মুসলিমদেরকেও খ্রিস্টান বানানো হচ্ছে বান্দরবান জেলার পরিসংখ্যান থেকেই দেখা যাচ্ছে, যে অঞ্চলে এক সময় খ্রিস্টান ধর্মানুসারীদের কোনো অস্তিত্বই ছিল না, সেখানে আজ মিশনারিদের তৎপরতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তথা উপজাতীয়দের সর্বাংশে খ্রিস্টানকরণ প্রায় সম্পন্ন। শুধু তাই নয়, অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা অসহায় দরিদ্র মুসলিম পরিবারগুলোকেও খ্রিস্টান বানানোর মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনটিতে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, বান্দরবান রুমা উপজেলার গেলাইঙ্গা, রেমাকৃপাংশা, ফাইন্দু ইউনিয়নে খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও কিছু হিন্দু পরিবার বাস করত। অথচ মারমা ও বোম উপজাতি অধ্যুষিত রুমা উপজেলার এখন ৬০ ভাগ জনসংখ্যাই খ্রিস্টান।
অন্যদিকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ক্রমশই কমছে। রুমা বাজার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে আশ্রম পাড়ায় একবার ৪-৫টি ত্রিপুরা পরিবার ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়। আর্থিক অনটনে পড়ে তারা মুসলমানদের সাহায্যপ্রার্থী হলে আশানুরূপ সাড়া পায়নি। এ সুযোগে জাইনপাড়াস্থ খ্রিস্টান মিশনারি চার্চ তাদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করে। রুমা উপজেলার এসব নওমুসলিমদের অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়েই বশে এনেছে, তাদেরকে খ্রিস্টান বানিয়েছে।
- এই সিরিজের লেখা সমূহ
- পাহাড়ে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা : পর্ব - ৬
- পাহাড়ে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা : পর্ব - ৫
- পাহাড়ে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা : পর্ব - ৪
- পাহাড়ে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা : পর্ব - ৩
- পাহাড়ে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা : পর্ব - ২
- পাহাড়ে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা : পর্ব - ১
কারণ, কোনো উপজাতি ইসলামের সাম্য ভাতৃত্বের আদর্শে মুগ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছে, এমন খবর যদি মিশনারিরা পায় তাহলে তারা যেন অনেকটা উন্মাদ হয়ে উঠে। ছলে-বলে কিংবা কলে-কৌশলে যেভাবেই হোক তাদেরকে খ্রিস্টান বানাতে সচেষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে পাহাড়ি বিভিন্ন সংগঠন এমনকি রাষ্ট্রীয় বাহিনীকেও তারা কাজে লাগাতে পিছপা হয় না। ২০১৩ সালের রাঙ্গামাটি জেলার কিছু নওমুসলিমের ক্ষেত্রে এমন ঘটনাই ঘটেছে।
ঘটনাটি নিম্নরূপ- ‘গত ২ জানুয়ারি ২০১৩ ঢাকার বাসাবোর একটি মাদরাসায় হানা দিয়ে পুলিশ ৫ জন উপজাতীয় নওমুসলিম অভিভাবক এবং তাদের ১৬ সন্তানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের ইসলাম গ্রহণের এফিডেভিট ও অন্যান্য বৈধ কাগজপত্র দেখে পুলিশ ১১ শিক্ষার্থী ও তাদের ৫ অভিভাবককে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ৫ জন ছাত্র আগে থেকেই মাদরাসায় পড়তো বলে তাদের অভিভাবক সাথে ছিল না। অভিভাবক আসা পর্যন্ত তাদের তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে পুলিশ। পরে অভিভাবকরা তাদের আনতে গেলে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের সদস্য পরিচয়ে কতিপয় উপজাতীয় লোক তেজগাঁও থানার সীমার সামনে থেকে মাদরাসায় যেতে না দিয়ে তাদের জোর করে ধরে নিয়ে যায়। উপজাতীয় এসব লোক অভিভাবক ও তাদের সন্তানদের মাদরাসায় যেতে না দিয়ে খ্রিস্টান ক্যাথলিক চার্চ নিয়ন্ত্রিত একটি এনজিও সংস্থার কাছে দিয়ে দেয়। জানা গেছে, উক্ত ক্যাথলিক চার্চ নিয়ন্ত্রণ করেন রোজালিন ডি কস্তা।’
এছাড়া একই সময়ে গাজীপুরের মিয়াপাড়ায় দারুল হুদা মাদরাসা থেকেও উপজাতীয় নওমুসলিম ছাত্রদের ধরে নিয়ে মিশনারিদের হাতে তুলে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব উপজাতীয় নওমুসলিম রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার দুমদুমিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা ছিলেন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোক। আর এসব উপজাতীয় নওমুসলিম ছাত্রদের মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে কর্মরত উপজাতীয় কমান্ডারগণ। বাংলাদেশ একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ। সেই দেশে নওমুসলিমদের মাদরাসা থেকে ধরে খ্রিস্টান চার্চের আওতায় নিয়ে যাওয়ার স্পর্ধা এরা পেল কোথায়? তাও আবার রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সহায়তা নিয়ে?
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]