্ট ও ষড়যন্ত্রকারী
হিসেবে কিন্তু একই ব্যক্তির এই ভুমিকাকে আমরা ৭১ এর পর বিবেচনা করেছি স্বাধীনতার সৈনিক হিসেবে।কিন্তু ইন্দিরা গান্ধীর সাথে তার আলাপ প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর সেই একই ব্যক্তিকে এখন বাঙালীরা কিভাবে বিবেচনা করবেন? এই ধরণের ঘটনা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অজস্ত্র।
কে কি উদ্দেশ্যে অংশগ্রহণ করেছে,রাষ্ট্র যদি সবার সেসব উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন করতে যায় তাহলে সেটা আর রাষ্ট্র থাকবেনা। তৈরি হবে নৈরাজ্য।আর এটিই আমরা দেখছি স্বাধীনতার পর থেকে আজ অবদি।সবাই সবার ভিশন অনুসারে রাষ্ট্র গড়তে চায় এবং সেটা করতে গিয়ে কে কাঁর সাথে কি শর্তে মিলিত হয়, কাঁর কাছে কি বন্ধক রাখে বলা মুশকিল।তবে এই নৈরাজ্যের দীর্ঘস্থায়ীকরণ কারোরই কাম্য নয়। সেজন্য দরকার ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে
কেন অংশগ্রহণ করেছে সেটা বুঝার চেষ্টা করা।
সকল পর্ব: পর্ব - ১ পর্ব - ২ পর্ব - ৩ পর্ব - ৪ পর্ব - ৫
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]