রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৭

বাংলা, বঙ্গ, বঙ্গালা থেকে বাংলাদেশ। পর্ব : ৩

বঙ্গালা : “বঙ্গ’-এর অবস্থান সম্পর্কে আধুনিক ঐতিহাসিকদের মধ্যে মোটামুটি মতৈক্য আছে, কিন্তু ‘বঙ্গালা’র ঐতিহাসিকতা ও ভৌগোলিক অবস্থান নিয়া মতৈক্য নাই, বরং মতানৈক্য ব্যাপক বলা যায়। ‘বঙ্গালা’ নামের প্রথম উল্লেখ পাই ইবন বতুতার ভ্রমণবৃত্তান্তে।৪০ দিল্লীর মুসলমান ঐতিহাসিকদের মধ্যে মিনহাজ-ই-সিরাজের পরবর্তী লেখক জিয়া-উদ-দীন বরনী। বরনীর ‘বঙ্গালা’র উল্লেখ অত্যন্ত তাৎপৰ্যপূর্ণ এবং সেইগুলি নিম্নরূপঃ (ক) “লখনৌতির শাসক ইলয়াস, যিনি ঐ রাজ্য জোরপূর্বক দখল করেন, এই সময়ে (দিল্লীর সুলতান ফীরুজ শাহ তুঘলকের সময়ে) পানিবেষ্টিত ‘বঙ্গালা’র পাইক এবং ধনুকদের একত্রিত করেন এবং বিনা কারণে ত্রিহুত জয়।‘’৪১ (খ) “বঙ্গালা’র বিখ্যাত পাইকরা, যাহারা অনেক দিন ধরিয়া ‘আবু বঙ্গাল’ (বঙ্গালদের পিতা) নামে পরিচিত এবং যাহারা নিজেদিগকে বীরপুরুষ বলিয়া দাবি করিত, তাহারা ভাঙখোর ইলিয়াসের নিকট প্রতিজ্ঞা করে যে তাহারা তাঁহার জন্য প্ৰাণপণ করিবে এবং পানি-বেষ্টিত ‘বঙ্গালা’র রায়দের সঙ্গে যোগ দিয়া ইলিয়াসের অশ্বারোহী বাহিনীর সামনে সাহসিকতার নিদর্শনস্বরূপ হাত-পা ছোঁড়াছুঁড়ি করে। যুদ্ধের সময় বিজয়ী বাহিনীর (দিল্লীর বাহিনীর) তীরন্দাজ ও সৈন্যদের সম্মুখীন হইলে তাহারা মুখে আঙ্গুল পুরিয়া জ্ঞান হারাইয়া ফেলে, তাহাদের তারবারি এবং তীরধনুক ফেলিয়া দেয় এবং মাটিতে কপাল ঘষিয়া শক্ৰদের তরবারির আঘাতে পতিত হয়।৪২

(গ) সুলতান গিয়াস-উদ-দীন বলবন বলেন, “আমি ইকলীম লখনৌতি ও বঙ্গালা আমার কনিষ্ঠ পুত্রকে (শাসনের জন্য) দিয়াছি এবং কয়েক বৎসর ধরিয়া ঐ রাজ্য শক্তি সঞ্চয় করিতেছে।”৪৩
(ঘ) বলবন বলেন, “ইকলীম লখনৌতি এবং আরসা ‘বঙ্গালা’কে পরাভূত করার জন্য আমি কি পরিমাণ রক্ত পান করিয়াছি (রক্তপাত ঘটাইয়াছি)।”৪৪

বরনীর উপরোক্ত উক্তিগুলিতে দুইটি বিষয় বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য।
প্রথম, উপরোক্ত ‘ক’ এবং ‘খ’ সংখ্যক সূত্রে ‘বঙ্গালা’কে বলা হইয়াছে ‘আব-গিরিফতা’, ‘আব’ অর্থ পানি, ‘গিরিফতা’ ‘গিরিফতন’ হইতে, “আর-গিরিফতা’ অর্থ পানিতে ভিজা; যাহার উপর বেশী বৃষ্টিপাত হয়; পানিবেষ্টিত; বন্যাকবলিত; নদনদীবেষ্টিত। সুতরাং বরনী ‘বঙ্গালা’কে পানি-বেষ্টিত, নদনদীবেষ্টিত, বন্যাকবলিত এবং অধিক বৃষ্টিপাতের অঞ্চল রূপে চিত্রিত করিয়াছেন। এই অঞ্চল নিঃসন্দেহে ‘বঙ্গ’; রঘুবংশের ‘গঙ্গা-স্রোত-হন্তরেষু’ এবং তিরুমালাই-লিপির ‘বঙ্গাল দেশ যেখানে বৃষ্টি থামে না’ কথাগুলির প্রতিধ্বনি করে বরনীর ‘আব-গিরিফতা-বঙ্গালা’। বরনীর ‘আর-গিরিফতা-বঙ্গালা’ কথায় ‘বঙ্গ’-এর ভৌগোলিক অবস্থানের নিখুঁত পরিচয় পাওয়া যায়। সুতরাং প্রাচীন কালের ‘বঙ্গ’ এবং বরনীর ‘বঙ্গালা’ এক ও অভিন্ন।

‘গ’ সংখ্যক সূত্রে লখনৌতি এবং ‘বঙ্গালা’ উভয়কেই ইকলীম, কিন্তু ‘ঘ’ সংখ্যক সূত্রে লখনৌতিকে ইকলীম এবং ‘বঙ্গালা’কে ‘আরসা’ বলা হইয়াছে। ‘ইকলীম’ এবং ‘আরসা’ উভয়ই শাসনতান্ত্রিক বিভাগের নাম; সুলতানী আমলের মুদ্রা এবং শিলালিপিতে ইকলীম দ্বারা বড় এবং আরসা দ্বারা ছোট শাসনতান্ত্রিক বিভাগ নির্দেশ করে, এই সূত্রে আরসা ইকলীমের অংশবিশেষ। মোটামুটিভাবে ইকলীমকে বর্তমান কালের বিভাগ এবং আরসাকে বর্তমান কালের জিলার সঙ্গে তুলনা করা যায়। বর্তমানে ঢাকা বিভাগ এবং ঢাকা জিলার সঙ্গে যেই পার্থক্য বা যেই সম্পর্ক, ইকলীম ‘বঙ্গালা’ এবং আরসা ‘বাঙ্গালা’র মধ্যে সেই পার্থক্য এবং সেই সম্পর্ক।

বরনীর উল্লিখিত সময়ে, অর্থাৎ বলবনের সময়ে ‘বঙ্গালা’ দিল্লীর সুলতান কর্তৃক (বা মুসলমান কর্তৃক) বিজিত হয় নাই, তবে বিজিত হওয়ার পথে; বলবন মুঈজ্জ-উদ-দীন তুঘরলের বিদ্রোহ দমন করিয়া দিল্লী ফিরিয়া যাওয়ার সময় বুঘরা খানকে ‘বঙ্গালা’ জয়ের নির্দেশ দেন। বুঘরা খানের ছেলে রুকন-উদ-দীন কাইকাউসের সময় ‘বঙ্গ’-এর রাজস্ব দ্বারা মুদ্রা উৎকীর্ণ করা হয়, এবং আরও কয়েক বৎসর পরে শামস-উদ-দীন ফীরুজ শাহের সময় সোনারগাঁও টাকশালের নাম উৎকীর্ণ করিয়া মুদ্রা জারি করা হয়; অর্থাৎ এই সময়ে সোনারগাঁও জয় সম্পূর্ণ হয়।

তাই বরনীর ইকলীম ‘বঙ্গালা’ প্রাচীন বঙ্গ এবং আরসা ‘বাঙ্গালা’ প্রাচীন ‘বঙ্গ’-এর একাংশ, খুব সম্ভবত সোনারগাঁও। বলবন যখন ইকলীম লখনৌতি এবং আরসা ‘বঙ্গালা’র কথা বলেন, প্রথমটি দ্বারা লখনৌতির গবর্নর তুঘরলের বিদ্রোহ দমনের কথা বলেন এবং দ্বিতীয়টির দ্বারা সোনাগাঁও-এর কথা বলেন।

স্মরণ রাখা দরকার যে, বলবন নিজে তুঘরলকে ধাওয়া করার এক পর্যায়ে সোনারগাঁও-এ যান এবং সেখানে রাজা দনুজ রায়ের সাথে সমঝোতায় পৌঁছেন। দেখা যায় যে তের শতকের শেষ দিকে এবং নিশ্চিতভাবে চৌদ্দ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ‘বঙ্গ’ ‘বঙ্গালা’য় রূপান্তরিত হয়। বরনী ১৩৫৭ খ্ৰীষ্টাব্দে তাঁর তারিখ-ই- ফীরুজশাহী লেখা শেষ করেন।

দিল্লীর ঐতিহাসিকদের মধ্যে বরনীর পরবতী লেখক শামস-ই-সিরাজ আফীফ। আফীফের তারিখ-ই-ফীরুজশাহী রচনার তারিখ পাওয়া যায় না। তিনি ১৩৫০ খ্ৰীষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং ফীরুজ শাহ তুঘলকের মৃত্যুর কিছু পরে বাইখানি লিখেন।

ইতোমধ্যে ‘বাংলা’র ইতিহাসের আরও পরিবর্তন ঘটে ; শাসনতান্ত্রিক বিভাগের পরিবর্তন হয়। গিয়াসউদ-দীন তুঘলক ‘বাংলা’কে তিনটি শাসন বিভাগে ভাগ করেন—লখনৌতি, সাতগাঁও এবং সোনারগাঁও। এই তিনটি বিভাগ যথাক্রমে প্রাচীন বরেন্দ্র, রাঢ় এবং ‘বঙ্গ’-এ অবস্থিত।

১৩৩৮ খ্ৰীষ্টাব্দে সোনারগাঁও-এ ফখর-উদ-দীন মুবারক শাহ স্বাধীন রাজ্য স্থাপন করেন। তিনি এবং তাঁহার ছেলে ইখতিয়ার-উদ-দীন গাজী শাহ চৌদ্দ বৎসর রাজত্ব করেন। কিন্তু ১৩৫২ খ্ৰীষ্টাব্দে শামস-উদ-দীন ইলিয়াস শাহ সোনারগাঁও দখল করিয়া নেন৪৫ এবং সর্বপ্রথম তিনটি শাসন বিভাগ-লখনৌতি, সাতগাঁও এবং সোনারগাঁওকে একক রাষ্ট্রভুক্ত করিয়া এই সম্মিলিত রাজ্যের অধীশ্বর হন।

দিল্লীর সুলতান ফীরুজ শাহ তুঘলক ইলিয়াসকে আক্রমণ করিয়া ব্যর্থ হন, ইলিয়াসের শাসনক্ষমতা অক্ষুন্ন থাকিয়া যায়। এই সময়ে শামসই-সিরাজ আফীফ ইলিয়াস শাহকে ‘শাহ-ই-বঙ্গালা’, ‘শাহ-ই-বঙ্গালীয়ান’ এবং ‘সুলতান-ই-বঙ্গালা’ রূপে অভিহিত করেন।৪৬তখন হইতেই লখনৌতির সুলতান ‘বঙ্গালা’র সুলতানে, লখনৌতির মুসলিম রাজ্য ‘বঙ্গালা’র মুসলিম রাজ্যে পরিণত হয় এবং লখনৌতি রাজ্যের উল্লেখ বন্ধ হইয়া যায়।

ডঃ আহমদ হসন দানী বলেন, “Shamsuddin Ilyas Shah was the first Sultan who by his sagacity and political acumen, founded the united kingdom of Bengal and earned for himself the name of Shah-i-Bangalah. It was from his time that the connotation of the word Bangalah changed, and it was thence forward applied to the whole country of Bengal.”৪৭

ইহার পর ‘বঙ্গালা’ নাম ১৯৪৭ খ্ৰীষ্টাব্দের বিভাগ-পূর্ব বাংলা, বা ইংরেজদের Bengal বা মোগলদের সুবা বঙ্গালা দ্বারা যেই ভূ-খণ্ড বুঝাইত, সেই ভূ-খণ্ডকে বুঝাইতে শুরু করে। বরনী এবং আফীফের সাক্ষ্যে পরিষ্কার হইয়া উঠে যে প্রাচীন ‘বঙ্গ’-এর পরবর্তী নাম ‘বঙ্গালা’। অতএব ‘বঙ্গ’ হইতে ‘বঙ্গালা’ নামের উৎপত্তি।

শামস-উদ-দীন ইলিয়াস শাহের সময় হইতে ‘বঙ্গালা’ নাম পরিচিতি লাভ করে। বিদেশী সূত্রে এর অনেক প্রমাণ পাওয়া যায়, কয়েকটি উদাহারণ নিম্নরূপঃ

ইরানী কবি হাফিজ কর্তৃক গিয়াস-উদ-দীন আজম শাহের নিকট প্রেরিত গযলে ‘বঙ্গালা মী রওদ’ বা ‘বঙ্গালা’য় যাইতেছে’ বলা হইয়াছে। পনর শতকের প্রথম দিকে লিখিত আশরাফ জাহাঙ্গীর সিমনানীর চিঠিতে নূর কুতব আলমকে “বঙ্গালী” বলা হইয়াছে। চীনা বিবরণে পাং-কো-লা (বঙ্গালা) বলা হইয়াছে; মতলা-উস-সাদাইন-এ আহমদ শাহকে ‘বঙ্গালা’র সুলতান বলা হইয়াছে ;৪৮

আল-সখাভীর ‘আল-জউ আল-লামে’ গ্রন্থে আজম শাহকে ‘মনজালা’র (বঙ্গালা’র) সুলতান বলা হইয়াছেঃ ইবন হজর আসকলানী মক্কা ও মদীনা শরীফে প্রতিষ্ঠিত আজম শাহের মাদ্রাসা-কে ‘বঙ্গালী’ মাদ্রাসা রূপে অভিহিত করিয়াছেন। বাবর তাঁর আত্মজীবনীতে হোসেন শাহ ও নসরত শাহকে ‘বঙ্গালা’র সুলতান এবং তাঁহাদের “বঙ্গালী’ বলিয়াছেন। তিব্বতী ঐতিহাসিক লামা তারানাথ তাঁহার বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস-এ ‘বঙ্গালা’ নাম ব্যবহার করিয়াছেন ; তারানাথ ১৬১০ খ্ৰীষ্টাব্দে তাঁহার বই রচনা করেন। মোগল এবং মোগল যুগের আফগান ঐতিহাসিকেরা সকলে ‘বঙ্গালা’ বলিয়াছেন; টোডরমল্লের ভূমি-বন্দোবস্তে সুবা ‘বঙ্গালা’ এবং সুবা ‘বঙ্গালা’র অধীনস্থ সরকার, পরগনা, মহাল ইত্যাদির বিশদ বিবরণ আছে। আবুল ফজল শুধু যে সুবা ‘বঙ্গালা’র উল্লেখ করেন তাই নহে, তিনি সুবা ‘বঙ্গালা’র সীমাও বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, “এ সুবা দ্বিতীয় ভৌগোলিক অঞ্চলে (ইকলীম) অবস্থিত। চাটগাঁও হইতে গড়হী (তেলিয়াগড়হী) পর্যন্ত ইহার দৈর্ঘ্য চারিশত ক্রোশ। উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল হইতে দক্ষিণে সরকার মন্দারণ পর্যন্ত ইহার প্রস্থ দুইশত ক্রোশ।” আবুল ফজল আরও বলেন যে, উড়িষ্যা ‘বঙ্গালা’র সঙ্গে যুক্ত হইলে দৈর্ঘ্য ৪৩ ক্রোশ এবং প্রস্থ ২৩ ক্রোশ বৃদ্ধি পায়। তুজুক-ই- জাহাঙ্গীরীতেও ‘বঙ্গালা’র আয়তন একই রকম পাওয়া যায় এবং ১৭৮৮ খ্ৰীষ্টাব্দে লিখিত গোলাম হোসেন সলীমের “রিয়াজ-উস-সালাতীন”-এ সুবা ‘বঙ্গালা’র আয়তন আবুল ফজলের অনুসরণে একই রকম দেওয়া হয়। ষোল শতক হইতে ইউরোপীয়রা আসিতে শুরু করে ; তাহারা প্রথম দিকে Bengala, Bengall বলিলেও মোগল সুবা ‘বঙ্গালা’ ইংরেজদের অধিকারে যাওয়ার পরে Bengal নামেই পরিচিত হয়। সুতরাং Bengala বা Bengal, ‘বঙ্গালা’রই ইউরোপীয় বা ইংরেজী রূপ।

‘বঙ্গালা’ নামের উৎপত্তি কিভাবে হইল, এই প্রশ্ন প্রথমে জাগে মোগল ঐতিহাসিক আবুল ফজলের মনে। তিনি বলেন, “The original name of Bengal (Bangalah in the text) was Bang. Its former rulers raised mounds measuring ten yards in height and twenty in breadth throughout the province which were called el. From the suffix, this name Bengal (Bangalah) took its rise and currency”৪৯ ‘রিয়াজ-উস-সালাতীন’-এ এই অভিমত পুনর্ব্যক্ত করা হইয়াছে। ৫০ লক্ষ্য করার বিষয় এই যে আবুল ফজল দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন যে ‘বঙ্গা’ই ‘বঙ্গালাহ’ নামে রূপান্তরিত হইয়াছে।

তথ্য নির্দেশ

৪০. HAR Gibb : Ibn Battuta: Travels in Asia and Africa, London, 1963, পৃ. ২৬৭

৪১. জিয়া-উদ-দীন বরনী, তারীখ-ই-ফীরূজশাহী, পৃ. ৫৮৬ ।

৪২. ঐ পৃ. ৫৯৩।

৪৩. ঐ পৃ. ৫৩।

৪৪. ঐ পৃ. ৯৩।

৪৫. N. K. Bhattasali : Coins and Chronology of the Early Independent Sultans of Bengal, পৃ. ২৮।

৪৬. আফীফঃ তারীখ-ই-ফীরূজশাহী, পৃ. ১১৪-১১৮।

৪৭. Sri Jadunath Sarkar Commomoration Volume, Hoshiarpur, India, Part II, পৃ.৫৬।

৪৮. অবশ্য মতলা-উস-সাদাইন-এ বাংলার সুলতানের কথা বলা হইয়াছে কিনা সেই বিষয়ে আধুনিক পণ্ডিতদের কেহ কেহ সন্দেহ পোষণ করেন।

৪৯. আইন-ই-আকবরী, ভল্যুম ২, জেরেট কর্তৃক অনূদিত, পৃ. ১২০। আবুল ফজলের ফার্সী লিখায় ‘বঙ্গালা’, ইংরেজ অনুবাদকের ভাষায় বেঙ্গল হইয়াছে।

৫০. রিয়াজ-উস-সালাতীন, আবদুস সালামের অনুবাদ, পৃ. ২০।

[উৎসঃ প্রফেসর আবদুল করিম, বাংলার ইতিহাসঃ সুলতানী আমল, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, দ্বিতীয় মুদ্রণ, ঢাকা, ২০১৩, পৃ. ২১-২৪]

*আবদুল করিম (১ জুন, ১৯২৮- ২৪ জুলাই, ২০০৭) বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য। তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির প্রেসিডেন্ট ছিলেন ১৯৭৩ – ১৯৭৫।

লিখেছেন; প্রফেসর আবদুল করিম


পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা সমূহ:

·      পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক বাঙ্গালী গণহত্যা

·     পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক সেনাহত্যার ইতিহাস


[লেখাটি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে দয়াকরে গবেষণামূলক ও ইতিহাস ভিত্তিক এই সাইটটি চালিয়ে যেতে সাহায্য করুন। পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার বঞ্চিত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠী সাইটটি পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার কতৃক চরমভাবে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত, পশ্চিমা সমর্থনপুষ্ঠ এনজিও সমূহের একচোখা নীতি, সন্তু লারমা ও প্রসীত খীসাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) 'এর নিপিড়িত, নির্যাতিত ও বর্বরতম সন্ত্রাসের নির্মম ও অসহায় শিকার - পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ক্ষুদ্রতম এক প্রয়াস]