বুধবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭

পাহাড়ে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা: পর্ব - ২

অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণ বান্দরবান জেলার একটি চার্চের অধীনে মহিলা হোস্টেলে মেয়েদের নির্যাতিত হওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এ জেলাটি তো খ্রিস্টান অধ্যুষিত না, তাহলে এখানে চার্চ এলো কোথা থেকে? আর ফাদার-ব্রাদারদের দ্বারা মেয়েদের নির্যাতিত হওয়ার ঘটনাই-বা ঘটে কী করে? এটা সত্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের মধ্যে এক সময় কেউ খ্রিস্টান ছিল না। বান্দরবানসহ তিন জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিবাসীরা ছিল মূলত বৌদ্ধ, হিন্দু এবং প্রকৃতিপূজারি। কিন্তু ব্রিটিশরা উপমহাদেশে আসার সময় তাদের সাথে সাথে খ্রিস্টান মিশনারিরাও এসেছে। মিশনারিরা শুরুতে সমতল-অসমতল সকল অঞ্চলের মানুষের মধ্যেই খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারে উদ্যোগী হয়। কিন্তু এক পর্যায়ে তারা বুঝতে পারেন যে, সমতলে বসবাসকারী অপেক্ষাকৃত অগ্রসর জনগোষ্ঠীকে ধর্মান্তরিত করার চেয়ে পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী উপজাতীয় জনগোষ্ঠীকে ধর্মান্তরিত করাটা অনেক সহজ এবং নিরাপদ। তাই তারা বাংলাদেশের যেখানেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর দেখা পেয়েছে, সেখানেই আস্তানা গেড়েছে।

সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই তারা তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসকারী পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে ধর্মান্তরিত করার টার্গেট করে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও এবং দাতা সংস্থার সহায়তায় তারা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে প্রলুব্ধ করে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তর করা শুরু করে। মিশনারিদের প্রচেষ্টায় আজকের বাস্তবতা হলো, পার্বত্য চট্টগ্রামের শুধু বান্দরবান নয়, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এমনকি কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকাগুলোতে বসবাসরত কোনো কোনো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শতভাগ এবং কোনো কোনো জনগোষ্ঠীর আংশিক জনসংখ্যা ইতোমধ্যে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে গেছে। ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় প্রভাব বাড়ছে মিশনারিদেরও। রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়িতেও মিশনারিদের প্রভাব বিদ্যমান তবে বর্তমানে বান্দরবানে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা।
মিশনারিদের এই প্রভাবের গভীরতা ঠিক কতটা, তা বোঝা যাবে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক রিপোর্টের সূত্র ধরে ২০১১ সালের ১০ আগস্ট দৈনিক ইনকিলাবে “খ্রিস্টান বানানো হচ্ছে উপজাতীয়দের” শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৪৫টি উপজাতির অস্তিত্ব রয়েছে। এর মধ্যে তিন পার্বত্য জেলায় রয়েছে ১৪টি উপজাতি। এসব উপজাতির ৩০.৫৭ ভাগ চাকমা, ১৬.৬০ ভাগ মারমা, ৭.৩৯ ভাগ ত্রিপুরা, ৬.১৬ ভাগ অন্যান্য উপজাতি। অবশিষ্টরা বাঙালি। পার্বত্যাঞ্চলের প্রধান এ তিনটি উপজাতির মধ্যে প্রথাগতভাবে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে সনাতন বা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। গত দুই দশকে এসব জেলায় খ্রিস্টান ধর্মের বিস্তার ঘটেছে অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে। 

গত জুন (২০১১) মাসে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় কোরআন শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাই, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, বান্দরবান জেলায় এখন মুসলমান ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬২ জন। খ্রিস্টান ১ লাখ ৩ হাজার ৯৯৭ জন। বৌদ্ধ ৩০ হাজার ৫৪৬ জন। হিন্দু ১০ হাজার ৭৯৬ জন। দু’দশক আগে এ জেলায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যার দিকে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও এখন তারা তৃতীয় স্থানে চলে এসেছে। খ্রিস্টান ধর্মানুসারীদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিতীয়।’


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]