বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা, তাদের প্রভাব এতটাই বেশি যে, অনেক সময় প্রশাসনকেও পাত্তা দিতে চায় না। এ প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক একটি ঘটনা উল্লেখ্য, ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ মার্চ ২০১৪ বান্দরবান জেলায়। পার্বত্যনিউজসহ দুই-একটি অনলাইন মিডিয়ায় খবরটি যেভাবে এসেছে তার সারমর্ম হলো- ‘বান্দরবান ফাতিমা রানী চার্চ-এ মহিলা হোস্টেলের মেয়েদেরকে মিশনের ফাদার ও ব্রাদার কর্তৃক যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এরা সবাই বান্দরবান ডনবস্কো উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম থেকে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ১৫ মার্চ ৭১ জন ছাত্রী নদীতে গোসল করার নামে হোস্টেল থেকে বের হয়ে পালিয়ে গেলে ঘটনাটি জানতে পারে স্থানীয়রা।
দুর্গম পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী দরিদ্র পিতা-মাতা বুক ভরা আশা নিয়ে তাদের সন্তানদের জেলা সদরে উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করায়। এ সন্তানরা একদিন শিক্ষিত হয়ে মা-বাবা ও সমাজের মুখ উজ্জ্বল করবে। এমন প্রত্যাশায় পাহাড়ের দূরপল্লীর মেয়েরা ডনবস্কো উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ফাতিমা রানী চার্চ-এর হোস্টেলকেই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নেয়। গত ১৫ মার্চ ৭১ জন ছাত্রী হোস্টেল থেকে পালিয়ে যায়। হোস্টেল থেকে পালিয়ে যাওয়া ছাত্রীদের কেউ কেউ আশ্রয় নেয় তাদের নিকট আত্মীয় ও বান্ধবীদের বাড়িতে। কর্তৃপক্ষ কিছু কিছু ছাত্রীদের হোস্টেলে ফিরিয়ে আনলেও তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ দেয়নি মিডিয়াকর্মী এবং প্রশাসনকে।’ ওপরের ঘটনার মধ্যে লুকিয়ে থাকা খ্রিস্টান মিশনারিদের অপ্রতিরুদ্ধ প্রভাব সম্পর্কে কোনো আঁচ করতে পারছেন কি? একটু ভেবে দেখুন, এত বড় একটি ঘটনা অথচ বাংলাদেশের মূল ধারার কোনো গণমাধ্যমে তা খবর হয়ে এলো না! কিন্তু আমরা যদি অন্যদিকে তাকাই তা হলে কী দেখতে পাই?
- এই সিরিজের লেখা সমূহ
- পাহাড়ে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা : পর্ব - ৬
- পাহাড়ে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা : পর্ব - ৫
- পাহাড়ে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা : পর্ব - ৪
- পাহাড়ে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা : পর্ব - ৩
- পাহাড়ে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা : পর্ব - ২
- পাহাড়ে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা : পর্ব - ১
এদেশের কোনো মহিলা মাদরাসার হোস্টেল, এতিমখানা কিংবা কোন কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে যদি একই ধরনের অভিযোগে ৫ জন ছাত্রীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটত, তাহলে আমাদের মিডিয়া সে ঘটনাকে কতটা রসিয়ে রসিয়ে ফলাও করে প্রচার করত! অনেকে হয়তো ফলোআপ নিউজ করে করে ওই প্রতিষ্ঠানেরই বারোটা বাজিয়ে দিত। আর এর জন্য তাদের তথ্য প্রমাণেরও খুব একটা প্রয়োজন হতো কি? অথচ কী অদ্ভূত ঘটনা, মিশনারিদের একটি হোস্টেল থেকে ৭১ জন ছাত্রীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার সংবাদও চেপে গেল বাংলাদেশের মিডিয়া! শুধু মিডিয়া নয়, প্রশাসনও চেপে গেছে বিষয়টি। শুনেছি, প্রথম দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তারা হোস্টেল কর্তৃপক্ষের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারেননি। চার্চ কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে কোন সহায়তা করারই প্রয়োজন মনে করেনি।
মিডিয়া এবং প্রশাসনকে পাত্তা না দিয়ে এত বড় একটি ঘটনা ধামাচাপা দেয়াটা কি সহজ কথা? মোটেই না, বরং এটা প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের মিডিয়া এবং প্রশাসনকে গুরুত্ব না দিয়েই অনেক কিছু করার মতো প্রভাব শক্তি আছে এই মিশনারিদের।
ফাতিমা রানী চার্চের ঘটনাটি তদন্ত হওয়া দরকার
ডেইলি মেইলের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে গত ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে জানা যায়, “মাত্র দুই বছরে শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বিভিন্ন চার্চের চারশ’ যাজককে বরখাস্ত করেছিলেন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট। ২০১১-১২ বছরে এসব যাজকদের বরখাস্ত করা হয় বলে ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জেনেভায় জাতিসংঘের শুনানিতে অংশ নিয়ে ভ্যাটিকানের ক্যাথলিক চার্চ এ তথ্য প্রকাশ করে। ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারা সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের শুনানিতে অংশ নেয়। প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, আগের বছরগুলোর তুলনায় শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে গেছে। ২০০৮-০৯ বছরে একই অপরাধে ১৭১ জন যাজককে বরখাস্ত করা হয়েছিল।”
এই সংবাদটি থেকে আমরা কী জানতে পারলাম? চার্চের দায়িত্বে থাকা ফাদার কিংবা ব্রাদারগণ কর্তৃক যৌন নির্যাতনে ঘটনা নতুন কিছু নয়। আর এটা অপরাধযোগ্য বিষয়, তাই এর জন্য নির্যাতনকারীদের শাস্তিও ভোগ করতে হয়। শুধু তাই নয়, এর জন্য জাতিসংঘ বা অন্যকোনো দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে চার্চ কৈফিয়ত দিতেও বাধ্য। এটাই যদি বাস্তবতা হয়, তাহলে বান্দরবানের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হলো কেন, এমন প্রশ্ন করা কি অমূলক হবে? যদিও বান্দরবান ফাতিমা রানী চার্চ-এ মহিলা হোস্টেলের মেয়েদেরকে মিশনের ফাদার ও ব্রাদার কর্তৃক যৌন হয়রানির অভিযোগটি এখনও প্রমাণিত নয়, কিন্তু যেহেতু ৭১ জন ছাত্রীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে এবং এর জন্য ফাদার ও ব্রাদারদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে, তাই চার্চের স্বার্থেই এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া আবশ্যক।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:
·
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা
· পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস
[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস
ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত
বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও
সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও
প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম
জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায়
শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে
ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]